শৃঙ্খলা ভাঙার অভিযোগে আল আমিনকে দেশে পাঠানো হয়েছে। তার জায়গায় বিশ্বকাপ খেলতে গেছেন শফিউল ইসলাম সুহাশ। ব্রিসবেনে আল আমিন আসলে কি করেছিলেন তা পরিষ্কার নয়। আকসুর মাধ্যমে দলের ম্যানেজার খালেদা মাহমুদ সুজন জানতে পারেন আল আমিন রাতে হোটেল ছেড়ে বাইরে ছিলেন। প্রশ্ন উঠেছে দলের ক্রিকেটার রাতে হোটেলে ছিলেন না তা ম্যানেজার টের পেলেন না কেন? খেলোয়াড়দের দেখাশোনার দায়িত্বতো তারই। যাক গোপনে হোটেল ছাড়াতে সুজন হয়তো টের পাননি। এখানে ম্যানেজারের কিছু করার ছিল না। বাইরে যখন ছিলেন তখন আল আমিন কি কোনো জুয়াড়ির সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন কিনা এমনও প্রশ্ন উঠেছিল। আকসুর এক কর্মকর্তার আবার বলেছেন, আল আমিনকে ঘিরে এই ধরনের সন্দেহ তারা করছেন না। তাহলে কি শুধুমাত্র বাইরে থাকার কারণে তাকে শাস্তি দেওয়া হলো! ম্যানেজার সুজন বলেছেন, আপাতত দেশে পাঠানো হয়েছে। শৃঙ্খলা ভাঙার শাস্তি আর কি হতে পারে তা পরবর্তীতে বিসিবি ঠিক করবে।
জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক খালেদ মাসুদ পাইলট বলেছেন, যত বড় ক্রিকেটার হোক না শৃঙ্খলা তাকে মানতেই হবে। না মানলে তাকে শাস্তি পেতেই হবে। কিন্তু আল আমিন কি ধরনের শৃঙ্খলা ভেঙেছে তা আমার পক্ষে বলা সম্ভব নয়। এখানে হোটেল ছেড়ে বাইরে থাকার প্রসঙ্গটাই বেশি শোনা যাচ্ছে। আল আমিন স্বীকারও করেছেন তিনি হোটেল ছেড়ে বাইরে ছিলেন। কথা হচ্ছে বাইরে ছিলেন কতক্ষণ? তা কিন্তু ম্যানেজার বলছেন না। ধরলাম ৩০ মিনিট বা আরও বেশিক্ষণ বাইরে ছিলেন। কিন্তু শুধুমাত্র বাইরে থাকার কারণে তাকে দেশে পাঠিয়ে দেওয়া হলো। তা আমি মানতে পারছি না। অনুমতি না নিয়ে হোটেল ছাড়াতে আল আমিন অবশ্যই অন্যায় করেছে। কিন্তু একেবারে তাকে দেশে পাঠিয়ে দেওয়া হলো কেন? সুজন ছাড়া বিসিবির অনেক পরিচালকই বিশ্বকাপ দেখতে গেছেন। বৈঠক করে তারাতো আল আমিনকে জরিমানার পাশাপাশি কড়া ভাষায় সতর্ক করলেই চলত। দেখেন দেশে পাঠানোর ঘটনা শুধু ব্যক্তি আল আমিনের ইমেজ ক্ষুণ্ন হয়নি। পুরো দলেরই ভাবমূর্তি নষ্ট হয়েছে।
দেখেন আমি আবারও বলছি আল আমিন আসলে কি করেছিল তা আমার জানা নেই। কিন্তু কথা আমার একটাই শুধুমাত্র বাইরে থাকার কারণে তাকে দেশে পাঠানো ঠিক হয়নি। সতর্ক করে দিলেই চলত।