গাছের সঙ্গে বন্ধুত্বের মতো বসবাসের জন্য এবং পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় বৃক্ষরোপণে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ প্রধানমন্ত্রীর জাতীয় পুরস্কার পেয়েছেন দিনাজপুরের রাখী দে। তার হাতেগড়া দৃষ্টিনন্দন ছাদবাগানে প্রায় দুই শতাধিক বিভিন্ন প্রজাতির ফলদ, ঔষধি ও নানা ধরনের ফুলের সমারোহ। বাড়িতে প্রবেশের দুই পাশেও রয়েছে নানান ফুলের সমারোহ। সবুজের সমারোহ দেখে যে কারও চোখ জুড়িয়ে যাবে। ছাদে যেন প্রকৃতির মেলা। গড়ে তুলেছেন বসতবাড়িতে প্রকৃতির এক টুকরো ভালোবাসা।
সম্প্রতি বৃক্ষরোপণে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ প্রধানমন্ত্রীর জাতীয় পুরস্কার হিসেবে সনদপত্র আর সম্মাননা ক্রেস্ট পেয়েছেন দিনাজপুর শহরের বড়বন্দর-গুড়গোলা এলাকার গৃহবধূ রাখী দে। ঢাকার আগারগাঁও বনবিভাগের অডিটোরিয়ামের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে পুরস্কার প্রদান করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে পরিবেশ বন ও জলবায়ু মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মো. শাহাবউদ্দীন এমপি।
গৃহিণী রাখী দে’র যতেœ গড়া ছাদবাগানের প্রায় ২০০ প্রজাতির বৃক্ষদের সঙ্গে বন্ধুত্ব করে চলছে পরিবারের সবাই। রাখী দে বলেন, ‘দোতলা বাড়ির ছাদে কতবেল, সফেদা, কয়েক রকমের আম, কমলা, জাম, কামরাঙা, মালটা, আপেল, পেয়ারা, করমচা, কাঠবাদাম, আমলকী, আঙ্গুর গাছ, ড্রাগন ফল, সুপারি, নারিকেল গাছ এবং ফুলের মধ্যে জবা, টগর, বেলি, গাঁদা, নয়নতারা, অপরাজিতাসহ দেশি-বিদেশি প্রায় ২০০ প্রজাতির গাছ আমরা যত্ন করে মানুষ করছি।’