শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ম্যাচে মুশফিকুর রহিম উইকেটের পেছনে অনেক মিস করেছিলেন। আর মহাগুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে শূন্য রানেই বিদায় নিয়েছিলেন ওপেনার তামিম ইকবাল। -এই দুই সমস্যার সমাধান হিসেবে লিটন কুমার দাসকে দলে নেওয়ার কথা নিজের ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখেছেন বাংলাদেশ দলের সাবেক বোলিং কোচ ইয়ান পন্ট। তিনি লিখেছেন, 'লিটন দাস অসাধারণ মেধাবী এক উইকেটরক্ষক। দারুণ ব্যাটিং করেন। বিপিএলে ঢাকা গ্ল্যাডিয়টর্সে কোচিং করানোর সময় আমি তাকে দেখেছি।'
সেই লিটন কুমারই তো রংপুরকে জাতীয় লিগের চ্যাম্পিয়নের শিরোপা এনে দিলেন। কাল বিকেএসপিতে ঢাকা মেট্রোকে হারিয়েই শিরোপা নিশ্চিত করে রংপুর বিভাগ। জাতীয় লিগের দ্বিতীয় ক্রিকেটার হিসেবে এই মৌসুমে ১ হাজার করেছেন লিটন। ১৩ ম্যাচে ৫টি সেঞ্চুরি ও ৩ হাফ সেঞ্চুরিতে ১০২৪ রান। এর আগে কেবলমাত্র মিনহাজুল আবেদীন নান্নু চট্টগ্রামের হয়ে ২০০১-০২ মৌসুমে করেছিলেন ১০১২ রান। দারুণ ব্যাটিং করেছেন নাঈম ইসলামও, ১১ ইনিংসে করেছেন ৭০৩ রান। কাল রংপুরকে জয় এনে দিয়েছেন মাহমুদুল হাসান। দ্বিতীয় ইনিংসে ৫ উইকেট নিয়েছেন তিনি। শেষ রাউন্ডে মাঠে নামার আগে ঢাকা, খুলনা ও রংপুর -তিন বিভাগের পয়েন্ট ছিল সমান, ৯৬ করে। প্রথম ইনিংসে বোনাস পয়েন্ট না পাওয়ায় লড়াই থেকে অনেকটা ছিটকে যায় ঢাকা। খুলনা আড়াই দিনে জয় পেলেও রংপুরের চেয়ে এক পয়েন্ট কম ছিল। তাই কাল চ্যাম্পিয়ন হওয়ার জন্য রংপুরের দরকার ছিল শুধু জয়। শেষ বিকালে মেট্রোর শেষ উইকেটের পতন ঘটিয়ে উল্লাসে মাতেন রংপুরের ক্রিকেটাররা। চ্যাম্পিয়ন রংপুরের পয়েন্ট ১২১, খুলনার ১২০ এবং ঢাকার পয়েন্ট ১১৯।