বিশ্বকাপের ভেন্যু হওয়ার পর থেকেই কথাগুলো শুনে এসেছেন মুশফিকুর রহিম। অস্ট্রেলিয়ান উইকেটে বাউন্স, মুভমেন্ট, গতি বেশি। ক্যানবেরার মানুকা ওভালে অস্ট্রেলিয়ান কন্ডিশনের সঙ্গে খুব লড়াই করতে হয়নি মুশফিকদের। আরামসে জয় পেয়েছেন। বৃষ্টির জন্য ব্রিসবেনের উলন গাব্বায়ও সেই পরীক্ষায় পড়তে হয়নি। কিন্তু মেলাবোর্নে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে নামার আগেই বাউন্সের সঙ্গে পরিচিত হলেন দেশের টেকনিক্যালি সেরা ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহিম। আজ বাদে কাল ম্যাচ। তার আগে কাল ব্যাটিং অনুশীলনে ব্যথা পান ডান হাতের বৃদ্ধাঙ্গুলিতে। দিন শেষে জানা গেছে মুশফিকের ইনজুরি তেমন কোনো মারাত্দক নয়। ফ্রাকচারও হয়নি আঙুলে। তাই বৃহস্পতিবার ম্যাচ না খেলার মতো কোনো শঙ্কার জন্ম হয়নি।
ক্যানবেরার মানুকা ওভালে পূর্ণ শক্তির দল নিয়েই খেলেছিল বাংলাদেশ। আফগানিস্তানের বিপক্ষে তুলে নিয়েছিল ১০৫ রানের বিরাট জয়ও। ওই ম্যাচের নায়ক মুশফিক। ৭১ রান করে ২০০৭ সালের পর বিশ্বকাপের সূচনা ম্যাচে দেশকে উপহার দেন জয়। ব্রিসবেনের হার্ড ও বাউন্সি উইকেটের উলন গাব্বায় খেলা হয়নি বাংলাদেশের। তাই অস্ট্রেলিয়ান বাউন্সের সঙ্গেও পরিচয় হয়নি মুশফিকের। কিন্তু মেলাবোর্নে দ্বীপরাষ্ট্র শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে খেলার আগেই পরিচয় পেলেন বাউন্সের। মেলবোর্ন স্টেডিয়াম লাগোয়া অনুশীলন উইকেটে ব্যাটিং করার সময় আঘাত পান ডান হাতের বৃদ্ধাঙুলিতে। তাসকিন আহমেদের প্রায় ১৪০ কিলোমিটার গতির বলটি হঠাৎই লাফিয়ে উঠে। দ্রুত বলের লাইনে যেতে ব্যর্থ হলে আঙুলে ব্যথা পান মুশফিক। বল আঙুলে লাগার সঙ্গে সঙ্গে ব্যাট ছেড়ে হাত ধরে বসে পড়েন মুশফিক। এরপর ফিজিও মারিও ভিলাভারায়ন উইকেটের বাইরে নিয়ে আসেন তাকে। হাতের এক্স-রে করাতে মুশফিককে অলিম্পিক স্পোর্টস মেডিসিন সেন্টারে নিয়ে যান টিম ম্যানেজার খালেদ মাহমুদ সুজন। সেখানে এক্সে করার পর জানানো হয়, আঙুলে কোনো ফ্রাকচার নেই। টিম ম্যানেজার বলেন, 'মুশফিকের হাতে ব্যথা রয়েছে। সুখবর হচ্ছে আঙুলে কোনো ফ্রাকচার নেই। কাল (আজ) রিপোর্ট দেওয়ার পর পরিষ্কার বুঝা যাবে, তার আঙুলের সত্যিকার অবস্থা।'
আজ অনুশীলন থাকলেও মুশফিক নামবেন না মাঠে। ম্যাচ খেললেও শুধু ব্যাটিং করবেন। উইকেট কিপিং করবেন এনামুল হক বিজয়। ব্যথা না কমলে ব্যথানাশক ইনজেকশন দিয়ে খেলানো হতে পারে। যদি খেলতে নাই পারেন, তাহলে তার জায়গায় নাসির হোসেন বা তাইজুল ইসলামকে দেখা যেতে পারে একাদশে। এক্ষেত্রে পরিবর্তন হতে পারে ব্যাটিং অর্ডারের। সবই সম্ভাবনার কথা! সব মিলিয়ে শ্রীলঙ্কাকে হারাতে মুশফিকের কোনো বিকল্প নেই।