রবিবার, ৯ জানুয়ারি, ২০২২ ০০:০০ টা

সবার উন্নত স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে কাজ করছি

দেশের স্বাস্থ্যসেবায় দক্ষ চিকিৎসক ও নার্স গড়ার লক্ষ্যে ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ ও ইউনিভার্সেল নার্সিং কলেজ আস্থার সঙ্গে কাজ করছে

সবার উন্নত স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে কাজ করছি

ডা. আশীষ কুমার চক্রবর্ত্তী

ব্যবস্থাপনা পরিচালক

ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, ঢাকা ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ সোসাইটি অব প্রাইভেট হসপিটালস

 

ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও বাংলাদেশ সোসাইটি অব প্রাইভেট হসপিটালসের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. আশীষ কুমার চক্রবর্ত্তী বলেছেন, সবার জন্য উন্নত স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ২০০৪ সালে নতুন ব্যবস্থাপনায় রাজধানীর প্রাণকেন্দ্র মহাখালীতে আয়েশা মেমোরিয়াল হাসপাতাল যাত্রা শুরু করে। দীর্ঘ ১১ বছর ধরে আয়েশা মেমোরিয়াল নামে আন্তরিকতার সঙ্গে নিবিড় স্বাস্থ্যসেবা দিয়ে যাওয়ার পর ২০১৫ সালের ৩০ নভেম্বর মেডিকেল কলেজ শিক্ষা কার্যক্রম যুক্ত হওয়ায় প্রতিষ্ঠানটির নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। আমরা স্বাস্থ্যসেবার নানা বিভাগগুলোকে বিশেষায়িত করে নিজেদের একটি স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তুলেছি। যা অধিকতর আধুনিক স্বাস্থ্যসেবা প্রদান নিশ্চিত করতে বদ্ধপরিকর। এই দীর্ঘ সময়ের সাফল্যের অভিজ্ঞতা নিয়ে বাংলাদেশের স্বাস্থ্যসেবার ক্ষেত্রে হাসপাতালটি নিজের সুস্পষ্ট অবস্থান তৈরি করেছে। আজ বাংলাদেশের চিকিৎসা ক্ষেত্রে ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল একটি অন্যতম রেফারেল হাসপাতাল হিসেবে পরিচিত। তিনি আরও বলেন, গত বছর ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বহির্বিভাগে ৬০ হাজার রোগী, অন্তর্বিভাগে ৮ হাজার ৫০০ রোগী চিকিৎসা নিয়েছেন। প্রতি বছরই রোগীর সংখ্যা প্রায় ১০-১৫ শতাংশ করে বৃদ্ধি পাচ্ছে। ৫০০ শয্যাবিশিষ্ট এই হাসপাতালে বর্তমানে দুই শতাধিক চিকিৎসক, ৩৫০ জন নার্সসহ মোট ১ হাজার ৬৫০ জন স্বাস্থ্যকর্মী সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। এর মধ্যে ৫০ জনের অধিক বিশেষজ্ঞ পূর্ণকালীন চিকিৎসক রয়েছেন। এ ছাড়া পার্টটাইম বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক রয়েছেন আরও অর্ধশতাধিক, যারা নিয়মিত বহির্বিভাগ ও অন্তর্বিভাগ রোগীদের চিকিৎসা প্রদান করছেন।

হাসপাতালের চিকিৎসা ব্যয় সম্পর্কে ডা. আশীষ কুমার চক্রবর্ত্তী বলেন, এই হাসপাতালের চিকিৎসা ব্যয় মূলত মধ্যবিত্ত ও উচ্চমধ্যবিত্ত শ্রেণির আর্থিক সংগতির কথা মাথায় রেখে ঠিক করা হয়েছে। এখানে ভিভিআইপি স্যুট ও মিনিস্টারিয়াল কেবিনও আছে। দরিদ্র রোগীদের জন্য মেডিকেল কলেজের ১০ শতাংশ শয্যা বরাদ্দ আছে; এখানে রোগীরা সরকারি হাসপাতালের মতো সুবিধা পাবেন। এটি একটি ক্রিটিক্যাল কেয়ার বেজড হাসপাতাল এবং ওয়ান স্টপ কার্ডিয়াক সেন্টার। তাই একেবারে সাধারণ রোগীদের জন্য এই হাসপাতাল কিছুটা ব্যয়বহুল মনে হতে পারে। তাই এ ধরনের রোগী ভর্তি হলে আর্থিক অবস্থার কথা বিবেচনা করে দ্রুততম সময়ে তাদের সরকারি হাসপাতালগুলোতে রেফারের ব্যবস্থা করা হয়।

দেশে স্বাস্থ্যসেবার সংকটের সময়ে আপনারা কী ধরনের ভূমিকা পালন করেছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, এই হাসপাতাল সবসময় সরকারের পাশাপাশি বিভিন্ন দুর্যোগে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে। কভিড মহামারিতে সরকারের আহ্বানে প্রথম যে দুটি বেসরকারি হাসপাতাল পূর্ণাঙ্গ কভিড চিকিৎসা শুরু করে, ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল তার অন্যতম। বেসরকারি স্বাস্থ্যসেবা এ দেশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। ৬০ শতাংশের বেশি রোগী বেসরকারি হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে স্বাস্থ্যসেবা গ্রহণ করে থাকে। কিন্তু প্রায়ই বেসরকারি হাসপাতালে রোগীর স্বজনদের সৃষ্ট ঝামেলার কথা শোনা যায়। এর অন্যতম প্রধান কারণ বিল। অথচ উন্নত দেশসমূহ এমনকি পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতেও রয়েছে স্বাস্থ্যবীমা যা রোগীদের বিলের বোঝা কমাতে পারে। তাই সরকারের কাছে আবেদন স্বাস্থ্যবীমা বাধ্যতামূলক করা হোক। এতে রোগীদেরই স্বার্থরক্ষা হবে। হাসপাতাল নিয়ে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সম্পর্কে এ ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, ইতোমধ্যে ৫০০ শয্যাবিশিষ্ট আন্তর্জাতিক মানের সুপার স্পেশালিটি ইউনিভার্সেল মেডিসিটির নির্মাণকাজ শুরু হয়েছে। যেখানে অঙ্গ প্রতিস্থাপনসহ উন্নত বিশ্বের সব চিকিৎসা সুবিধা যৌক্তিক ব্যয়ে বিদ্যমান থাকবে। পাশাপাশি দেশের স্বাস্থ্যসেবায় দক্ষ চিকিৎসক ও নার্স গড়ার লক্ষ্যে ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ ও ইউনিভার্সেল নার্সিং কলেজ আস্থার সঙ্গে কাজ করছে। দোরগোড়ায় উন্নত স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিয়ে মানুষের মুখে হাসি ফোটানো আমাদের প্রত্যাশা।

সর্বশেষ খবর