শনিবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২১ ০০:০০ টা
মাস্টারসেফ অস্ট্রেলিয়া ২০২১

চূড়ান্ত পর্বে বাংলাদেশি কিশোয়ার চৌধুরী

বিশ্বের ৪০টি দেশ তাদের নিজস্ব মাস্টারশেফ আয়োজন করে থাকে। তবে জনপ্রিয়তার দিক থেকে মাস্টারশেফ অস্ট্রেলিয়া রয়েছে তালিকার শীর্ষে। অনুষ্ঠানটির বাছাইপর্বে কিশোয়ারের পরিবেশনা সাড়া ফেলে দেয়...

জামশেদ আলম রনি

চূড়ান্ত পর্বে বাংলাদেশি কিশোয়ার চৌধুরী

বিশ্বের রান্নাবিষয়ক অন্যতম জনপ্রিয় টেলিভিশন রিয়েলিটি শো মাস্টারশেফ অস্ট্রেলিয়ার ত্রয়োদশ আসরের মূল পর্বে জায়গা পেয়েছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত কিশোয়ার চৌধুরী। পর্বটি শুরু হয়েছে গত সোমবার। দেশটির নর্দার্ন টেরিটরিতে চলছে এই প্রতিযোগিতা। বাছাইপর্ব পেরিয়ে ২৪ প্রতিযোগী অংশ নিচ্ছেন চূড়ান্ত পর্বে। এ দলে আছেন কিশোয়ার চৌধুরী। সেখানে বাছাইপর্বে কিশোয়ার চৌধুরী রান্না করেন বাংলাদেশি আইটেম। সেই রান্না দেখানো হয়েছে প্রথম পর্বে। মাস্টারশেফ অস্ট্রেলিয়ার সেরা প্রতিদ্বন্দ্বীদের তালিকায় এখন সপ্তম স্থানে আছেন কিশোয়ার।

 

দেশীয়  খাবারের ঐতিহ্যকে তুলে ধরতেই জনপ্রিয় এ অনুষ্ঠানটিতে অংশ নিয়েছেন তিনি। অস্ট্রেলিয়ার জাতীয় গণমাধ্যমে এরই মধ্যে সাড়া ফেলেছেন তিনি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও তাকে সমর্থন করছেন অস্ট্রেলিয়ায় বসবাসরত বাংলাদেশিরা। কিশোয়ারের হাতে বাংলাদেশের নানা স্বাদের ঐতিহ্যবাহী আইটেমগুলো শিগগিরই দেখা যাবে আন্তর্জাতিক এই প্ল্যাটফরমে। এ ছাড়া বাছাই পর্বে প্রতিযোগীদের পরিচিতি পর্ব এবং তাদের রান্নার প্রথম পদের বিষয়াদি প্রচার হয়েছে। বিশ্বে রান্নাবিষয়ক টেলিভিশন রিয়েলিটি শোর মধ্যে মাস্টারশেফ অন্যতম। বিশ্বের ৪০টি দেশ তাদের নিজস্ব মাস্টারশেফ আয়োজন করে থাকে। তবে জনপ্রিয়তার দিক থেকে মাস্টারশেফ অস্ট্রেলিয়া রয়েছে তালিকার শীর্ষে। অনুষ্ঠানটির বাছাইপর্বে কিশোয়ারের পরিবেশনা এরই মধ্যে সাড়া ফেলেছে। বিচারকদের প্রশ্নের জবাবে রান্নার বই লেখার স্বপ্নের কথা জানান তিনি। কিশোয়ারের এ স্বপ্ন বিচারক থেকে দর্শক সবার মন জয় করেছে। বাছাইপর্বে কিশোয়ারের মাছ আর কাঁচা আমের টক তৈরি করেছিলেন। যা দেখে বিচারকরা মুগ্ধ হয়েছেন এবং স্বাদও পছন্দ করেছেন। বিচারক জক জনফ্রিলোর মন্তব্য করেন, আমি কল্পনা করতে পারছি এই রেসিপিটি তৈরি করা কত কঠিন।

এ বছরের আমার খাওয়া সেরা রেসিপি এটি। অনুষ্ঠানে মাস্টারশেফ লোগোযুক্ত অ্যাপ্রোন পেয়ে কিশোয়ার আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন। মাস্টারশেফ অস্ট্রেলিয়ার এবারের আসরের পুরস্কার আড়াই লাখ অস্ট্রেলীয় ডলার। বিজয়ীর মুকুট অর্জনের জন্য প্রতি সোমবার হবে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই। আপাতত প্রতিযোগিতা হবে দলীয়, হারলেই প্রতিযোগিতা থেকে বাদ পড়তে হবে। প্রতি বুধবার থাকছে রহস্য চ্যালেঞ্জ। এরপর সেরা ১২ প্রতিযোগী বৃহস্পতি ও রবিবার এককভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। অস্ট্রেলিয়ার ভিক্টোরিয়া রাজ্যের মেলবোর্নের বাসিন্দা কিশোয়ার চৌধুরীর জন্ম ও বেড়ে ওঠা অস্ট্রেলিয়ায়। পেশায় একজন ‘বিজনেস ডেভেলপার’। দুই সন্তানের মা কিশোয়ার সন্তানদের জন্য বাংলাদেশি খাবার রান্না করতে পছন্দ করেন। পরিবারের কাছ থেকে শিখেছেন নানান রেসিপি। কিশোয়ার তার পারিবারিক রান্নার সংস্কৃতি নিয়ে গর্বিত। তিনি জানান, তার পরিবারের সবাই কমবেশি রাঁধুনী। পারিবারিক রেসিপির সঙ্গে নিজস্বতার ছোঁয়া কিশোয়ারের মূল শক্তির জায়গা। কিশোয়ার চৌধুরী অস্ট্রেলিয়ায় রাষ্ট্রীয় সম্মাননা পাওয়া এবং পরিচিত মুখ বাংলাদেশি ব্যবসায়ী কামরুল হোসাইন চৌধুরী ও লায়লা চৌধুরীর মেয়ে। কিশোয়ার চৌধুরী মোনাশ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাণিজ্যে স্নাতক এবং আর্টস লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গ্রাফিকস  ডিজাইনে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন।

সর্বশেষ খবর