শুক্রবার, ৩০ জুলাই, ২০২১ ০০:০০ টা
স্মরণ

রবীন্দ্রগবেষক কাজুও আজুমা

প্রবীর বিকাশ সরকার

রবীন্দ্রগবেষক কাজুও আজুমা

অতীতের দিকে তাকালে কত কিছুই মনে পড়ে। ২৮ জুলাই ছিল কিংবদন্তিতুল্য জাপানি রবীন্দ্রগবেষক অধ্যাপক কাজুও আজুমার দশম মৃত্যুবার্ষিকী। সুদীর্ঘ ২৫ বছর তাঁর সঙ্গে আমার গভীর বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বিদ্যমান ছিল। অনেক স্মৃতি আছে তাঁর সঙ্গে আমার।

অধ্যাপক কাজুও আজুমার জন্ম ১৯৩১ সালের ১৪ আগস্ট। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ১৯৫৯ সালে মর্যাদাসম্পন্ন টোকিও বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ভারতীয় দর্শন এবং ১৯৬০ সালে জার্মান ভাষা ও সাহিত্য বিষয়ে দুবার এমএ ডিগ্রি অর্জনকারী। ১৯৬১-৬৫ সাল পর্যন্ত য়োকোয়ামা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রভাষক এবং ১৯৬৫-৬৭ সাল পর্যন্ত সহযোগী অধ্যাপক পদে অধিষ্ঠিত থাকেন। এরপর ১৯৬৭-৭১ সাল পর্যন্ত শান্তিনিকেতনস্থ বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে জাপানি বিভাগে অধ্যাপনা করেন। এখানে সাড়ে তিন বছরকাল অবস্থান তিনি একেবারে রবীন্দ্রাদর্শিক বাঙালি করে দেয়। শতভাগ জাপানি হয়েও বাঙালিত্বকে তিনি এবং তাঁর সহগামী সহধর্মিণী মাদাম কেইকো আজুমা যেভাবে ধারণ করেছিলেন এমনটি আর কোনো রবীন্দ্রভক্ত জাপানির মধ্যে দেখা যায়নি।

এহেন কাজুও আজুমার সঙ্গে রবীন্দ্রসাহিত্যের পরিচয় তাঁর বালক বয়সে ‘ডাকঘর’ পাঠের মধ্য দিয়ে। সেই থেকে তিনি রবীন্দ্রভক্ত। মৃত্যু পর্যন্ত তাঁর কাছে গুরুদেব রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরই ছিলেন একমাত্র আরাধনা। ১৯৬৭ সালেই রবীন্দ্রনাথকে জানার জন্য, তাঁকে নিয়ে গবেষণার জন্য সিদ্ধান্তমাফিক শান্তিনিকেতনে চলে গিয়েছিলেন, কিছুদিন পর গেলেন সন্তানসহ সহধর্মিণী কেইকো মাদাম, আরেক রবীন্দ্রঅন্তপ্রাণ ভক্ত ও গবেষক। ১৯৭১ সালে ফিরে এসে অধ্যাপক আজুমা বিশ্বখ্যাত ওয়াসেদা বিশ্ববিদ্যালয়, তারপর রেইতাকু বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক নিযুক্ত হন। ২০১১ সালে মহাপ্রয়াণ পর্যন্ত রেইতাকু বিশ্ববিদ্যালয়ে তুলনামূলক সাহিত্য পড়িয়েছেন, একইসঙ্গে অসুস্থতা সত্ত্বেও রবীন্দ্রনাথকে নিয়ে গবেষণা, গ্রন্থ রচনা এবং ভারত-বাংলাদেশ-জাপান ত্রিদেশীয় শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক ভাববিনিময়ের কার্যক্রম চালিয়ে গেছেন। কতবড় বিশ্বমাপের শিক্ষাবিদ ছিলেন তিনি তার প্রমাণ পাওয়া যায় ১৯৭৪-৭৮ সাল পর্যন্ত জাপানের Massachusetts বলে খ্যাত rmyKzev  বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক, এরপর ১৯৭৮-৯১ সাল পর্যন্ত পূর্ণ অধ্যাপক, ডিন হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। অসামান্য মেধা ও ভাষাজ্ঞানের কারণে ৎসুকুবা ও রেইতাকু বিশ্ববিদ্যালয়ের এমিরেটাস প্রফেসর হিসেবে সম্মানিত ছিলেন। এ এক বিরল সম্মান এই দেশে। আমি যখন জাপানে ছাত্র হিসেবে আসি (১৯৮৪) এবং দু-তিন বছর পর তাঁর সঙ্গে প্রথম সাক্ষাৎ ঘটে তখন তিনি ৎসুকুবা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ছিলেন, তাঁর নেইম কার্ডে তাই উল্লেখ ছিল। 

একজন পরিপূর্ণ মানুষ ছিলেন তিনি। যেমন শতভাগ খাঁটি জাপানি ছিলেন, তেমনি খাঁটি বাঙালিও রীতিনীতিতে। যুক্তিতর্কে তিনি যেতেন না, প্রতিপক্ষের কথা শুনতেন শান্তভাবে। জাপানিরা সাধারণত ক্রোধান্বিত হন না। কার্য-কারণ ছাড়া জাপানিরা তর্কে লিপ্ত হতে চান না, বাজে কথা বলার মানসিকতা তাদের একদম নেই। তারা প্রতিবাদীও হতে চান না  সাধারণত, যদি কোনো অন্যায়কারী বা অপরাধী ঘাড়ে এসে না পড়ে। জাপানিরা অত্যন্ত বাস্তববাদী এবং স্বচ্ছতা ও সত্যের পক্ষে থাকতেই পছন্দ করেন। আজুমা স্যারের মধ্যে এই গুণাগুণগুলো উজ্জ্বলভাবেই আমি দেখতে পেয়েছিলাম। আর এসব গুণ ছিল বলেই তিনি একাধারে প্রাচ্যবাদী এবং বিশ্বজনীন হতে পেরেছিলেন। এই দুজন জাপানি ৮০ বছরের জীবনে অর্ধেকেরও বেশি সময় রবীন্দ্রনাথ, বাঙালি ও বাংলা ভাষার প্রেমে নিমগ্ন ছিলেন। আজুমা স্যার তাঁর ১০ বছর বয়সের সময় রবীন্দ্রনাথের ‘ডাকঘর’ পাঠ করে নিজেকে ‘অমল’ বলে ধরে নিয়েছিলেন কারণ, তখন তিনি শারীরিকভাবে অসুস্থ ছিলেন। সেই যে রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে তাঁর মানসজগতে দেখা এবং তাঁর সাহিত্যের প্রেমে পড়া, পরিণত বয়সে রবীন্দ্রনাথের জীবন ও কর্মকান্ডদ্বারা ক্রমাগত গভীরভাবে প্রভাবিত হয়েছিলেন।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর পরাজিত, বিধ্বস্ত, দারিদ্রে পর্যবশিত জাপানের জীবনযাপন তখন অবর্ণনীয় কঠোর ও কঠিন। দেশটি দাঁড়াতে পারছে না, অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল; বেকারত্ব, রাজনৈতিক অস্থিরতা, খাদ্যাভাব, নানা সমস্যা ও সঙ্কটের কবলে পতিত। অবস্থা যখন কিছুটা স্থিতিশীল হয়েছে তখন তাঁরা রবীন্দ্রনাথকে আরও জানার জন্য, বাঙালি সমাজকে দেখার জন্য টোকিও বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত অবস্থায় আগ্রহী হয়ে উঠেছিলেন এবং ১৯৬০ সালেই আবদ্ধ হলেন বিবাহবন্ধনে। রবীন্দ্রনাথ ও বাঙালি সমাজকে জানার জন্য দরকার ছিল বাংলা ভাষা জানার গুরুত্ব। আজুমা স্যার শরণাপন্ন হলেন একই বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও ভাষাপন্ডিত ওয়াতানাবে শোওকোওর কাছে। সেই থেকে তাদের কঠোর পরিশ্রম আর লড়াই শুরু হলো বাংলা ভাষাকে সমূলে জানা ও শেখার জন্য। হয়ে উঠলেন রবীন্দ্রপ্রভাবিত একটি আদর্শ জুটি।

৪০ বছরের অধিক সময় পেয়েছি এই অধ্যাপক কাজুও আজুমার কাছ থেকে প্রচুর গবেষণামূলক প্রবন্ধ, অনুবাদ, বাংলা ভাষার ছন্দ ও ধ্বনিবিষয়ক গবেষণা এবং মূল্যবান গ্রন্থাদি। তাঁর উদ্যোগে প্রকাশিত হয়েছে ১২ খন্ডে জাপানি ভাষায় রবীন্দ্ররচনাবলি। তিনি ছিলেন জাপানশীর্ষ রবীন্দ্রপ্রচারক ও ভাষ্যকার। শান্তিনিকেতনে রবীন্দ্রনাথের স্বপ্ন ‘নিপ্পন ভবন’ তথা ‘নিহোন গাকুইন’ এর প্রতিষ্ঠাতা, কলকাতায় ‘ভারত-জাপান সংস্কৃতি কেন্দ্র: রবীন্দ্র-ওকাকুরা ভবন’ এর স্থপতি। ঠিক অনুরূপ বাংলাদেশের সিলেটেও একটি প্রতিষ্ঠান ‘জাপান-বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক কেন্দ্র’ প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নিয়েছিলেন কিন্তু অতন্ত পরিতাপের বিষয় যে, দারাদ আহমেদ নামক এক বাঙালি প্রকল্পের সাড়ে ৬ কোটি বেমালুম আত্মসাৎ করে দিয়ে এক কলঙ্কজনক অধ্যায় রচনা করেছে! 

কাজুও আজুমা যা করেছেন, তাঁর যেসব কীর্তি আজ উজ্জ্বল ও জোরালো করেছে জাপান-বাংলা সম্পর্ক ও তার ইতিহাসকে, সে সম্পর্কেও বাঙালির কোনো ধারণা নেই। তথাপি, তাঁর কর্মের মূল্যায়ন করেছে পশ্চিমবঙ্গে তাঁর যে সকল ঘনিষ্ঠ ভক্তরা ছিলেন তাঁরা। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের ‘রবীন্দ্র পুরস্কার’, বিশ্বভারতীর ‘দেশিকোত্তম’ পদকসহ অনেক সম্মাননা পেয়েছেন, সাম্মানিক ডিগ্রি পেয়েছেন। জাপানের রাষ্ট্রীয় পদক ‘কোক্কা কুনশোও’ অর্জন করেছেন। কিন্তু অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় যে, ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার তাঁকে সজ্ঞানে অবহেলা ও অবজ্ঞা করে জাতীয় পদক প্রদানের ক্ষেত্রে চরম কার্পণ্য করেছে, বঞ্চিত করেছে। যা অভাবনীয়। ভারতপথিক রবীন্দ্রভক্ত অধ্যাপক কাজুও আজুমা যা কাজ করেছেন জাপান, ভারত ও বাংলাদেশের জন্য সেই মাত্রার কাজের জন্য বাংলাদেশও কোনোদিন কোনো সম্মানে তাঁকে ভূষিত করেনি। তিনি বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধের একজন নিবেদিত সমর্থক ছিলেন, জাপানে মুক্তিযুদ্ধে শরণার্থীদের জন্য অর্থতহবিল গঠনে তাঁর অবদান আদৌ কম নয়। বঙ্গবন্ধুর জাপান সফরের সময় তাঁর দোভাষী ও সার্বক্ষণিক সঙ্গী ছিলেন। বাংলাদেশের জাতীয় সংগীতের জাপানি ভাষার অনুবাদক তিনি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাহিত্য গবেষণাপত্র অনুবাদের উদ্যোক্তও তিনি। এসব কাজের কোনো মূল্যায়নই করেনি বাংলাদেশ।

কী পেয়েছেন, কী পাননি, সে জন্য তাঁর কোনো খেদ ছিল না, খেদ ছিল একটাই, বাঙালি রবীন্দ্রনাথকে চিনতে, জানতে ও বুঝতে পারেনি বলে। এই অভিযোগ করতেন তিনি বিভিন্ন সময় আলাপকালে। রবীন্দ্রনাথের জন্য কাজ করতে গিয়ে, বাঙালির জন্য কাজ করতে গিয়ে অনেক বাধা-বিপত্তি ও প্রতিরোধ তাঁকে ঠেকাতে হয়েছে এক হাতেই। আড়ালে, আবডালে অনেকেই অনেক বাজে কথা বলেছেন। তিনি তোয়াক্কা করেননি, কোনোদিন প্রতিবাদও করেননি। তিনি বলতেন, ‘রবীন্দ্রনাথ অশেষ ধৈর্যগুণের অধিকারী ছিলেন। আমরা তাঁর কাছ থেকেই শিখছি। নোবেল পুরস্কারে ভূষিত হওয়ার আগে এবং পরেও তাঁর নিন্দাকারী, সমালোচকের অভাব ছিল না! তাঁর বিরুদ্ধে মিথ্যাচার, অপপ্রচার আর মিথ এত বেশি যে, আর কোনো বাঙালি কবি, সাহিত্যিকের বিরুদ্ধে শোনা যায় না। রবীন্দ্রনাথকে ছোট করলে যে বাঙালি জাতিকে ছোট করে ফেলা হয়-এটা অনেকেই বুঝতে পারেন না। আধুনিক বাঙালি জাতির উত্থানের সঙ্গে রবীন্দ্রনাথ গোড়া থেকেই সম্পর্কিত। এই সম্পর্ক থেকে তাঁকে কেটে-ছেঁটে  আলাদা করা সম্ভবপর নয়।’

আজুমার সঙ্গে আমার সম্পর্ক দুই যুগের বেশি ছিল। অনেক আড্ডা দিয়েছি তাঁর কাঠের তৈরি দ্বিতল বাড়িতে, অনেক আলাপআলোচনা হয়েছে আমাদের মধ্যে রবীন্দ্রনাথ, বাঙালি, বাঙালি সংস্কৃতি নিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা। একসঙ্গে কিছু অনুষ্ঠানও করেছি জাপানের বিভিন্ন জায়গায়, বিভিন্ন সময়ে। এত বড় শিক্ষাবিদ ছিলেন অধ্যাপক আজুমা যার তল খুঁজে পাওয়া কঠিন। রবীন্দ্রনাথের এমন কোনো দিক নেই, বিষয় নেই যা নিয়ে তিনি ভাবেননি, গবেষণা করেননি! এরকম রবীন্দ্রঅন্তপ্রাণ বিদেশি আর কেউ ছিলেন কিনা আমার অন্ততপক্ষে জানা নেই। নিশ্চয়ই না জেনে, না পড়ে, না বুঝে তিনি এবং তাঁর সহধর্মিণী রবীন্দ্রউতলা হননি! তাহলে যেসব বাঙালি রবীন্দ্রবিরোধিতা করছেন, অপপ্রচার করছেন, যা সত্য নয় তাই নানা কৌশলে ছড়িয়ে দিচ্ছেন, তাঁরা যে না পড়ে, না জেনে, না বুঝে অহেতুক হিংসা-বিদ্বেষ-ঈর্ষা-পরশ্রীকাতরতা থেকে এসব অপকান্ড করছেন তা আর না বললেও চলে। রবীন্দ্রনাথ স্বদেশ থেকে নিয়েছেন, বিদেশ থেকে নিয়েছেন, সব ধর্ম থেকে ভালো জিনিসগুলো নিয়েই সম্পূর্ণ, ঋদ্ধ একজন মানুষ হতে পেরেছিলেন। কাউকেই, কোনো শ্রেণিকেই তিনি অবহেলা করেননি। পৃথিবীর এত দেশ ঘুরেছেন, এত কিছু দেখেছেন সেসবের বিপুল অনুভব, শিক্ষা তার রচনাবলিতে কি নেই? বিশ্বমাত্রিক চিন্তা কি তাতে বিধৃত নেই? এমনি এমনি তিনি বিশ্বকবি হয়ে উঠেছিলেন? বিদেশি মনীষীরা এমনি এমনি তার সান্নিধ্য পেয়েছেন, ভেবেছেন, গবেষণা করেছেন? তা কি ভাবা যায়?

এই যে প্রতিদিনই আমি জাপান-রবীন্দ্রনাথ সম্পর্ক নিয়ে লিখে চলেছি, এত মাতামাতি করেছেন বিশিষ্ট জাপানি মানুষরা বিগত শতবর্ষ ধরে সে কি সবই বানানো, মিথ্যা? এত তথ্য, উপাত্ত, দলিলপত্র, ঘটনা যার তল খুঁজে পাচ্ছি না, সবই কি মনগড়া? মনগড়া, মিথ্যা হলে কি অধ্যাপক কাজুও আজুমা আমাকে অনুরোধ করতেন, ‘জাপান-রবীন্দ্র সম্পর্কের ইতিহাসটা আপনি লিখুন। আর কেউ নেই লেখার। বিস্তর, বিপুল তথ্যপ্রমাণ আছে, খুঁজুন। আমার হয়ে কাজটি আপনি করবেন।’ এই আশাবাদ নিয়েই তিনি ২০১১ সালে রবীন্দ্রনাথের জন্মের সার্ধশত বছরে লোকান্তরিত হয়েছেন।

কাজুও আজুমা তাঁর শেষ সাক্ষাৎকারে ইচ্ছে প্রকাশ করেছেন এই বলে যে, ‘আবার জন্ম হলে যেন বাঙালি হয়ে জন্মগ্রহণ করি।’ মাদাম কেইকো আজুমা বলেছেন, ‘তাঁর মতো স্বামীর যেন সেবা করতে পারি। প্রাণের এই আকুল ইচ্ছে প্রকাশ কার কারণে? কবি, শিক্ষক, মানবতাবাদী এবং শতভাগ বাঙালি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কারণেই। আজুমা স্যারের তিরোধান দিবসে নিবেদন করছি গভীর গভীর শ্রদ্ধা তাঁর পবিত্র স্মৃতির প্রতি।

সর্বশেষ খবর