শনিবার, ১৩ এপ্রিল, ২০১৯ ০০:০০ টা
Forbes

সেরা তরুণ উদ্যোক্তার তালিকায় দুই বাংলাদেশি

সেরা তরুণ উদ্যোক্তার তালিকায় দুই বাংলাদেশি

হুসেইন ইলিয়াস, মোরশেদ মিশু

ফোর্বস, ম্যাগাজিন। সারা বিশ্বে প্রভাবশালী সাময়িকী। সম্প্রতি ম্যাগাজিনটি ৩০০ জন অনূর্ধ্ব-৩০ এশীয় উদ্যোক্তার নাম প্রকাশ করে। যেখানে স্বগৌরবে ঠাই করে নিয়েছেন দুই উদীয়মান বাংলাদেশি উদ্যোক্তা। এদের একজন বাংলাদেশের অন্যতম রাইড শেয়ারিং সার্ভিস ‘পাঠাও’র সহ-প্রতিষ্ঠাতা হুসেইন ইলিয়াস এবং অন্যজন ‘মোরশেদ মিশু’জ ইলাস্ট্রেশন’-এর প্রতিষ্ঠাতা ও  জনপ্রিয় কার্টুনিস্ট  মোরশেদ মিশু। প্রতি বছর মোট ১০টি শিল্প খাতে ভাগ করে এই তরুণ উদ্যোক্তা ও উঠতি তারকাদের বাছাই করা হয়ে থাকে।

হুসেইন ইলিয়াস :

এনএসইউ-এর হুসেইন ইলিয়াস, রুয়েটের  সিফাত আদনান মিলে ২০১৫ সালে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন বাংলাদেশের প্রথম রাইড শেয়ারিং সার্ভিস পাঠাও। প্রাথমিক অবস্থায় দারাজসহ বেশ কিছু ই-কমার্স সার্ভিসের জন্য কাজ শুরু করে পাঠাও। যা মধ্যে ছিল পার্সেল সার্ভিস, কার রাইড, অন-ডিমান্ড লজিস্টিকস এবং ফুড ডেলিভারি ইত্যাদি সার্ভিস। প্রথমে ব্যবসায়িক দৃষ্টিভঙ্গি ছিল না। প্রাযুক্তিক নানা সমস্যার খুঁটিনাটি সমাধান করতেন ইলিয়াস এবং সিফাত। প্রাথমিক ধারণাটি ছিল ব্যবসায়ীদের কাছে কম সময়ে মালামাল ও পণ্য পৌঁছে দেওয়া।  বর্তমানে রাইড শেয়ারিং সার্ভিস-এর পরিধি ছড়িয়েছে বাংলাদেশের ৫টি শহর এবং নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুতে। দেশ ও আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে রাইড শেয়ারিং সার্ভিস পাঠাও- প্রায় অর্ধকোটি মানুষকে প্রতিনিয়ত সেবা প্রদান করে আসছে। তাই পাঠাওয়ের সহ-প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে ‘কনজিউমার টেকনোলজি’ শাখায় হুসেইন ইলিয়াস স্থান পেয়েছেন ফোর্বসের অনূর্ধ্ব-৩০ উদ্যোক্তার তালিকায়। বয়স ৩০ বছরের বেশি হওয়ায় শিফাত আদনান এ তালিকায় আসতে পারেননি।

মোরশেদ মিশু :

সাধারণ মানুষ যুদ্ধ চায় না, শান্তি চায়। চারপাশে দুঃখের দৃশ্যগুলো দেখতে চায় না, দেখতে চায় সুখের ছবি। সেই চিন্তা থেকেই কার্টুনিস্ট মোরশেদের এ প্রয়াস। ২০১৮ সালের শুরুর দিকে কার্টুনিস্ট মোরশেদ মিশু বিশ্বজুড়ে চলমান ভয়াবহ বিভিন্ন যুদ্ধের ওপর কার্টুন তৈরি করেন। যুদ্ধের মর্মান্তিক ও যন্ত্রণাকর ছবিগুলো তিনি রং-তুলির প্রতিভায় রূপ দেন হাসি-আনন্দ ভরা শিল্পকর্মে। মূলত, গত বছর মধ্যপ্রাচ্যের যুদ্ধে আক্রান্ত মানুষের হৃদয়গ্রাহী কতগুলো ছবি ফেসবুকসহ সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে। ছবিগুলো এতটাই মর্মান্তিক যে তাকিয়ে থাকা যায় না। সেই ছবিগুলোকেই হাসি-আনন্দ ভরা শিল্পে রূপান্ত করে বিশ্বজুড়ে নন্দিত কার্টুনিস্ট হয়ে ওঠেন মোরশেদ মিশু। তিনি তার কার্টুনের মধ্যদিয়ে দেখাতে চেয়েছেন যুদ্ধের নিমর্মতা না থাকলে পৃথিবীটা কত সুন্দর হতো। মিশুর অঁাঁকা কার্টুন ‘গ্লোবাল হ্যাপিনেস চ্যলেঞ্জ’ পুরস্কার পায়। তখন থেকে মিশু দৈনিক ও সাময়ীকিতে কার্টুন আঁকা শুরু করেন। তারই ধারাবাহিকতায় ফোর্বসের তালিকায় অনূর্ধ্ব-৩০ এ স্থান পান তিনি।

সর্বশেষ খবর