সোমবার, ১৮ জুলাই, ২০১৬ ০০:০০ টা

পার্কের ভিতর যেসব সুবিধা

ইয়াছিন খন্দকার লোভা

পার্কের ভিতর যেসব সুবিধা

>> এক দুই ঠোঙ্গা বাদাম কিনে বান্ধবীকে নিয়ে পার্কের এক কোণায় বসে দুজনে ভালোবাসার কাহিনী ফুটিয়ে তুলতে পারে। আবার পার্কের ভিতর প্রেমিক-প্রেমিকাদের কারও অভিভাবক না থাকাতে নির্ভয়ে একে অন্যের কোলে মাথা রেখে চুল ঘাঁটাঘাঁটি করার সুযোগটাও পাওয়া যায়। অনেককে আবার দেখা যায় নীরব জায়গায় গাছের সঙ্গে নয়তোবা সিঁড়িতে হেলান দিয়ে বসে মনের সুখে কানে হেডফোন লাগিয়ে ভালোবাসার মানুষটির সঙ্গে ঘণ্টার পর ঘণ্টা কথা বলে দারুণ সময় উপভোগ করেন।

 

>> শারীরিক ফিটনেস ঠিক করার জন্য পার্কের ভিতর ইচ্ছেমত দৌড়াদোড়ি ব্যায়ামচর্চা করা যায়। ঘাসের ওপরে চিৎ হয়ে শতশত বার বুক আপডাউন করা যায়। ক্লান্তিকর অবস্থায় কিছুটা সময় ঘুম যাওয়ার ব্যবস্থা করাও যায়। তাছাড়া নিজের অলসতার সময়গুলোও পার্কের ভিতর এদিকওদিক বসে বা ঘুরেফিরে কাটানো যায়। অন্যদিকে এসব সুবিধাদি উপভোগ করার জন্য পরিবারের অন্যদেরও সুযোগ করে দেওয়া যায়। ইচ্ছে করলে বাসা থেকে রান্না করে ফ্যামিলির সবাই মিলে দুপুরবেলার লাঞ্চটুকুও পার্কের এক কোণে তাঁবু টাঙ্গিয়ে খাওয়া যায়।

 

>> যারা সিঙ্গেল আছেন তারা সিঙ্গেল না থেকে নিজের জন্যে সঙ্গী খুঁজতে যেকোনো পার্কের ভিতর ঘোরাঘুরির করতে পারেন। এতে প্রায়শই ভাগ্যের খাতা খুলে যেতে পারে। বিনা টেনশনে কেউ না কেউ ধরা দেবেই। শুধু এটুকু নজর রাখলেই চলবে যে আপনার মতো কেউ একা একা পার্কের ভিতর ঘোরাঘুরি করছে কিনা ইত্যাদি। তবে আবার সিঙ্গেলদের কারও কারও আফসোসও বেড়ে যেতে পারে যদি দেখতে পায় অন্যরা কেউ জোড়া বেঁধে হাতে হাত রেখে নিরালায় বসে ভালোবাসার হিসেব কষছে।

 

>> পার্কের ভিতর টুকিটাকি বিজনেস করার সুযোগ হয়ে উঠে। যেমন খাওয়ার আইটেমের মধ্যে- বাদাম, ঝালমুড়ি, চটপটি, চা বিস্কুটসহ নানান কিছু। এছাড়া অন্যদিকে খাওয়ার আইটেম ছাড়া বিভিন্ন জিনিসপাতিরও বিক্রি করার সুযোগ হয়ে ওঠে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর