বিশ্বকাপ ফুটবল ইতিহাসে এমনটি কখনোই দেখা যায়নি। এর আগে কোনো স্টেডিয়াম শুধুমাত্র বিশ্বকাপের জন্য তৈরি হয়নি। কিংবা বিশ্বকাপ শেষে স্টেডিয়ামটি ভেঙে চুড়ে ঠাঁই পায়নি ইতিহাসের খেরো খাতায়। ‘স্টেডিয়াম ৯৭৪’ বানানো হয়েছিল শুধুমাত্র বিশ্বকাপ ফুটবলের জন্য। ব্রাজিল-দক্ষিণ কোরিয়া ম্যাচ শেষে স্টেডিয়ামটি এখন ইতিহাস। স্টেডিয়ামটিতে খেলা হয়েছে ৭টি। বিশ্বকাপ শেষ হওয়ার পর স্টেডিয়ামটি গল্প হিসেবে চিরস্থায়ী হবে ইতিহাসের সোনালি পাতায়। পরবর্তী প্রজন্ম গল্পে গল্পে উচ্চারণ করবে স্টেডিয়ামটির নাম।
দূর থেকে দেখে ঠিক স্টেডিয়াম মনে হয় না স্টেডিয়াম ৯৭৪-কে। দেখে মনে হয় কন্টেইনারের সারি। একটার উপর একটা, একটার পাশে একটা- এমনটির দেখা মেলে শুধু সমুদ্র কিংবা নদী বন্দরগুলোতে। কিন্তু কন্টেইনার দিয়ে স্টেডিয়াম-ফুটবল বিশ্বে এই প্রথম। ৯৭৪টি কন্টেইনার দিয়ে তৈরি স্টেডিয়ামটি এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে, যেখানে শীতাতপের কোনো ব্যবস্থা রাখা হয়নি। ব্রাজিল-কোরিয়া ম্যাচ শেষে সমুদ্রের পাশে বানানো স্টেডিয়ামটি ভেঙে ফেলা শুরুও হয়েছে। কন্টেইনারগুলোতেই বিজ্ঞানসম্মত উপায়ে বসানো হয়েছে চেয়ার। স্টেডিয়ামটির আসন সংখ্যা ছিল ৪৪ হাজার। কন্টেইনার দিয়ে বানানো বলে স্টেডিয়ামটি দেখতে আহামরি নয়। নান্দনিকতার ছোঁয়া নেই। হামাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ৯৭৪ স্টেডিয়াম হাঁটা পথ দূরত্ব। ঢোকার মুখে স্বাগত জানায় পানির ফোয়ারা। যা কাতার বিশ্বকাপের অপরাপর ৭টি স্টেডিয়ামে নেই।