'কী দারুন এক ম্যাচ! আবারো হেরাথের জাদুকরী বোলিং। মাহেলার বিদায়ী ম্যাচটা স্মরণীয় করে রাখা গেল। হেরাথ সত্যিই একজন ম্যাজিকম্যান।' -ম্যাচ শেষে ড্রেসিং রুমে ঢুকেই টুইট করেন কুমার সাঙ্গাকারা। সত্যিই তো মাহেলা জয়াবর্ধনের বিদায়টা অবিস্মরণীয় হয়ে থাকলো। শুধুমাত্র বিদায়ী ম্যাচই নয়, সিরিজটাও লঙ্কানরা জিতে নিল ২-০ ব্যবধানে। আর মাহেলার বিদায়মঞ্চটা নিপূণ হাতে রাঙিয়ে দিলেন স্পিনার রঙ্গনা হেরাথ।
কলম্বো টেস্টে ১৪ উইকেট নিয়ে শুধু ম্যাচ সেরাই হননি, দুই ম্যাচের সিরিজে ২৩ উইকেট নিয়ে সিরিজ সেরাও হয়েছেন তিনি। সেই সঙ্গে রেকর্ডবুকেও নিজের নাম লিখলেন রঙ্গনা হেরাথ। পেছনে ফেললেন মুত্তিয়া মুরালিধরনের রেকর্ডটি। এর আগে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজে সর্বোচ্চ ২২ উইকেট ছিল মুরালির। আর হেরাথ একটা বেশি উইকেট শিকার করছেন। তবে এক ম্যাচে বেশি উইকেট নেওয়ার রেকর্ডটি এখনো মুরালিরই আছে। ১৯৯৮ সালে ওভালে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ২২০ রানে ১৬ উইকেট নিয়েছিলেন লঙ্কান কিংবদন্তি। ২০১১ সালের পর থেকে ৩৩ টেস্টে ১৭বার পাঁচ বা তার অধিক উইকেট নেওয়ার কৃতিত্ব অর্জন করেন হেরাথ। এই সময়ের মধ্যে হেরাথ শিকার করেন ১৮২ উইকেট। ৫৭ টেস্টে লঙ্কান হেরাথের মোট উইকে ২৬০টি। মুরালিধরন ও চামিন্দা ভাসের পর তৃতীয় শ্রীলঙ্কান বোলার হিসেবে ২৫০-এর বেশি উইকেট শিকার করেন হেরাথ।
কলম্বো টেস্টে জয়ের মঞ্চটা প্রস্তুত হয়েছিল আগের দিনই। কাল শুধু আনুষ্ঠানিকতা সেরেছে শ্রীলঙ্কা। দুই ম্যাচের দুটিতেই পাকিস্তানকে হারিয়ে সিরিজ ঘরে তুললো লঙ্কানরা। দুই ম্যাচের সিরিজে এ নিয়ে মোট এগারোবার প্রতিপক্ষকে হোয়াইটওয়াশ করেছে শ্রীলঙ্কা। এর আগে ২০০৯ সালে তারা হারিয়েছে নিউজিল্যান্ডকে। বাংলাদেশ ও জিম্বাবুয়ের বিরুদ্ধে সাতবার এবং একবার করে দক্ষিণ আফ্রিকা ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে জিতেছে লঙ্কানরা। তবে পাকিস্তান দ্বিতীয়বারের মতো দুই ম্যাচের সিরিজে দুই ম্যাচেই হারল। এর আগে তারা ২০০৩ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে পরাজিত হয়েছে। টানা দুই জয়ে র্যাঙ্কিংয়েও উন্নতি হয়েছে লঙ্কানদের। ভারতকে পেছনে ফেলে তারা এখন চারে। শীর্ষ তিন রয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা, অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ড।