আমি শুধু মুগ্ধ নই। বাংলাদেশের পারফরম্যান্স দেখে সত্যিই অবাক হয়ে যাচ্ছি। কথাগুলো বললেন, ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিখ্যাত ক্রিকেটার ব্রায়ান লারা। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে অসাধারণ জয়ে কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করার পর লারা বাংলাদেশকে নিয়ে শুধুই প্রশংসাই করেছেন। তিনি বলেন, এক সময় দলটির পারফরম্যান্স নিয়ে অনেক সমালোচনা হয়েছে। সত্যি বলতে কি, বাংলাদেশের খেলা আমারও তেমন পছন্দ হতো না। এমনকি ১৯৯৯ সালে প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপ খেলতে এসে পাকিস্তানকে পরাজিত করলেও সেটা আমি অঘটন বলে ধরে নিয়েছিলাম। ২০০৩ সালে বিশ্বকাপে বাজে খেলায় অনেক বিখ্যাত ক্রিকেটার বলেছিলেন বিশ্বকাপের সৌন্দর্য নষ্ট করছে বাংলাদেশ। দেখেন জেদ আর সাধনা বিশ্ব ক্রিকেটে বাংলাদেশ আজ কোথায় চলে গেছে। এমন কোনো দল নেই যে তাদের কাছে হার মানেনি। নিউজিল্যান্ডের মতো শক্তিশালী দলকে ওয়ানডেতে দুই বার হোয়াইট ওয়াশ করেছে। আসলে তাদেরকে টাইগার বলা হয় যুক্তিসঙ্গত কারণে। মাঠে যে রূপ ধারণ করে তাতে বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের তুলনা টাইগারদের সঙ্গেই দেওয়া যায়। আমি নিশ্চিত এবার বিশ্বকাপে ১৪টি দলের যখন গ্রুপ নির্ধারণ হলো তখন কেউ ভাবতেই পারেননি 'এ' গ্রুপ থেকে বাংলাদেশ কোয়ার্টার ফাইনালে যাবে। হিসাব ছিল নিউজিল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, শ্রীলঙ্কা ও ইংল্যান্ড শেষ আটে ঠাঁই পাবে। না, হিসাব যতই কষা হোক না কেন টাইগাররা প্রতিজ্ঞা করে এসেছিল হোক না শক্তিশালী গ্রুপ। তার পরও আমরা কোয়ার্টার ফাইনালে যাবোই। শেষ পর্যন্ত তাই হয়েছে, ইংল্যান্ডকে বিদায় করে তারাই বিশ্বকাপ মিশনে টিকে আছে। বাংলাদেশের তুলনায় ইংল্যান্ড অভিজ্ঞ দল। এমন বাঁচা-মরার লড়াইয়ে কীভাবে প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে হয় তাদেরই জানা ছিল। অথচ উল্টোটা দেখাল বাংলাদেশ। ম্যাচ যেন হাতছাড়া না হয়ে যায় শুরু থেকেই তারা সতর্ক ছিল। দলে একজন যোগ্য অধিনায়ক থাকলে ম্যাচে যে কতটা উজ্জীবিত থাকা যায় তার প্রমাণ দিয়েছেন মাশরাফি। বাংলাদেশ কোয়ার্টার ফাইনাল ওঠে গেছে। এখন প্রতিপক্ষ কে হবে তা নিশ্চিত হয়নি। তবে ভারতের বিপক্ষে খেলার সম্ভাবনা বেশি। ভারত বা যেই প্রতিপক্ষ হোক না কেন, বাংলাদেশকে নিয়ে ভাবতেই হবে। টাইগাররা যে রূপ ধারণ করে আছে তাতে আমি বলব ব্যাট-বলে ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারলে বাংলাদেশ সেমিফাইনালে গেলেও অপ্রত্যাশিত কিছু হবে না। আমার বিশ্বাস সেই যোগ্যতা বাংলাদেশের আছে।