শনিবার, ১১ মার্চ, ২০২৩ ০০:০০ টা

চট্টগ্রামে প্রাইভেট টার্ফের যাত্রা

ইমরান এমি, চট্টগ্রাম

চট্টগ্রামে প্রাইভেট টার্ফের যাত্রা

চট্টগ্রাম শহরে মাঠের সংকট দিন দিন প্রকট হচ্ছে। হাতেগোনা যে কটি মাঠ আছে তাও বন্ধ রাখে নানা অজুহাতে কর্তৃপক্ষ। যার কারণে খেলাধুলা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে চট্টগ্রামের শিশু-কিশোররা। এরই মধ্যে করোনা মহামারিতে সবকিছু স্তব্ধ করে দেয়। ঘরবন্দি জীবনে ছিল না এতটুকু স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলানোর জায়গা। ঠিক সে সময়ে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে খেলাধুলার জন্য ওয়াসিফ আহমেদ সালাম নামে এক তরুণের উদ্যোগে গড়ে উঠে চট্টগ্রামের প্রথম প্রাইভেট টার্ফ। এ টার্ফের দেখাদেখি চট্টগ্রামে ইতোমধ্যে বাণিজ্যিকভাবেও যাত্রা শুরু করেছে বেশ কয়েকটি টার্ফ।

ওয়াসিফ আহমেদ সালাম শিল্পগ্রুপ এশিয়ান গ্রুপের পরিচালক। তারই উদ্যোগে ৩০ হাজার স্কয়ার ফিট জায়গার ওপর প্রতিষ্ঠিত হয় ‘ইনডোর এশিয়ান স্পোর্টস কমপ্রেক্স’। এ টার্ফে ব্যাডমিন্টন, ফুটসাল, ক্রিকেট ও বাস্কেটবল খেলার উপযোগী করা হয়েছে। করোনার মাঝামাঝি সময়ে এ টার্ফের যাত্রা শুরু হয়।

ওয়াসিফ আহমেদ সালাম বলেন, আমাদের চট্টগ্রামে মাঠের সংকট দীর্ঘদিনের। চাইলেও কোনো খোলা মাঠে খেলার সুযোগ নেই। এরই মধ্যে করোনাকালীন ঘরবন্দি হয়ে পড়ে পুরো বিশ্ব। সে সময়ে সুস্থ বিনোদন বা খেলাধুলা করার মতো কোনো জায়গা ছিল না চট্টগ্রামে। যার কারণে আমাদের পরিবারের সদস্যদের নিয়ে খেলাধুলা করার জন্য এ টার্ফ নির্মাণ করি। এখানে আমাদের পরিবারের সদস্য ছাড়াও করপোরেট টুর্নামেন্টের আয়োজন করা হয়। অপরদিকে নগরের ২ নম্বর রেলগেট এলাকায় গড়ে তোলা হয়েছে ‘চট্টো টার্ফ’ নামের দারুণ এক কমপ্লেক্স। যেখানে ফুটবল, বাস্কেটবল, ব্যাডমিন্টন এবং ক্রিকেটের অনুশীলনের সুযোগ মিলছে। প্রায় ১৫ গন্ডা জায়গার ওপর গড়ে ওঠা এই চট্টো টার্ফে রয়েছে একটি ফুটসাল মাঠ। যেটি দৈর্ঘ্যে ৯০ ফুট এবং প্রস্থে ৫০ ফুট।

এ ছাড়াও রয়েছে একটি থ্রি ভি থ্রি বাস্কেটবল মাঠ। এটি হচ্ছে বাস্কেটবলের হাফ মাঠ। যেখানে একটি বাস্কেট থাকে। মূলত ঘুরে ঘুরে এই মাঠে খেলতে হয়। এ ছাড়া দুটি ব্যাডমিন্টন কোর্ট এবং একটি ক্রিকেট অনুশীলনের নেট রয়েছে। চট্টগ্রামে ইনডোর বা আউটডোর সে রকম কোনো মাঠ নেই। যেখানে তরুণরা অবসর সময়ে খেলাধুলার মাধ্যমে নিজেদের মাতিয়ে রাখবে।  মাঠ না থাকার কারণে বর্তমান সময়ে কিশোর ও তরুণ সমাজের বিশাল একটি অংশ মোবাইল ফোন ও কম্পিউটার গেমসে আসক্তি হয়ে উঠছে।

সর্বশেষ খবর