মফিজ নতুন চাকরি পেয়েছেন। তার পোস্টিং হয়েছে রাজশাহীতে। হাতে সময় নেই। খুব দ্রুত তাকে চাকরিতে জয়েন করতে হবে। এই অল্প সময়ের মধ্যে তাকে বাসা ভাড়া নিয়ে নতুন বউসহ উঠতে হবে। এই অল্প সময়ের মধ্যে বাসা কীভাবে খুঁজে পাবেন এসব দুশ্চিন্তা করতে করতে তার মাথায় একটি বুদ্ধি এলো। রাজশাহী শহরে তার অনেক পরিচিত ফেসবুক বন্ধু আছে। তিনি ঠিক করলেন আজ রাতে ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে তাদের কাছে সাহায্য চাইবেন। এই ভেবে মফিজ রাতে ঘুমানোর আগে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিলেন, ‘রাজশাহী শহরে একটা ভালোবাসা খুব দরকার। রাজশাহীর বন্ধুরা ভালোবাসা খুঁজে দিতে একটু সাহায্য করুন।’ ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে তিনি ঘুমিয়ে পড়লেন।
তার সকালে ঘুম ভাঙল বউয়ের ঝাড়িতে। উঠেই দেখেন বউ ঝাড়– হাতে সামনে দাঁড়িয়ে। কোনো কিছু বুঝে উঠতে না পেরে বালিশটা ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে ধোলাই থেকে বাঁচার আপ্রাণ চেষ্টা করলেন। ভয়ার্ত কণ্ঠে বলতে লাগলেন, আরে কি হয়েছে! কি হয়েছে!
বউ চিৎকার করে বললেন, ‘আমি থাকতে তোমার রাজশাহী শহরে ভালোবাসা দরকার, তাই না? চাকরি পেতে না পেতেই ওই শহরে প্রেম করার সাধ জেগেছে তাই না? এই নাও ভালোবাসা! আজকে তোমার ভালোবাসার সাধ মেটাব।’ মফিজ ঝাড়ু-ধোলাই থেকে বাঁচতে দৌড় দিয়ে পাশের রুমে ঢুকে আপাতত আত্মরক্ষা করলেন। দরজা একটু ফাঁক করে বললেন, আমার কথা একটু শোন? এটা সেই ভালোবাসা না। আমি বাসাবাড়ির কথা বুঝিয়েছিলাম। তুমি আর আমি একসঙ্গে থাকব বলে একটা ভালো দেখে বাসা খুঁজছিলাম। মনে হয় ‘ভালো বাসা’ লিখতে গিয়ে ‘ভালোবাসা’ লিখে ফেলেছিলাম। দুই শব্দের মাঝখানে স্পেস দিতে ভুল হয়েছে, বউ!বউ অন্য ঘরে চলে যেতে হাঁফ ছেড়ে মফিজ বলল, বড় বাঁচা বেঁচে গেছি।
লেখা : তানজিনুর সাফি ইথুন
পাঁচবিবি, জয়পুরহাট