সংযুক্ত আরব আমিরাতে ষষ্ঠবারের মতো নবান্ন উৎসব পালন করলেন সেখানে বসবাসরত বাংলাদেশি নারীরা। শনিবার বিকেলে শারজাহ আল-বাদাম ওয়াই এস ফার্ম হাউজে বাংলাদেশের সংস্কৃতি, কৃষ্টি, ঐতিহ্য, চিরায়ত বাংলার মুখ তুলে ধরতে আয়োজকদের প্রস্তুতি ছিল চোখে পড়ার মতো। শীতের পিঠাপুলি ও বাংলাদেশি পণ্যের মাধ্যমে কিছুটা নবান্নের আমেজ ছড়িয়ে দিলেন আমিরাতে বসবাসরত নারীদের সংগঠন বাংলাদেশ লেডিস ক্লাব।
দূর প্রবাসে বাংলার প্রাণের ঐতিহ্য ধরে রাখতে এ উৎসবে ছিল চালের গুঁড়া দিয়ে তৈরি বাহারি খাবার, আকর্ষণীয় মিষ্টান্ন, রকমারি পিঠা ও নারীদের বালিশ খেলা। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত দেশটির আবুধাবি, দুবাই, রাস আল খাইমাহ, ফুজাইরাহ, শারজাহ ও আজমান থেকে নারীরা কমলা রঙের শাড়ি পরে উৎসবে যোগ দেন। পরিবার পরিজন নিয়েও আসেন কেউ কেউ। শিশু-কিশোরদের অংশগ্রহণ ছিল চোখে পড়ার মতো।
লেডিস ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা লিজা হোসাইন বলেন, গত ১৫ বছরে আমিরাতে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক ও সামাজিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেছি... দেখেছি প্রবাসী নারীরা এসব থেকে বঞ্চিত হন। তাই নারীদের সম্মিলিত রাখতে এ সংগঠন প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ গ্রহণ করি। এ প্লাটফর্ম থেকে ধারাবাহিকভাবে দেশের নানা সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে প্রবাসীদের কাছে তুলে ধরার চেষ্টা করে যাচ্ছি। ইতোমধ্যে সংগঠনে প্রায় দুই হাজার ২০০ জন নারী সদস্য অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন।
সংগঠনের সভাপতি লাবন্য আদিল বলেন, এটি আমিরাতে বসবাসরত নারীদের বৃহত্তর সংগঠন। আমাদের মূল লক্ষ্য হলো প্রবাসে বেড়ে ওঠা নতুন প্রজন্মের কাছে দেশীয় ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি পৌঁছে দেওয়া। আমরা দেশে প্রতিটি ঋতুর ছোঁয়া পেয়েছি, হেমন্তের ঘ্রাণ পেয়ে বড় হয়েছি। কিন্তু প্রবাসে আমাদের সন্তানরা এসব থেকে বঞ্চিত। তাই প্রতি বছরই নবান্ন উৎসবের আয়োজন করা হয়।
এ সময় উপস্থিতি ছিলেন সংগঠনের সহ-সভাপতি সাদিয়া আবসার ও সহ-সভাপতি নিশাত নিশু, সাইয়েদা নওরিন, কামরুন নাহার, মহসিনা তানিয়া, ইষিকা পারভিন, শারমিন রাখী, ইষিকা মাযাহার ও রোমান বনীসহ কার্যকরী পরিষদের সদস্যরা।
বিডি প্রতিদিন/কেএ