হে আমার দুঃখময় গোধূলি প্রেম
তুমি ভালো থেকো।
জীবনের যা কিছু সঞ্চয়আমমোক্তার দিলাম তোমায়।
আকাশের শূন্যতায় অকৃপণ
পেঁজাতুলোর মতো মনোহর সাদা মেঘ
সমুদ্র গভীর লুকানো নীলদ্রি
অফুরান স্বপ্নের অমিত ভাণ্ডার—
বজ্রযোগিনী অতীশ দীপঙ্কর, পুণ্ড্র
ওয়ারিবটেশ্বর, নিষিদ্ধনগর—
মৃত্তিকায় মিশে থাকা অযুত অব্দের এন্টিক সুন্দরবন
প্রাণজুড়ানো সবুজের মায়া
দূর প্রান্তের মধ্যমাঠে বৃদ্ধ বটের নির্ভার ছায়া
সবকিছু অনাবিল নিঃশর্ত তোমাকে দিলাম।
তুমি আনমনে ক্ষণিকের ছায়াপথে যদি...
নেমে যাও অভিপ্সার অথৈ প্রপাতে।
আমার এই বিনম্র বাহাত্তুরে
সীমাবদ্ধ জলের সাঁতারে তোমায়
ডাকবো না বেমানান সাজে,
ভয়ঙ্কর চেনা খাদের কিনারে দাঁড়িয়ে
একা হাতছানি দিয়ে আর বলবো না—‘ভালোবাসি’।