শিরোনাম
প্রকাশ: ১৫:৩৪, মঙ্গলবার, ০১ মার্চ, ২০২২

নিজ গৃহে বাংলা কী আজ উপেক্ষিত?

আতি-উন-নাহার
অনলাইন ভার্সন
নিজ গৃহে বাংলা কী আজ উপেক্ষিত?
ভাষা আমাদের আবেগ আর ভালোবাসার জায়গায় অবস্থান করে। ভাষা সংস্কৃতির বাহন। ভাষার প্রতি আবেগ না হলে ভাষার জন্য প্রাণ বিসর্জন দেয়া অসম্ভব হোত। ভাষা, স্বদেশ, মা, মাতৃভূমি সবকিছুই আমাদের ভালোবাসা থেকে উৎসারিত। আর এই মাতৃভাষা বাংলার জন্য প্রাণ দিয়েছে এদেশের আপামর জনগণ। ভাষা আন্দোলনের সত্তর বছর পূর্ণ হলো। এই পূর্ণতার দ্বারে এসে আজও আমরা দ্বিধাবিভক্ত। প্রত্যাশা ও প্রাপ্তির মাঝে বিরাট ফারাক! বাংলা কি আজও উপেক্ষিত? স্বাধীন দেশে মাতৃভাষা বাংলা কি পরবাসী? সুধীজনের মাঝে নানান হতাশা!
 
১৯৫২ সালে রাষ্ট্রভাষার দাবিতে নারী পুরুষ, ছাত্রজনতা দেশের সকল মানুষ এই আন্দোলনে সম্পৃক্ত হয়েছিলেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি বিভাগের পিয়ন ছিলেন শহিদ সালাম। তিনি ২১ ফেব্রুয়ারি তারিখে ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে মিছিলে গিয়েছিলেন রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবিতে। শহিদ জব্বার ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলার গ্রাম্য বালক জব্বার গিয়েছিলেন মায়ের চিকিৎসা করাতে ঢাকা মেডিকেলে। তিনিও সেই মিছিলে শরীক হয়েছিলেন। এমনি করে সাধারণ জনতা রাষ্ট্রভাষা বাংলা চাই এই দাবিতে সেদিন মিছিল করেছিল। পাকিস্তানি জান্তা সরকারের নির্দেশে পুলিশ সেই মিছিলে অতর্কিত এলোপাথাড়ি গুলিবর্ষণ করে। অসংখ্য তাজা প্রাণের রক্তে লাল হয়েছিল ঢাকার রাজপথ। মুহূর্তেই সারা দেশে আগুনের ফুলকির মতো এই সংবাদ পৌঁছে যায়। জেগে উঠে সমগ্র দেশ আন্দোলনের দাবিতে। অসংখ্য মায়ের বুক শূন্য হয়েছে। ১৯৫২ সালের একুশে ফেব্রুয়ারির ঘটনাকে কেন্দ্র করে নির্মিত হয় আমাদের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার। কিন্তু তার আগে ৫২ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি রাতে শহীদদের তাৎক্ষণিক মূল্যায়নের তাগিদে রাতের অন্ধকারে গড়ে উঠেছিল প্রথম স্মৃতিস্তম্ভ। কলেজ বিল্ডিংয়ের কাজে যে সমস্ত মিস্ত্রিরা ছিল তাদের সহায়তায়  ইট, বালু ও সিমেন্ট দিয়ে মেডিকেল কলেজের ছাত্রদের অক্লান্ত পরিশ্রমে নির্মিত হয়েছিল এক স্মৃতিস্তম্ভ। এই স্মৃতি স্তম্ভের আইডিয়া এবং ডিজাইন সবই ছিল এক রাতের মধ্যে তৈরি করা। এর সঙ্গে জড়িত ছিল গভীর আবেগ এবং ভালোবাসা। এই প্রজন্মের ছেলে-মেয়েরা শহীদ মিনারকে চেনে, হামিদুর রহমানকে চেনে, কিন্তু জানেনা শহীদ মিনারের অঙ্কুরোদগমের ইতিহাস। সবচেয়ে গৌরবের বিষয় হচ্ছে যে, ঢাকা মেডিকেল কলেজেই বাংলাদেশ জন্মের বীজ বপন করা হয়েছিল ১৯৫২ সালের ২১ শে ফেব্রুয়ারির আন্দোলনের মধ্য দিয়ে। আর তারই ফলশ্রুতিতে নির্মিত হয়েছিল ২৩ ফেব্রুয়ারি রাতে স্মৃতিস্তম্ভ। ভাষা সংগ্রামী ডা. বদরুল আলমের নকশায় আঁকা এক রাতের মধ্যেই নির্মিত হয় একুশের প্রথম মিনার।
 
এই ইতিহাস আমাদের সকলের জানা। ১৯৫২ সালের ২১ শে ফেব্রুয়ারি রক্তাক্ত সেই ঘটনার পর আমরা বাংলাভাষাকে পেয়েছি  রাষ্ট্রভাষারূপে। এরপর অতিক্রান্ত হয়েছে দীর্ঘ ৭০টি বছর! বাংলা ভাষার রয়েছে একটি সোনালী ঐতিহ্য। ১৯৯৯ সালে ইউনেস্কো কর্তৃক ঘোষিত আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত হচ্ছে আজ সমগ্র বিশ্বে। মাতৃভাষা ব্যবহারকারী দেশ হিসেবে বাংলা ৫ম স্থানে রয়েছে। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট এ মহাপরিচালক ড. জীনাত ইমতিয়াজ আলী বলেছেন বাংলাদেশে মাতৃভাষা রয়েছে ৪১টি। সর্বশেষ ভাষাটির নাম রেংমিটচ্য। যার জনসংখ্যা আছে মাত্র ৬জন। ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠির ভাষাগুলোকেও সংরক্ষণ করা আমাদের দায়িত্ব। আর সে লক্ষ্যে মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট কাজ করে যাচ্ছে সরকারের নির্দেশে। বাঙালি সংস্কৃতিকে আজ ছড়িয়ে দিতে হবে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে। ভাষা আন্দোলনের আত্মত্যাগ আমাদেরকে এনে দিয়েছে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি। বাংলা আজ সমগ্র বিশ্ব দরবারে সম্মানের সাথে বিরাজ করছে। আর এই সত্যটাকে উপলব্ধি করে বাংলাকে ভালোবেসে তাকে আমাদের ব্যক্তি জীবনে এবং রাষ্ট্রীয় জীবনে মর্যাদার আসনে স্থান দিতে হবে। এই জায়গাটাতে আমরা কতটা সফল আজ?
 
সমগ্র বিশ্বে বাংলার অবস্থান/বিশ্বজুড়ে বাংলা: বাংলা সাহিত্যের প্রাচীন যুগ থেকেই বাংলা ভাষার প্রতি ভালোবাসা ব্যক্ত হয়েছে। চর্যাপদের মধ্য দিয়ে শুরু আমাদের ভাষার পথচলা।  
 
মধ্যযুগের বিখ্যাত বাঙালি মুসলিম কবি আব্দুল হাকিম(১৬২০-১৬৯০) তার নূরনামা কাব্যগ্রন্থে  বাংলা ভাষার প্রতি অগাধ শ্রদ্ধাপূর্ণ বাণী রচনা করেছেন-‘ যে সব বঙ্গেত জন্মি হিংসে বঙ্গবাণী, সে সব কাহার জন্ম নির্ণয় না জানি’। 
 
অতুল প্রসাদ সেন (১৮৭১-১৯৩৪) ছিলেন ব্রিটিশ ভারতে উনবিংশ শতাব্দীতে একজন বিশিষ্ট বাঙালি গীতিকার। তার গানগুলোর মূল উপজীব্য বিষয় ছিল দেশপ্রেম, ও ভক্তি। বাংলা ভাষা নিয়ে কবি অতুল 
প্রসাদ সেন গেয়েছেন: 
মোদের গরব মোদের আশা আ মরি বাংলা ভাষা
তোমার কোলে তোমার বোলে কতই শান্তি ভালোবাসা!
 
যুগে যুগে কালে কালে কবি সাহিত্যেকেরা বাংলাকে ভালোবেসে ভাষাকে নিয়ে রচনা করেছেন গান, কবিতা। বিদেশি শক্তির অনুপ্রবেশে ঔপনিবেশিক ভারতবর্ষে ইংরেজি বেশ প্রভাবশালী ভাষা হয়েে উঠে। সমাজের অভিজাত শ্রেণি ও ধনীরাও সে প্রভাব মেনে নিয়ে তাদের সন্তানদের ইংরেজি শিক্ষায় শিক্ষিত করেছিলেন। এক পর্যায়ে বিদেশি ভাষা ও বিজাতীয় সংস্কৃতি ধারণ করে এদেশের যুবসমাজ উচ্ছৃংখলায় গা ভাসিয়েছিল। সাহিত্যক বঙ্কিম সমাজের এহেন পরিবর্তন দেখে আক্ষেপ করে বলেছিলেন: ‘বাঙালি ভদ্রলোক সন্তানরা পরস্পর কথা বলে ইংরেজিতে, চিঠিপত্র লেখে ইংরেজিতে, হয়তো সেদিন বেশি দূরে নয় যখন লোকে দূর্গাপুজার আমন্ত্রণপত্রও  ইংরেজিতে লিখবে।’
 
মাইকেল মধুসূদন দত্ত(১৮২৪-১৮৭৩) ইংরেজি শিক্ষিত ধনীর দুলালদের উচ্ছৃঙ্খলতার বর্ণনা দিয়ে প্রহসন লেখেন,একেই কি বলে সভ্যতা?(১৯৬০) বাংলা ভাষার প্রতি ভালোবাসায় সিক্ত হয়ে মর্মবেদনায় উনবিংশ শতকে মধুসূদন লিখেছেন বঙ্গভাষা সনেট। 
‘হে বঙ্গ, ভান্ডারে তব বিধি রতন:-
 তা সবে (অবোধ আমি) অবহেলা করি,
 পর-ধন-লোভে মত্ত,  করিনু ভ্রমণ
পরদেশে,ভিক্ষাবৃত্তি কুক্ষণে আচরি।
বাঙালি সংস্কৃতি চর্চার আঁতুড়ঘর জোড়াসাঁকোর ঠাকুর পরিবারে থেকেও রবীন্দ্রনাথ বলেছিলেন, ‘আগে চাই বাংলা ভাষার গাঁথুনি, তারপরে ইংরেজি শেখার পত্তন। ১৯১৩ সালে রবীন্দ্রনাথের নোবেল পুরস্তার প্রাপ্তি বাংলা ভাষা ও সাহিত্য প্রথম আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি লাভ করে। তারপর বাংলাভাষা একের পর এক প্রাপ্তির মধ্য দিয়ে সমগ্র বিশ্বের দরবারে ১০০ বছরেরও বেশি সময় ধরে বিরাজ করছে। বর্তমানে সমগ্র বিশ্বে প্রায় ৩০ কোটি মানুষ বাংলায় কথা বলে। ভারতের পশ্চিমবঙ্গসহ আসাম, ত্রিপুরা, ঝাড়খণ্ড, ওড়িশা, আন্দামান নিকোবর, মানভূম, সাঁওতাল পরগণা প্রভৃতি এলাকায় বাংলা ভাষার প্রচলন আছে। বহির্বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বাংলা ভাষী অভিবাসী ও প্রবাসীরা রয়েছেন। বাংলা ভাষায় শিক্ষা গবেষণা এখন বিশ্বময়। বাংলা ভাষা শিক্ষাদান ছাড়াও রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, কাজী নজরুল ইসলাম, জীবনানন্দ দাশ, লালন সাই, চর্যাপদ এবং মধ্যযুগের সাহিত্য নিয়ে গবেষণা হচ্ছে। বর্তমানে সমগ্র বিশ্বে বাংলা সাহিত্য গবেষক ক্লিনটন বুথ সিলি, উইলিয়াম রাদিচে বেশ জনপ্রিয় নাম।
 
ভাষা সতত পরিবর্তনশীল। সমগ্র বিশ্বে বাংলার অবস্থান মাতৃভাষার দিক থেকে পঞ্চম আর জনসংখ্যার দিক থেকে ৭ম অবস্থানে আছে। ৭০ বছর পর বাংলাদেশের বর্তমান ভাষা পরিস্থিতি কেমন? বাংলা আমাদের রাষ্ট্রভাষা। রাষ্ট্রভাষাকে গুরুত্ব দিয়ে পৃথিবীর অনেক দেশ অনেক উন্নতি করেছে। যেমন- ইতালি, ফ্রান্স, জার্মানি, চীন, জাপান, রাশিয়া, ভিয়েতনাম, ইন্দোনেশিয়া এবং দক্ষিণ আমেরিকার ভাষানীতি আমাদের গ্রহণ করতে হবে। তারা ইংরেজিকে বাদ দিয়ে নিজেদের রাষ্ট্রভাষাকে গ্রহণ করে উন্নতির শিখরে ভাষা হিসেবে ইংরেজিকে গ্রহণ করা হয়নি। রাষ্ট্রভাষার উন্নতিতে আমাদের সর্বাঙ্গীন মঙ্গল নিহিত। তাই বাংলা ভাষার সচেতন ব্যবহারে  যত্নবান হতে হবে নিজেদের কল্যাণের জন্য। বিচার বিভাগে, উচ্চশিক্ষায়, গবেষণায়, ব্যাংকিং- এ বাংলা চালু করতে হবে। কয়েকটি দেশ বাদে পৃথিবীর আর কোথাও ইংরেজিকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদা দেয়া হয় না। 
 
ভাষা পরিস্থিতি নিয়ে সম্প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক আবুল কাশেম ফজলুল হক, মোহাম্মদ আজম, আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক রেজাউল করিম ফকির লিখেছেন বাংলাদেশের বিপর্যস্ত ভাষা ও উন্নয়নে করণীয় দিক সম্পর্কে। আমাদের উচিত এসব বিজ্ঞ বিশেষজ্ঞদের মতামত গ্রহণ করা বাংলা ভাষাকে যথাযোগ্য মর্যাদা দেয়া। অধ্যাপক আবুল কাশেম ফজলুল হক ভাষিক উন্নতির কথা বলেছেন। চিন্তা ও জ্ঞানের উন্নতির সাথে ভাষিক উন্নয়ন জড়িত। বর্তমান পুথিবীতে কেবল যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য,কানাডা,অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড এ ইংরেজি প্রথম ভাষা। দক্ষিণ আফ্রিকা ও তানজানিয়ায় ইংরেজি রাষ্ট্রপরিচালনার ভাষা। 
 
ভারতেও ইংরেজি সব ভাষার ঊর্ধ্বে স্থান করে নিয়েছে। কারণ ইংরেজি হচ্ছে আন্তর্জাতিক লিঙ্গুয়া ফ্রাংকা ভাষা। তবে এছাড়া পৃথিবীর আর কোথাও ইংরেজি রাষ্ট্র পরিচালনায় ও প্রথম ভাষা হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে না। ইংরেজি ভাষা গ্রহণ করলেই কোন জাতি জ্ঞান বিজ্ঞানও শিল্পসাহিত্যে সৃষ্টিশীল ও উন্নত হয় এটা মোটেও ঠিক নয়। এটা মনে করার কোন যুক্তসঙ্গত কারণও নেই। 
 
গবেষণায় দেখা গেছে, মাতৃভাষায় জ্ঞান অর্জন অধিক কার্যকরী। আমাদের লক্ষ্য রাখতে হবে ইতালি ফ্রান্স, জার্মানি, বেলজিয়াম, ডেনমার্ক, রাশিয়া, চীন, জাপান, ভিয়েতনাম, মালয়েশিয়া ও দক্ষিণ আমেরিকা রাষ্ট্রগুলোর ভাষানীতি কি? আমাদের শিক্ষা নিতে হবে। নিজেদের রাষ্ট্রভাষাই কল্যাণময় এই সত্যকে অনুধাবন করতে হবে। দুঃখের বিষয় দেশের বিশিষ্ট নাগরিক ও রাষ্ট্রীয় নীতি নির্ধারকেরা বাংলার প্রতি উদাসীন। তাদের অনেকেরই ধারণা বাংলা শুধু গান, কবিতা, গল্প, উপন্যাসের বিষয়। জ্ঞান বিজ্ঞানের জন্য বাংলাভাষা উপযোগী নয়। রাষ্ট্র ভাষারূপে বাংলা স্বীকৃতি পেলেও সরকার চলছে ভিন্ন পথে। তাই সরকার ইংলিশ মিডিয়ামের সাথে ইংলিশ ভার্সন চালু করেছে। উচ্চশিক্ষায় বাংলা আজও উপেক্ষিত। 
 
অনুবাদের স্বল্পতা আমাদের পিছিয়ে দিচ্ছে। বিচার বিভাগের উচ্চ পর্যায়ে ঔপনিবেশিক যুগের ভাষাকেই গ্রহণ করছি আমরা। প্রকৃত রাষ্ট্রভাষারূপে বাংলাকে প্রতিষ্ঠা করতে হবে। বর্তমানে আমাদের দেশে বাংলা মাধ্যম, ইংরেজি মাধ্যম, কওমী মাদ্রাসা শিক্ষা ব্যবস্থা চালু রয়েছে। ভাষা শিক্ষায় অব্যবস্থাপনা ভাষায় দক্ষতা অর্জনে অবনতি ঘটাচ্ছে। আর একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বাংলা ভাষার বিকৃত চর্চা রোধ করতে হবে। শুদ্ধরূপে প্রমিত ভাষার চর্চা করতে হবে সকলকে। শুদ্ধভাবে বাংলা শিক্ষার কাজটা প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকেই শুরু করতে হবে। শুদ্ধ বাংলা উচ্চারণকে শিক্ষার সঙ্গে সমন্বিত করে নিতে হবে। এমন ধারনা অনেকে পোষণ করেন যে, শুদ্ধ বাংলায় কথা বলা পশ্চাৎপদতা আর ইংরেজি বাংলার মিশ্রণে কথা বলা মানে আধুনিকতা। সর্বস্তরে বাংলা প্রচলন শৃধু কাগজে কলমে থাকলেই হবে না। সকলকে আইন মেনে চলতে হবে। বিকৃত ভাষার অনুষ্ঠান আইন করে বন্ধ করতে হবে। আমাদের দেশে উচ্চশিক্ষায় মাতৃভাষার ব্যবহার নেই বললেই চলে। এটা জাতি হিসেবে খুব দুঃখজনক। 
 
জাতি হিসেবে সমৃদ্ধ একটি ভাষা এবং উন্নত সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য থাকা সত্ত্বেও আমরা উচ্চশিক্ষায় বাংলা প্রচলন করতে পারছি না! বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস বলে মাত্র দুশো বছরেই বাংলা গদ্য তৎসম শব্দের খোলস ছেড়ে সরস ও নমনীয় হয়ে উঠেছে। সেই ভাষা আজ জ্ঞান বিজ্ঞানের বাহন হতে পারছে না? ঔপনিবেশিক আমলের সমাপ্তি এবং স্বাধীনতা প্রাপ্তির পরও বাংলা আজ উপেক্ষিত কেন? ভাষার ক্ষয় বন্ধ করতে হলে আমাদের অন্তরের মধ্যে তৈরি করতে হবে আলোবাসা। বছর ব্যাপী ইংরেজি চর্চা করে শুধু ফেব্রুয়ারি মাস এলেই বাংলার প্রতি মায়াকান্না দেখিয়ে লাভ নেই।
 
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম বলেন, ‘ভাষা দূষণ নদী দূষণের মতোই বিধ্বংসী’। আমাদের দেশে সুনির্দিষ্ট কার্যকরী কোন ভাষানীতি নেই। ইংরেজি হচ্ছে একটি ঔপনিবেশিক ভাষা। ব্রিটিশ আমলে যার প্রভাব ছিল সুদূরপ্রসারী। কিন্তু আজ আমরা স্বাধীন দেশে বাস করি। জাতি হিসেবে সভ্যতার অগ্রগতিতে শামিল হতে হলে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। আর তার জন্য প্রয়োজন একটি দেশের ভাষা পরিকল্পনা বিভাগ তৈরি। বিশ্ববিদ্যালয় বা ইনস্টিটিউট দ্বারা পরিচালিত হবে। 
 
বাংলাদেশের বিশিষ্ট ভাষাবিজ্ঞানীরা মিলে তৈরি করবেন একটি উপযোগী বাংলা ভাষা পরিকল্পনা। ইতোমধ্যেই অনেক ভাষা গবেষক ভাষা পরিকল্পনা নিয়ে বিস্তর গবেষণা গ্রন্থ রচনা করেছেন। বিদেশি ভাষা বিজাতীয় সংস্কৃতিকে কেন প্রাধান্য দিচ্ছি? রবীন্দ্রনাথ থেকে শুরু করে মনসুর মুসা পর্যন্ত বাংলা ভাষার বিভিন্ন ভাষাবিজ্ঞানীরা বাংলা ভাষা নিয়ে কাজ গেছেন। একটি সুনির্দিষ্ট ভাষা পরিকল্পনা প্রণয়ন আর সদিচ্ছাই পারে পরিস্থিতি বদলে দিতে। 
 
তথ্য সূত্র:
১.   রেজাউল করিম ফকির: বাংলাদেশের বিপর্যস্ত ভাষা পরিস্থিতি উন্নয়নে করণীয় (অধ্যাপক,আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউট, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ২০২১)
২. ভাষা আন্দোলনের ৬৯ বছর: বাংলঅদেশের ভাষা পরিস্থিতি ও রাষ্ট্রভাবনা (অধ্যাপক আবুল কাশেম ফজলুল হক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ২০২০)
৩. অধ্যাপক সাখাওয়াত আনসারী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়: সংবিধানের ভাষা বিষয়ক আলোচনা ও সেমিনার, ২০২২)
৪. ভাষা আন্দোলনের সত্তর বছর প্রাপ্তি ও প্রত্যাশা (বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি কর্তৃক আয়োজিত ওয়েবিনার,২০২২)
৫. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর: বাংলা ভাষা পরিচয়।
৬. মনসুর মুসা: বাংলা ভাষা:  প্রসঙ্গ ও পরিধি।
৭. অধ্যাপক খালেদ হোসাইন, জাহাঙ্গীর বিশ্ববিদ্যালয় (ভাষা বিষয়ক সেমিনার,২০২২)
 
লেখক: সিনিয়র প্রভাষক, গণ বিশ্ববিদ্যালয়
 
বিডি প্রতিদিন/আরাফাত
এই বিভাগের আরও খবর
ভারতীয় পানির ঢলে বন্যায় ভাসছে বাংলাদেশ
ভারতীয় পানির ঢলে বন্যায় ভাসছে বাংলাদেশ
আমরা কেমন ভিসি চাই, কেন চাই?
আমরা কেমন ভিসি চাই, কেন চাই?
উচ্চশিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরিয়ে আনবে কি তারুণ্য?
উচ্চশিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরিয়ে আনবে কি তারুণ্য?
শিশুর মানসিক বিকাশ ও সামাজিকীকরণে সুস্থ সমাজ ও পরিবেশ প্রয়োজন
শিশুর মানসিক বিকাশ ও সামাজিকীকরণে সুস্থ সমাজ ও পরিবেশ প্রয়োজন
গানে আর গল্পে অঞ্জন দত্ত
গানে আর গল্পে অঞ্জন দত্ত
আবার শুরু জীবিকার যুদ্ধ
আবার শুরু জীবিকার যুদ্ধ
আমি পেয়েছি যে পতাকা!
আমি পেয়েছি যে পতাকা!
বায়ান্নর সেই একুশের কথা
বায়ান্নর সেই একুশের কথা
কৃষিবিদরাই দেশের উন্নয়নে বেশি অবদান রাখছেন
কৃষিবিদরাই দেশের উন্নয়নে বেশি অবদান রাখছেন
অমর একুশে বইমেলা: আপন স্রোতে প্রবহমান মেধা ও মননের চিত্রকল্প
অমর একুশে বইমেলা: আপন স্রোতে প্রবহমান মেধা ও মননের চিত্রকল্প
সর্বশেষ খবর
কুষ্টিয়ায় পিসিআর ল্যাবের সব যন্ত্রাংশ চুরি, আতঙ্কিত জনসাধারণ
কুষ্টিয়ায় পিসিআর ল্যাবের সব যন্ত্রাংশ চুরি, আতঙ্কিত জনসাধারণ

২৫ মিনিট আগে | হেলথ কর্নার

মুমিন প্রতিশ্রুতি পালনে বদ্ধপরিকর
মুমিন প্রতিশ্রুতি পালনে বদ্ধপরিকর

২৯ মিনিট আগে | ইসলামী জীবন

রূপগঞ্জে ব্যবসায়ী হত্যা: বিচারের দাবিতে সড়ক অবরোধ
রূপগঞ্জে ব্যবসায়ী হত্যা: বিচারের দাবিতে সড়ক অবরোধ

৩৪ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

কাজীরহাট-আরিচা নৌরুটে যাত্রীর চাপ, গরমে অতিষ্ঠ যাত্রীরা
কাজীরহাট-আরিচা নৌরুটে যাত্রীর চাপ, গরমে অতিষ্ঠ যাত্রীরা

৩৬ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

বেচাকেনায় উদার হলে বরকত হয়
বেচাকেনায় উদার হলে বরকত হয়

৪৩ মিনিট আগে | ইসলামী জীবন

ভেদরগঞ্জে ছাত্রদলের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ছাত্রদল কর্মী ইয়াসিনের মৃত্যু
ভেদরগঞ্জে ছাত্রদলের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ছাত্রদল কর্মী ইয়াসিনের মৃত্যু

৪৪ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ইরানকে চুক্তির আহ্বান ট্রাম্পের, নইলে আরও ‘ভয়াবহ হামলার’ হুঁশিয়ারি
ইরানকে চুক্তির আহ্বান ট্রাম্পের, নইলে আরও ‘ভয়াবহ হামলার’ হুঁশিয়ারি

৪৬ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গাছ থেকে পড়ে স্কুল শিক্ষার্থীর মৃত্যু
গাছ থেকে পড়ে স্কুল শিক্ষার্থীর মৃত্যু

৪৭ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

রেকর্ড চুক্তিতে রিয়ালে আর্জেন্টিনার বিস্ময়বালক
রেকর্ড চুক্তিতে রিয়ালে আর্জেন্টিনার বিস্ময়বালক

৪৮ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

গাইবান্ধায় গলা কাটা লাশ উদ্ধার
গাইবান্ধায় গলা কাটা লাশ উদ্ধার

৫৪ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

গল্পের শেষটা ইরানই করবে, ইসরায়েলকে তেহরানের হুঁশিয়ারি
গল্পের শেষটা ইরানই করবে, ইসরায়েলকে তেহরানের হুঁশিয়ারি

৫৮ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আত্মগোপনে নেতানিয়াহু!
আত্মগোপনে নেতানিয়াহু!

৫৯ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

জাতিসংঘকে দেওয়া চিঠিতে ইরান — ‘গভীর অনুতাপ করবে ইসরায়েল’
জাতিসংঘকে দেওয়া চিঠিতে ইরান — ‘গভীর অনুতাপ করবে ইসরায়েল’

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বরিশালে যুবদল নেতার বিরুদ্ধে মামলা, তদন্ত কমিটি গঠন
বরিশালে যুবদল নেতার বিরুদ্ধে মামলা, তদন্ত কমিটি গঠন

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

বরিশালে ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
বরিশালে ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

নোয়াখালীতে ৮ হাজার ইয়াবাসহ যুবক গ্রেফতার
নোয়াখালীতে ৮ হাজার ইয়াবাসহ যুবক গ্রেফতার

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

শনিবার দেশে ফিরছেন প্রধান উপদেষ্টা
শনিবার দেশে ফিরছেন প্রধান উপদেষ্টা

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ট্রান্সফার ফির রেকর্ড গড়ে জার্মান মিডফিল্ডারকে দলে নিচ্ছে লিভারপুল
ট্রান্সফার ফির রেকর্ড গড়ে জার্মান মিডফিল্ডারকে দলে নিচ্ছে লিভারপুল

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ইসরায়েল-ইরান সংঘাতে আকাশপথ বন্ধ , সৌদি আরবে ভ্রমণ সতর্কতা
ইসরায়েল-ইরান সংঘাতে আকাশপথ বন্ধ , সৌদি আরবে ভ্রমণ সতর্কতা

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সারা দেশে পুলিশের বিশেষ অভিযানে গ্রেফতার ১৫৬৭
সারা দেশে পুলিশের বিশেষ অভিযানে গ্রেফতার ১৫৬৭

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মাগুরায় দুই মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে প্রাণ গেল একজনের
মাগুরায় দুই মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে প্রাণ গেল একজনের

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সুন্দরবনে হরিণ শিকারের ১৩৫ ফাঁদ জব্দ
সুন্দরবনে হরিণ শিকারের ১৩৫ ফাঁদ জব্দ

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

নাফনদে নিখোঁজ জেলের মরদেহ উদ্ধার
নাফনদে নিখোঁজ জেলের মরদেহ উদ্ধার

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ঝিনাইদহে বিএনপি নেতার সভায় ককটেল বিস্ফোরণ
ঝিনাইদহে বিএনপি নেতার সভায় ককটেল বিস্ফোরণ

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সোনারগাঁয়ে বাসের ধাক্কায় মোটরসাইকেল চালক নিহত
সোনারগাঁয়ে বাসের ধাক্কায় মোটরসাইকেল চালক নিহত

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

আগামী নির্বাচনে দেশপ্রেমিক শক্তিকে বিজয়ী করতে হবে : মিয়া গোলাম পরওয়ার
আগামী নির্বাচনে দেশপ্রেমিক শক্তিকে বিজয়ী করতে হবে : মিয়া গোলাম পরওয়ার

১ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

অটোরিকশার চাপায় নিহত ১
অটোরিকশার চাপায় নিহত ১

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সশস্ত্র বাহিনীর সক্রিয় দায়িত্ব পালনে জনজীবনে স্বস্তি ফিরে আসছে : কাজী মামুন
সশস্ত্র বাহিনীর সক্রিয় দায়িত্ব পালনে জনজীবনে স্বস্তি ফিরে আসছে : কাজী মামুন

১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

রাউজানে পিস্তলসহ গ্রেফতার ২
রাউজানে পিস্তলসহ গ্রেফতার ২

১ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

চোলাই মদসহ গ্রেফতার ২
চোলাই মদসহ গ্রেফতার ২

২ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

সর্বাধিক পঠিত
ইরানের পাল্টা হামলা শুরু: রিপোর্ট
ইরানের পাল্টা হামলা শুরু: রিপোর্ট

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নিজেদের আকাশসীমায় ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন প্রতিরোধ করছে জর্ডান
নিজেদের আকাশসীমায় ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন প্রতিরোধ করছে জর্ডান

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘ইরানে পারমাণবিক স্থাপনায় হামলার পরিণতি হতে পারে ভয়াবহ’
‘ইরানে পারমাণবিক স্থাপনায় হামলার পরিণতি হতে পারে ভয়াবহ’

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রোজার আগে নির্বাচন আয়োজনের প্রস্তাব তারেক রহমানের
রোজার আগে নির্বাচন আয়োজনের প্রস্তাব তারেক রহমানের

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইরানে ইসরায়েলি হামলা নিয়ে যা বললেন ডোনাল্ড ট্রাম্প
ইরানে ইসরায়েলি হামলা নিয়ে যা বললেন ডোনাল্ড ট্রাম্প

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানে ইসরায়েলি হামলার তীব্র নিন্দা, কড়া বার্তা সৌদি আরবের
ইরানে ইসরায়েলি হামলার তীব্র নিন্দা, কড়া বার্তা সৌদি আরবের

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানে ইসরায়েলি হামলার প্রতিক্রিয়ায় যা বলল রাশিয়া
ইরানে ইসরায়েলি হামলার প্রতিক্রিয়ায় যা বলল রাশিয়া

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইসরায়েলি হামলায় নিহত বেড়ে ৭০, শক্তিশালী জবাবের অঙ্গীকার ইরানের
ইসরায়েলি হামলায় নিহত বেড়ে ৭০, শক্তিশালী জবাবের অঙ্গীকার ইরানের

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানে ইসরায়েলের হামলা নিয়ে এখন পর্যন্ত যা জানা গেল
ইরানে ইসরায়েলের হামলা নিয়ে এখন পর্যন্ত যা জানা গেল

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইসরায়েলি হামলায় ইরানের বিপ্লবী গার্ড কমান্ডার সালামি নিহত
ইসরায়েলি হামলায় ইরানের বিপ্লবী গার্ড কমান্ডার সালামি নিহত

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ড্রোন, ক্ষেপণাস্ত্র, যুদ্ধবিমান— ইসরায়েলকে ইরানের জবাবের পথ কী?
ড্রোন, ক্ষেপণাস্ত্র, যুদ্ধবিমান— ইসরায়েলকে ইরানের জবাবের পথ কী?

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল
ইরানে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

উড়োজাহাজ দুর্ঘটনায় বেঁচে ফেরা রমেশের ভাই যা জানালেন
উড়োজাহাজ দুর্ঘটনায় বেঁচে ফেরা রমেশের ভাই যা জানালেন

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানে গোপন ঘাঁটি গেড়েই হামলা চালায় মোসাদ
ইরানে গোপন ঘাঁটি গেড়েই হামলা চালায় মোসাদ

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানে হামলায় ২০০ যুদ্ধবিমান ব্যবহার করেছে ইসরায়েল
ইরানে হামলায় ২০০ যুদ্ধবিমান ব্যবহার করেছে ইসরায়েল

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানে নতুন করে হামলা চালাল ইসরায়েল
ইরানে নতুন করে হামলা চালাল ইসরায়েল

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

যে কারণে ভেঙে পড়া উড়োজাহাজটির ডানা’র দিকে নজর বিশেষজ্ঞদের?
যে কারণে ভেঙে পড়া উড়োজাহাজটির ডানা’র দিকে নজর বিশেষজ্ঞদের?

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানের পাঠানো সব ড্রোন ভূপাতিতের দাবি ইসরায়েলের
ইরানের পাঠানো সব ড্রোন ভূপাতিতের দাবি ইসরায়েলের

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

লন্ডনে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে তারেক রহমান
লন্ডনে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে তারেক রহমান

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ঝুঁকি এড়াতে ৩ ঘণ্টার পথ পাড়ি দিয়েও ফের মুম্বাই ফিরল ভারতীয় উড়োজাহাজ
ঝুঁকি এড়াতে ৩ ঘণ্টার পথ পাড়ি দিয়েও ফের মুম্বাই ফিরল ভারতীয় উড়োজাহাজ

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভাগ্যহত চিকিৎসক দম্পতি ও তিন শিশু সন্তানের হাস্যোজ্জ্বল সেলফি, অতঃপর..!
ভাগ্যহত চিকিৎসক দম্পতি ও তিন শিশু সন্তানের হাস্যোজ্জ্বল সেলফি, অতঃপর..!

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইসরায়েলকে কঠোর শাস্তির হুঁশিয়ারি দিলেন খামেনি
ইসরায়েলকে কঠোর শাস্তির হুঁশিয়ারি দিলেন খামেনি

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান মোহাম্মদ বাঘেরি নিহত: রিপোর্ট
ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান মোহাম্মদ বাঘেরি নিহত: রিপোর্ট

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গোটা দেশের আকাশসীমা বন্ধ ঘোষণা ইরানের
গোটা দেশের আকাশসীমা বন্ধ ঘোষণা ইরানের

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

যানজটের কারণে ১০ মিনিট দেরি, ফ্লাইট মিস, বাঁচলো জীবন
যানজটের কারণে ১০ মিনিট দেরি, ফ্লাইট মিস, বাঁচলো জীবন

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানে ভয়াবহ ইসরায়েলি হামলা নিয়ে যা বলল জাতিসংঘ
ইরানে ভয়াবহ ইসরায়েলি হামলা নিয়ে যা বলল জাতিসংঘ

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইসরায়েলি হামলায় ইরানের ৬ পরমাণু বিজ্ঞানী নিহত, দাবি রিপোর্টে
ইসরায়েলি হামলায় ইরানের ৬ পরমাণু বিজ্ঞানী নিহত, দাবি রিপোর্টে

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইসরায়েলের এক হামলাতেই তছনছ ইরানের সামরিক সেক্টর
ইসরায়েলের এক হামলাতেই তছনছ ইরানের সামরিক সেক্টর

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানে হামলার পর ইসরায়েলজুড়ে জরুরি অবস্থা জারি
ইরানে হামলার পর ইসরায়েলজুড়ে জরুরি অবস্থা জারি

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানে ইসরায়েলি হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে যা বলল তুরস্ক
ইরানে ইসরায়েলি হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে যা বলল তুরস্ক

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রিন্ট সর্বাধিক
আগ্রহের শীর্ষে বাংলাদেশি ও ভারতীয়রা
আগ্রহের শীর্ষে বাংলাদেশি ও ভারতীয়রা

প্রথম পৃষ্ঠা

বৈঠক হবে ওয়ান টু ওয়ান রুদ্ধদ্বার
বৈঠক হবে ওয়ান টু ওয়ান রুদ্ধদ্বার

প্রথম পৃষ্ঠা

সাক্ষাৎ হলো না কেন?
সাক্ষাৎ হলো না কেন?

প্রথম পৃষ্ঠা

হাসিনাকে নিয়ে প্রশ্ন এড়ালেন জয়সোয়াল
হাসিনাকে নিয়ে প্রশ্ন এড়ালেন জয়সোয়াল

প্রথম পৃষ্ঠা

ব্রিটিশ রাজার সঙ্গে বৈঠক প্রধান উপদেষ্টার
ব্রিটিশ রাজার সঙ্গে বৈঠক প্রধান উপদেষ্টার

প্রথম পৃষ্ঠা

সিলেট-ব্রাহ্মণবাড়িয়া নেটওয়ার্ক
সিলেট-ব্রাহ্মণবাড়িয়া নেটওয়ার্ক

নগর জীবন

অন্তর্বর্তী সরকারকে বিতর্কিত করছেন উপদেষ্টারাই
অন্তর্বর্তী সরকারকে বিতর্কিত করছেন উপদেষ্টারাই

প্রথম পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

দ্রুত ছড়াচ্ছে করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট
দ্রুত ছড়াচ্ছে করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট

পেছনের পৃষ্ঠা

নবীগঞ্জে নারীদের জন্য পূর্ণাঙ্গ মসজিদ
নবীগঞ্জে নারীদের জন্য পূর্ণাঙ্গ মসজিদ

পেছনের পৃষ্ঠা

ভয়াবহ ডেঙ্গুঝুঁকিতে রাজধানী
ভয়াবহ ডেঙ্গুঝুঁকিতে রাজধানী

পেছনের পৃষ্ঠা

নো-মেকআপ লুকে রুনা
নো-মেকআপ লুকে রুনা

শোবিজ

প্রধান বিচারপতির বাসভবন, সুপ্রিম কোর্ট এলাকা
প্রধান বিচারপতির বাসভবন, সুপ্রিম কোর্ট এলাকা

প্রথম পৃষ্ঠা

ভারতে বিপাকে কিংবদন্তি দাবাড়ু
ভারতে বিপাকে কিংবদন্তি দাবাড়ু

মাঠে ময়দানে

শেফিল্ডের সর্বোচ্চ বেতনভোগী
শেফিল্ডের সর্বোচ্চ বেতনভোগী

মাঠে ময়দানে

এলিটা কিংসলে ২০২৩ সালে জাতীয় দলে প্রথম খেলেন
এলিটা কিংসলে ২০২৩ সালে জাতীয় দলে প্রথম খেলেন

মাঠে ময়দানে

ঈদের পরও আলোচনায় যাদের গান
ঈদের পরও আলোচনায় যাদের গান

শোবিজ

ক্ষমা চেয়ে চাকরি ফিরিয়ে দিতে হবে
ক্ষমা চেয়ে চাকরি ফিরিয়ে দিতে হবে

নগর জীবন

বদলে যাননি নয়নতারা
বদলে যাননি নয়নতারা

শোবিজ

ভারতে আছড়ে পড়ল বিমান
ভারতে আছড়ে পড়ল বিমান

প্রথম পৃষ্ঠা

ট্রেন্ডিংয়ের শীর্ষে জোভান
ট্রেন্ডিংয়ের শীর্ষে জোভান

শোবিজ

অভিনয় প্রসঙ্গে অপি করিম
অভিনয় প্রসঙ্গে অপি করিম

শোবিজ

মাকরানি বিদেশি প্রবাসী
মাকরানি বিদেশি প্রবাসী

মাঠে ময়দানে

এখনো সম্ভাবনা দেখছেন আসলাম
এখনো সম্ভাবনা দেখছেন আসলাম

মাঠে ময়দানে

ফিফা র‌্যাঙ্কিংয়ে ১২৮তম মেয়েরা
ফিফা র‌্যাঙ্কিংয়ে ১২৮তম মেয়েরা

মাঠে ময়দানে

বিএনপির উচ্চপর্যায়ের দল যাচ্ছে চীন
বিএনপির উচ্চপর্যায়ের দল যাচ্ছে চীন

প্রথম পৃষ্ঠা

নতুন অভিজ্ঞতায় বাঁধন
নতুন অভিজ্ঞতায় বাঁধন

শোবিজ

জমে উঠেছে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ
জমে উঠেছে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ

মাঠে ময়দানে

এশিয়ান জুনিয়র দাবায় চ্যাম্পিয়ন
এশিয়ান জুনিয়র দাবায় চ্যাম্পিয়ন

মাঠে ময়দানে

ফাইনাল নিয়ে ভাবছেন না নাজমুল
ফাইনাল নিয়ে ভাবছেন না নাজমুল

মাঠে ময়দানে