ওয়েস্ট ইন্ডিজে ওয়ানডে সিরিজের প্রস্তুতি নিচ্ছে বাংলাদেশ। কাল প্রথম ওয়ানডে খেলবেন মুশফিকরা। এর আগে গত পরশু ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জের আবহাওয়া এবং উইকেটের সঙ্গে মানিয়ে নিতে টাইগাররা একটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলেছে গ্রেনাডার বিপক্ষে। গ্রেনাডার সেন্ট জর্জেসেই প্রথম ওয়ানডে খেলবেন টাইগাররা। প্রস্তুতি ম্যাচে স্বাগতিকদের ৯৫ রানের বড় ব্যবধানে হারিয়েছেন মুশফিকরা। জাতীয় দল যখন প্রস্তুত ক্রিস গেইলদের বিপক্ষে লড়াইয়ের জন্য, তখন প্রায় অগোচরেই টেস্ট র্যাঙ্কিংয়ে অলরাউন্ডারের শীর্ষে ওঠে এলেন সাকিব আল হাসান। টেস্ট বোলারের র্যাঙ্কিংয়ে ১৮ নম্বর। ব্যাটসম্যান হিসেবে ৩১ নম্বর। তিন অবস্থানে বাংলাদেশের সেরা পারফরমার সাকিব। সব ধরনের ক্রিকেটে ছয় মাস নিষিদ্ধ থাকায় তিনি ওয়েস্ট ইন্ডিজ যাননি।
সাকিব সর্বশেষ টেস্ট খেলেছিলেন এ বছরের ফেব্রুয়ারিতে। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে খেলা ওই টেস্টটি এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের শেষ টেস্ট। চট্টগ্রামের ওই টেস্টে কুমার সাঙ্গাকারা ট্রিপল সেঞ্চুরি করেছিলেন। সাকিব প্রথম ইনিংসে নিয়েছিলেন ৫ উইকেট। দ্বিতীয় ইনিংসে একটি। ব্যাটিংয়ে প্রথম ইনিংসে ৫০ এবং দ্বিতীয় ইনিংসে অপরাজিত ছিলেন ৪৩ রানে। এরপর ওয়ানডে খেলেছেন সাকিব। কিন্তু টেস্ট না খেললেও প্রতিদ্বন্দ্বীদের বাজে পারফরম্যান্সে ফের টেস্ট র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে ওঠে আসেন। বিশেষ করে শীর্ষে থাকা ভারতের রবিচন্দন অশ্বিন যাচ্ছেতাই পারফরম্যান্স করেন। বাজে পারফরম্যান্সের জন্য নেমে আসেন দ্বিতীয় স্থানে।
আসলে টেস্ট র্যাঙ্কিংয়ের বিষয়টি অনেকটা মিউজিক্যাল চেয়ারের মতো। কখন যে শীর্ষে থাকে, সেটা বলাই মুশকিল। সাকিব এর আগে টেস্ট অলরাউন্ডারের শীর্ষস্থানে ছিলেন গত ডিসেম্বরে। এরপর ১১ আগস্ট অশ্বিনের কাছে জায়গা হারান। গত ছয় মাস কোনো টেস্ট না খেলেও আবার টেস্ট অলরাউন্ডারের শীর্ষস্থানটি ফিরে পান সাকিব। অদ্ভুত! টেস্ট না খেলায় তার র্যাঙ্কিংয়ের পয়েন্টের কোনো হেরফের হয়নি। অপরিবর্তিত রয়ে গেছে ৩৬৪।
সেরা পাঁচ টেস্ট অলরাউন্ডার
ক্রিকেটার রেটিং
সাকিব আল হাসান ৩৬৪
রবীচন্দন অশ্বিন ৩৫৭
ফিল্যান্ডার ৩৪৮
স্টুয়ার্ট ব্রড ২৯৬
মিচেল জনসন ২৮০