তুরস্কে জাতীয় শোক দিবস এবং জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদাত বার্ষিকী পালন করা হয়েছে।
গতকাল সোমবার সকালে রাষ্ট্রদূত মসয়ূদ মান্নান কর্তৃক দূতাবাস প্রাঙ্গণে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত করার মধ্য দিয়ে দিবসটি পালনের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়।
দিবসটি স্মরণে কালো ব্যাজ পরিধান করেন এবং দূতাবাসের কর্মকর্তা/কর্মচারীগণ এবং তাদের পরিবারবর্গের উপস্থিতিতে রাষ্ট্রদূত জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ড. ইমতিয়াজ আহমেদ। দূতাবাসের বিজয় একাত্তর মিলনায়তনে দিবসটি উপলক্ষ্যে মন্ত্রণালয় থেকে প্রাপ্ত মহামান্য রাষ্ট্রপতি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, মাননীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রী এবং মাননীয় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী’র বাণী পাঠ করা হয়। অতঃপর বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্মের উপরে নির্মিত একটি প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শন করা হয়।
বিকেলের অনুষ্ঠানের শুরুতে ১৫ আগস্টের বিয়োগান্ত ঘটনায় যারা শহীদ হয়েছেন তাদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। এরপরে ছিল সেমিনার ‘বঙ্গবন্ধুর প্রত্যাশাঃ ৫১ বছরে বাংলাদেশ।’
সেমিনারে মূল বক্তা ছিলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তজার্তিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ড. ইমতিয়াজ আহমেদ। তাছাড়া জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদের ডিন ড. মাসুম বিল্লাহ, তুরস্কের বাসক্যান্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. হালুক কারাদা এবং ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটি ইন্সটিটিউটের ম্যাক্স ওয়েবার পোস্ট ডক্টরেট ফেলো ড. মোরশেদ মান্নান, বার-এট-ল বক্তব্য প্রদান করেন। সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন মান্যবর রাষ্ট্রদূত মসয়ুদ মান্নান। পরে শেখ রাসেল শিশু কর্নারের সদস্যদের অংশগ্রহণে ছড়া ও কবিতা পাঠের অনুষ্ঠান এবং অংশগ্রহনকারীদের মধ্যে উপহার বিতরণ করা হয়। এরপরে ‘‘মুজিব আমার পিতা” নামে একটি স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র প্রদর্শন করা হয়।
বিডি প্রতিদিন/নাজমুল