কলকাতায় এখনো অনেক দোকানে টাঙানো আছে বাংলাদেশের প্রয়াত কিংবদন্তি ফুটবলার মোনেম মুন্নার ছবি। বিখ্যাত ইস্টবেঙ্গল ক্লাবেও ঝুলছে তার ছবি। এক মৌসুমে স্বল্পসংখ্যক ম্যাচ খেলেই তিনি হয়ে যান কলকাতার হিরো নম্বর ওয়ান। এই খেতাব দিয়েছেন ইস্টবেঙ্গলের ভক্তরা। দেবেই না কেন ১৯৯০ সালে লিগে ইস্টবেঙ্গলের জার্সি পরে কলকাতা কাঁপিয়ে এসেছিলেন। ধারাভাষ্যকাররা বলতেন কলকাতার মাঠে চিমাসহ অনেক বিদেশি ফুটবলারের দেখা মিলেছে। কিন্তু মুন্নার মতো জাদুকরি নৈপুণ্য কেউ দেখাতে পারেননি। সত্যিই তাই ফুটবল এগারজনের খেলা হলেও মুন্নার অসাধারণ নৈপুণ্যই মূলত ইস্টবেঙ্গল লিগ শিরোপা জয় করেছিল। যেদিন মাঠে শিরোপা নিশ্চিত হলো সেদিনই ইস্টবেঙ্গলের সমর্থকরা মুন্নাকে মাথায় তুলে উৎসবে মেতে ছিল। বাংলাদেশের আসলাম, রুমি, গাউস ইস্টবেঙ্গলে ও কায়সার হামিদ আর সাবি্বর কলকাতা মোহামেডানে খেললেও মুন্নার মতো কেউ জ্বলে উঠতে পারেননি। তাই দুই যুগ অতিক্রম করলেও এখনো কলকাতাবাসীর হৃদয়ে মুন্নার নামটি গেঁথে আছে।
এবার কলকাতায় খেলতে যাচ্ছেন বর্তমানে দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় ফুটবলার মামুনুল ইসলাম। তবে ইস্টবেঙ্গল বা মোহনবাগান নয়। জাতীয় দলের এ অধিনায়ক তিন মাসের জন্য খেলতে যাবেন অ্যাটলেটিকো ডি কলকাতায়। এবারই প্রথম ইন্ডিয়ান সুপার লিগ নামে ফুটবল আসরটি মাঠে গড়াতে যাচ্ছে। অ্যাটলেটিকো হচ্ছে ভারতীয় ক্রিকেটের সাবেক অধিনায়ক সৌরভ গাঙ্গুলির দল। সৌরভের অফারেই মামুনুল এ লিগে খেলতে রাজি হয়েছেন। শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব মামুনুলকে এ লিগ খেলার অনুমতিও দিয়েছে। কিছুদিনের মধ্যে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে মামুনুল বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরবেন।
ক্রিকেটে আইপিএলে যেমন অর্থের ছড়াছড়ি ফুটবলে সুপার লিগেও নাকি তাই। সুতরাং মামুনুল কেমন পারিশ্রমিক পাবেন এ প্রশ্ন উঠাটা স্বাভাবিক। তবে মামুনুল এ ব্যাপারে কিছুই বলতে চাননি। তিনি বলেছেন খেলাটাই আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ। ফুটবলে মুন্না, ক্রিকেটে সাকিব কলকাতাবাসীর মন জয় করেছে। এবারও মামুনুলও তা পারবেন বলে দেশের ফুটবলপ্রেমীরা বিশ্বাস করেন। উল্লেখ্য, মুন্না ইস্টবেঙ্গলে খেলে নাম কুড়ালেও বাংলাদেশের প্রথম ফুটবলার হিসেবে বিদেশি লিগে খেলার কৃতিত্ব রয়েছে কাজী সালাউদ্দিনের। ১৯৭৬ সালে তিনি হংকং পেশাদার লিগ খেলেন।