সোমবার, ১৪ জুন, ২০২১ ০০:০০ টা

বোল্ড আউটের নেপথ্যে

কাজী সুলতানুল আরেফিন

বোল্ড আউটের নেপথ্যে

পাড়ার মাঠের ঘটনা। এক বিকালে বন্ধুদের সঙ্গে খুব মারদাঙ্গা ক্রিকেট ম্যাচ খেলছিলাম। আমি খুব ছক্কা হাঁকাতে পারতাম। সেই ম্যাচে যখন ব্যাটিংয়ে নেমেছিলাম তখন মাঠের বাইরে চোখ পড়তেই ছক্কা মারার জন্য আলাদা অনুপ্রেরণা পেলাম। মহল্লার সবচেয়ে সুন্দরী তরুণী নাহিদা  বেড়াতে এসেছে। এখন আরও কয়েকজন সখীকে নিয়ে আমাদের খেলা দেখছে। সে রাস্তায় দাঁড়িয়ে খেলার মাঠের দিকে তাকিয়ে আছে। ঠিক এই মুহূর্তে ব্যাট করতে নেমেছিলাম। মনে মনে বলছিলাম, ‘নাহিদা আজ তোমাকে দেখাব ছক্কা কয়টা মারি, কীভাবে মারি! এত বড় ছক্কা মারব, তুমি তো আমাকে বিয়ের জন্য রাজি হবেই, বাসায় গিয়ে তোমার বাবা-মাকেও আমাদের বিয়ের ব্যাপারে রাজি করিয়ে ফেলবে। খালি দেখ, কী করি!’ ব্যাট শক্ত করে আঁকড়ে ধরলাম। ফাঁকে ফাঁকে আড়চোখে নাহিদাকে দেখছিলাম। বোলার বল নিয়ে আমার দিকে ধেয়ে আসছিল। আমি ব্যাট আরও শক্ত করে চেপে ধরলাম। দাঁত-মুখও শক্ত হয়ে আসছে। এমন সময় নাহিদার হাসির শব্দ কানে এলো। আমি শেষ মুহূর্তের জন্য নাহিদার হাসি দেখার লোভ সামলাতে পারলাম না। আড়চোখে তাকিয়ে তার হাসি দেখে ব্যাট চালাতে যাচ্ছিলাম। কিন্তু ততক্ষণে দেরি হয়ে গেছে। আমার স্ট্যাম্প উড়ে গেল। ব্যাট তোলার আগেই সরাসরি বোল্ড হয়ে গেলাম। নাহিদার হাসি আমাকে আউট করে দিল। আউট হয়ে মাথা নিচু করে ফিরে যাচ্ছিলাম। আর ওই দিকে নাহিদা আউট-আউট বলে তালি দিয়ে লাফাচ্ছিল। তার মানে ও বোলারের পক্ষে ছিল! মেজাজটা এত খারাপ হলো, মনে হচ্ছিল, স্ট্যাম্প তুলে মাটিতে আছাড় মারি। কিন্তু পরের ম্যাচে নিষেধাজ্ঞার মুখোমুখি হতে পারি ভেবে মেজাজ ঠান্ডা করলাম। তাছাড়া নাহিদার পাশে দাঁড়ানো জরিনাকেও আমার একটু একটু ভালো লাগছে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর