শিরোনাম
১২ জানুয়ারি, ২০২২ ১১:৫৯

যুক্তরাজ্যে কেয়ার ভিসা নিয়ে বাংলাদেশে প্রতারণার জাল!

আ স ম মাসুম, যুক্তরাজ্য

যুক্তরাজ্যে কেয়ার ভিসা নিয়ে বাংলাদেশে প্রতারণার জাল!

ফাইল ছবি

যুক্তরাজ্যে ঘোষিত সম্ভাবনাময় কেয়ার ভিসা নিয়ে শুরু হয়েছে প্রতারণার জাল! প্রায় ১৭ থেকে ২০ লাখ টাকা পর্যন্ত দরদাম করা হচ্ছে এই ভিসার জন্য। সক্রিয় হয়ে উঠেছে প্রতারক চক্র।

বাংলাদেশের ক্ষেত্রে এই ভিসার বাস্তবতা না বুঝেই অনেকটা ঝাঁপিয়ে পড়ার মতো অবস্থা তৈরি হয়েছে। মাত্র ২৬৪ পাউন্ডে ব্রিটেনে আসার অপূর্ব সুযোগ এমন একটি সংবাদ প্রচার হওয়ার পরই বাংলাদেশ থেকে আসতে ইচ্ছুক এবং ব্রিটেনের বাংলাদেশি কমিউনিটির বিভিন্ন মানুষজন তাদের আত্মীয়-স্বজনকে আনার জন্য এই সুযোগ নিতে চান।

ব্রিটেনে বাংলাদেশি কেয়ার অর্গানাইজেশনগুলোর মধ্যে শীর্ষ একটি প্রতিষ্ঠান আপাসেন। এ বিষয়ে আপাসেন বলছে, এই ভিসার বাস্তবতা ভিন্ন। 

আপাসেনের প্রধান নির্বাহী মাহমুদ হাসান এমবিই বলেন, এই ভিসায় আপাসেন এই মুহূর্তে লোক আনবে না। এর কারণ হচ্ছে এই ভিসার বাস্তবতা সম্পূর্ণ ভিন্ন! বাংলাদেশ থেকে লোক এনে যে বেতন দেয়া হবে সেটা লোকাল স্টাফদের চেয়ে বেশি হয়ে যাবে। তারপর বাংলাদেশ থেকে একজন নন স্কিলড স্টাফ এনে তাদেরকে ফুল বেতন দিয়ে ৬ থেকে ৭ মাস ট্রেনিং দিয়ে ব্রিটেনে কাজ করার উপযোগী করা কেয়ার অর্গানাইজেশনের পক্ষে বহন করা বাস্তব সম্মত নয়। সেই সাথে যাদেরকে কেয়ার দিতে হয় তারা বেশির ভাগই ঝুঁকিপূর্ণ ক্যাটাগরীর মানুষ। এদেরকে কেয়ার দেয়া হঠাৎ করে বাংলাদেশ থেকে বা ইউরোপের বাইরে থেকে এসে করা সম্ভব নয়।

কিংডম সলিসিটরের প্রিন্সিপাল ব্যারিস্টার তারেক চৌধুরী বলেন, হেলথ এন্ড কেয়ার ওয়ার্কার   ভিসা নিয়ে জালিয়াতি বিষয়ে সতর্ক থাকা প্রয়োজন। মাত্র ২৬৪ পাউন্ড দিয়ে বিলেতে আসা  যায় এরকম বোগাস খবর থেকে দূরে থাকুন। স্পনসরশিপ লাইসেন্স ছাড়া কেউ ব্যক্তিগত ভাবে এই ভিসায়  আসতে  পারবে না। এটা একটা জটিল প্রক্রিয়া। সকল ভিডিও বিশ্বাস করবেন না। কেউ কেউ ভিডিওর ভিউ বাড়ানোর জন্য এবং কোনো আইনজীবী না জেনে অনেক তথ্য বিভ্রাট ছড়াচ্ছেন। দয়া করে সাবধান হন। যারা ওয়ার্ক পারমিট বিক্রি করে তারা আইনজীবী নয়, তারা দালাল। দালাল থেকে সাবধান থাকুন।

এদিকে, এই ভিসার ঘোষণা আসার পর থেকেই বাংলাদেশি কমিউনিটির একটি কেয়ার অর্গানাইজেশনের নামে শোনা যাচ্ছে তারা ১৭-১৮ লাখ টাকা চার্জ করে লোক আনার চিন্তা করছে। 

আপাসেনের প্রধান নির্বাহী মাহমুদ হাসান এমবিই বলেন, এই লেনদেনটাইতো অবৈধ! প্রতারণার শুরুটাই এখান থেকে। কোনো ভিসা টাকা দিয়ে কেনা ঠিক নয়। যদি কোনো কেয়ার অর্গানাইজেশন স্পন্সরশীপ লাইসেন্স সঠিক থাকে, যিনি আসবেন তিনি যদি স্কিল থাকে তাহলে আসা নিয়ে সমস্যা নেই! কিন্তু যদি মধ্যখানে টাকার লেনদেন থাকে তাহলে সেটা স্রেফ প্রতারণা।

তিনি বলেন, এই ভিসার বাস্তবতা নিয়ে হোম অফিসের রিভিউ করা উচিত। আমরা আপাসেন থেকে হোম সেক্রেটারিকে চিঠি লিখব এই ভিসার সমস্যা ও বাস্তবতা নিয়ে।

আপাসেনের প্রধান নির্বাহী আরো বলেন, আমরা বরং লোকাল রেসিডেন্টদের স্কিল করার দিকে জোর দিচ্ছি। অনেকেই এখন প্রফেশন পরিবর্তন করে কেয়ার প্রফেশনে আসতে চাচ্ছেন। তাদেরকে আমরা স্কিল করার দিকে মনোযোগ দিচ্ছি।

বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর