জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনে যথাযোগ্য মর্যাদায় বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিবের জন্মবার্ষিকী উদযাপন করা হয়েছে। অনুষ্ঠানের শুরুতেই জাতির পিতা ও বঙ্গমাতাসহ ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ঘাতকদের বুলেটে নির্মমভাবে নিহত বঙ্গবন্ধু পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত এবং দেশ ও জাতির উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
এরপর বঙ্গমাতার জীবন ও কর্মের ওপর নির্মিত বিশেষ প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। বঙ্গমাতার জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে প্রদত্ত রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করা হয় অনুষ্ঠানের এ পর্বে।
আলোচনা পর্বের শুরুতে বঙ্গমাতার জীবন ও কর্ম এবং দেশ ও জাতিগঠনে তার অসামান্য অবদানের নানা দিক তুলে ধরে বক্তব্য দেন জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আব্দুল মুহিত। তিনি বলেন, “বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব শুধু জাতির পিতার সহধর্মিণীই ছিলেন না, তিনি ছিলেন জাতির পিতার সুদীর্ঘ সংগ্রামে ও সকল সঙ্কটে এক অকুতোভয়, বিশ্বস্ত ও নির্ভীক সহযাত্রী”।
বঙ্গমাতা কীভাবে বঙ্গবন্ধুর অবর্তমানে দলীয় কর্মকাণ্ড সচল রাখতে ভূমিকা রেখেছেন, কীভাবে অবলীলায় দলীয় কর্মী এবং দলের প্রয়োজনে তার সঞ্চিত অর্থ ব্যয় করেছেন; রাজনৈতিক সিদ্ধান্তে বঙ্গবন্ধুকে অটল থাকতে কীভাবে সাহস যুগিয়েছেন, অবর্ণনীয় কষ্ট সহ্য করেও হাসিমুখে কীভাবে সংসার আগলে রেখেছেন, ক্ষমতার মোহ ত্যাগ করে কীভাবে নির্লোভ ও সাধাসিধে জীবন যাপন করেছেন তার নানা দিক উঠে আসে স্থায়ী প্রতিনিধির বক্তব্যে।
উন্মুক্ত আলোচনায় মিশনের সকল স্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারিগণ অংশগ্রহণ করেন। আলোচকগণ বঙ্গমাতাকে জাতির পিতার রাজনৈতিক সাফল্যের ‘অনন্য উৎস বিন্দু’ হিসেবে চিহ্নিত করেন। সুদীর্ঘ স্বাধীনতা সংগ্রামের পরতে পরতে বঙ্গমাতার ভূমিকা এবং তার আদর্শ যুগে যুগে কালে কালে বাঙালি নারীদের জন্য আলোর দীপ শিখা হয়ে অনুপ্রেরণা যোগাবে বলেও মন্তব্য করেন আলোচকগণ।
বিডি প্রতিদিন/ফারজানা