বাল্টিমোর সিটি প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানিয়ে ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মরণোত্তর বিচার দাবিতে নিউইয়র্কে র্যালি করেছে ‘বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন’ যুক্তরাষ্ট্র শাখা।
যুক্তরাষ্ট্রের ম্যারিল্যান্ড অঙ্গরাজ্যের বাল্টিমোর সিটির ২০০ ওয়েস্ট সারাটগা স্ট্রিট থেকে জিয়াউর রহমানের নামফলক সরিয়ে ফেলার খবরে স্থানীয় সময় শুক্রবার সন্ধ্যায় জ্যাকসন হাইটসে ডাইভার্সিটি প্লাজায় এ র্যালি করেন তারা।
বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের যুক্তরাষ্ট্র শাখার এ র্যালি থেকে বঙ্গবন্ধুর ঘাতক হিসেবে দণ্ডিত রাশেদ চৌধুরীকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বহিষ্কারের দাবিও করেছেন মুক্তিযোদ্ধারা।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদের মিয়া। প্রধান অতিথির বক্তব্যে ‘বাংলাদেশ লিবারেশন ওয়্যার ভেটারন্স’৭১’র সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা গোলাম মোস্তফা খান মিরাজ বলেন, 'মিথ্যা তথ্যে বিভ্রান্ত বাল্টিমোর সিটি প্রশাসন নিজেদের সংশোধন করে জিয়াউর রহমান ওয়ের নামফলক নামিয়ে ফেলেছেন-এজন্য সকলকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। এভাবেই জিয়াউর রহমান নামক ব্যক্তিটির কলঙ্কিত অধ্যায়ের যবনিকাপাত ঘটলো এই মার্কিন মুল্লুকেও। এখন থেকে সকলকে সতর্ক থাকতে হবে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্তদের শক্ত হাতে প্রতিহত করার জন্যে।' তিনি জিয়াউর রহমানকে ঠান্ডা মাথার একজন ঘাতক হিসেবে অভিহিত করে অবিলম্বে তার মরণোত্তর বিচার দাবি করেছেন।
যুক্তরাষ্ট্র সেক্টর কমান্ডারস ফোরামের সাধারণ সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা রেজাউল বারি বলেছেন, একাত্তরের চেতনায় উজ্জীবিত প্রবাসীদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে রাজপথে এবং নিজ নিজ কর্মস্থলে। তাহলেই অপশক্তির সব ধরনের অপতৎপরতা রুখে দেয়া সম্ভব হবে।
সমাবেশে সমাপনী বক্তব্যে আব্দুল কাদের মিয়া বলেন, জাতিসংঘে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতা হিসেবে উন্নয়নের মডেল এবং মানবতার মা শেখ হাসিনা নিউইয়র্কে আসছেন ১৯ সেপ্টেম্বর। তার সকল সফরসূচি সফল করতে মুজিব আদর্শের সৈনিকরা অতন্দ্র প্রহরীর ভূমিকায় অবস্থান করতে হবে। ২৮ সেপ্টেম্বর রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার জন্মদিনে বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের অনুষ্ঠানেও সকলের উপস্থিতি কামনা করছি। সেই অনুষ্ঠান হবে ২৮ সেপ্টেম্বর প্রথম প্রহরে কেক কাটার মধ্যদিয়ে।
র্যালিতে আরও বক্তব্য রাখেন যুক্তরাষ্ট্র মুক্তিযোদ্ধা সংহতি পরিষদের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা খোরশেদ আনোয়ার বাবলু। আর উপস্থিত ছিলেন যুক্তরাষ্ট সেক্টর কমান্ডারস ফোরামের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা রাশেদ আহমেদ, ভাইস প্রেসিডেন্ট মুক্তিযোদ্ধা আবুল বাশার চুন্নু, মুক্তিযোদ্ধা শহিদুল ইসলাম, মুক্তিযোদ্ধা আবুল বাশার ভূঁইয়া, মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল আওয়াল, মুক্তিযোদ্ধা এনামুল হক, মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রহমান, মুক্তিযোদ্ধা নাজিমউদ্দিন, মুক্তিযোদ্ধা কামরুজ্জামান শিকদার, মুক্তিযোদ্ধা আশরাব আলী, বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের কমিউনিকেশন্স ডাইরেক্টর মুক্তিযোদ্ধা লাবলু আনসার, ভাইস প্রেসিডেন্ট মাস্টার ইলিয়াস খান, যুগ্ম-সম্পাদক আশরাব আলী খান লিটন, নির্বাহী সদস্য মোহাম্মদ ইরান, নাজিম উদ্দিন প্রমুখ।
বিডি প্রতিদিন/আরাফাত