শুক্রবার, ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা
সা ক্ষা ৎ কা র

বাংলাদেশে কিংসলেই প্রথম

লাল-সবুজ জার্সি গায়ে জড়ানোর অপেক্ষায়

বাংলাদেশে কিংসলেই প্রথম

বাংলাদেশের ফুটবলে দীর্ঘ এক দশক ধরে খেলছেন এলিটা কিংসলে। নাইজেরিয়ান বংশোদ্ভূত এই ফুটবলার বর্তমানে বাংলাদেশের নাগরিক। খেলছেন বসুন্ধরা কিংসের জার্সিতে। ফুটবল, বাংলাদেশের নাগরিকত্ব, জাতীয় দলে খেলার সম্ভাবনা, নাইজেরিয়ার ছেলেবেলা ইত্যাদি নানা বিষয়ে আলাপ করেছেন তিনি। সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন - রাশেদুর রহমান

বাংলাদেশের ফুটবলে দীর্ঘ এক দশক ধরে খেলছেন এলিটা কিংসলে। নাইজেরিয়ান বংশোদ্ভূত এই ফুটবলার বর্তমানে বাংলাদেশের নাগরিক। খেলছেন বসুন্ধরা কিংসের জার্সিতে। ফুটবল, বাংলাদেশের নাগরিকত্ব, জাতীয় দলে খেলার সম্ভাবনা, নাইজেরিয়ার ছেলেবেলা ইত্যাদি নানা বিষয়ে আলাপ করেছেন তিনি। সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন - রাশেদুর রহমান

বাংলাদেশকে কেন নিজের দেশ হিসেবে বেছে নিলেন?

আমি এই দেশে গত এক দশক ধরে শান্তিতে বসবাস করছি। এটা অনেক বড় ব্যাপার আমার কাছে। এখানে কোনো রক্তারক্তি নেই। চারদিকেই শান্তি। সবার কাছ থেকেই ভালোবাসা পেয়েছি। একটা দেশকে ভালোবাসার জন্য আমার কাছে এ কারণগুলো যথেষ্ট।

সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের জন্য ঘোষিত বাংলাদেশের প্রাথমিক দলে আপনার নাম আছে। এ দেশের নাগরিকত্ব পাওয়ার পর জাতীয় দলেও খেলার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। এর আগে কেউ এভাবে নাগরিকত্ব পেয়ে বাংলাদেশের জার্সি গায়ে জড়ায়নি। দলে সুযোগ পেলে আপনার লক্ষ্য কী হবে?

আমি এখনো ঠিক জানি না জাতীয় দলে সুযোগ পাব কি না। প্রাথমিক স্কোয়াডে আমার নাম আছে জেনেছি। দেখেন একজন ফুটবলারের স্বপ্ন থাকে জাতীয় দলে খেলা। যেদিন নাগরিকত্ব পেয়েছি সেদিন থেকেই অপেক্ষায় আছি লাল-সবুজের জার্সি কবে গায়ে জড়াব।

নতুন দেশের নাগরিকত্ব পেলে জাতীয় দলে খেলতে অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র লাগে। আমি সবই দিয়েছি। বাফুফে তা ফিফা ও এএফসির কাছে পাঠিয়েছে। আমার বিশ্বাস আমি অনুমতি পাব। সাফ ফুটবল খেলতে মুখিয়ে আছি। অবশ্য তার আগে ট্রায়ালে আমাকে যোগ্যতার প্রমাণ দিতে হবে।

নাইজেরিয়ায় কীভাবে একজন ফুটবলার হিসেবে গড়ে উঠলেন?

শৈশবেই একজন ফুটবলার হিসেবে আমার যাত্রা। ফুটবল ছাড়া আমার জীবনে অন্য কিছুর গুরুত্ব ছিল না। আমার ভাই-বোনেরা বাবার কাছে নানা ধরনের উপহার চাইতো। আমি কেবল ফুটবলই চাইতাম। নাইজেরিয়ার পোর্ট হারকোর্ট শহরে বড় হয়েছি। সেখানেই বন্ধুদের সঙ্গে খেলতে খেলতে ফুটবল জগতে প্রবেশ করি। আমার বড় ভাই এলিটা পলিনস আমাকে অনেক উৎসাহ দিতেন। খেলার জন্য তার কাছে যা চাইতাম তাই পেতাম।

বাংলাদেশের ফুটবলে কীভাবে এলেন?

আমি তখন উজবেকিস্তানে ছিলাম। সেখানে ওয়ার্ক পারমিট নিয়ে সমস্যা হয়। আমার এক বন্ধু বলল, বাংলাদেশে আসতে পার। আমি উজবেকিস্তান থেকে ভিসা নিয়ে বাংলাদেশে চলে আসি। এখানে এসে প্রথমদিকে বিভিন্ন ক্লাবের সঙ্গে যোগাযোগ হয়। এর মধ্যে মোহামেডানও ছিল। তবে কোথাও থেকেই কাক্সিক্ষত প্রস্তাব পাচ্ছিলাম না। সেসময় বাংলাদেশ জাতীয় দলের বিপক্ষে একটি ম্যাচ খেলার সুযোগ পাই। কামাল বাবু ছিলেন আমাদের (বিদেশি দলের) কোচ। সেই ম্যাচে খেলে আমি দুটি গোল করি। এরপরই অনেক প্রস্তাব আসে। সবার আগে আরামবাগ ভালো প্রস্তাব দেয়। আমি তাদের সঙ্গেই চুক্তি করি।

বাংলাদেশের ফুটবলে একটি দশক কাটিয়েছেন। এখানে কোনো উন্নতি দেখছেন কী?

এখানে ফুটবলে উন্নতি হচ্ছে। তবে আরও অনেক উন্নতির প্রয়োজন আছে। প্রচুর স্পন্সরশিপ প্রয়োজন। আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী না হলে ক্লাবের পক্ষে ফুটবল পরিচালনা করা সম্ভব নয়। বসুন্ধরা কিংসের কথাই বিবেচনা করুন। দারুণ একটা দল। সুন্দর ক্লাব ম্যানেজমেন্ট। এই দলকে আমি সম্মান করি। তারা বাংলাদেশের অন্য ক্লাবগুলোর জন্য একটা মানদন্ড স্থাপন করেছে। অন্যদের উচিত বসুন্ধরা কিংসকে অনুসরণ করা।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর