পূর্ণাঙ্গ সিরিজ খেলে পাকিস্তান ক্রিকেট দল কাল ঢাকা ছেড়েছে। ছেড়ে যাওয়ার সময় সঙ্গে নিয়ে গেছে টেস্ট সিরিজ জয়ের স্বাদ। তবে সঙ্গী করেছে ওয়ানডে সিরিজে হোয়াইটওয়াশ ও টি-২০ ম্যাচে হারের তিক্ত স্বাদও। ১৯৮৬ সাল থেকে পাকিস্তানের বিপক্ষে খেলছে বাংলাদেশ, কিন্তু এবারই প্রথম মাটি চাপা দেওয়ার ব্যবস্থা করে ফেলেছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত পারেনি। বাজে একটি সফর শেষে দেশে ফিরে গেলেও ফের ঢাকায় আসছে পাকিস্তান। আগামী নভেম্বর-ডিসেম্বরে চার জাতির টুর্নামেন্ট খেলতে ফের ঢাকায় পা রাখবে সাবেক বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা। টুর্নামেন্টের বাকি তিন দল স্বাগতিক বাংলাদেশসহ জিম্বাবুয়ে ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ২০০৯ সালে লাহোরে শ্রীলঙ্কান ক্রিকেটারদের উপর বর্বরোচিত হামলার পর বন্ধ হয়ে গেছে পাকিস্তানের মাটিতে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট। নিরাপত্তার অজুহাতে পাকিস্তান সফর করতে রাজি হয় না কোনো দলই। এখন সেই অবস্থার পরিবর্তন হচ্ছে। জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট দল খেলতে রাজি হয়েছে পাকিস্তানে। তারা সফর করবে বলে জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট দল সম্মতি দিয়েছে। অবশ্য ক্রিকেটাররা খেলবে কি না, এখনো নিশ্চিত নয়। পাকিস্তান সফর করলেও জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট বোর্ডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সাবেক অধিনায়ক অ্যালিয়েস্টার ক্যাম্পবেল জানিয়েছেন, এ বছরের শেষে কোনো এক সময় বাংলাদেশ সফর করবে জিম্বাবুয়ে। সময় নভেম্বর-ডিসেম্বর হতে পারে। সফরে চার জাতির একটি টুর্নামেন্ট খেলবে বাংলাদেশ। টুর্নামেন্টের বাকি দুই দল ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও পাকিস্তান। পাকিস্তান সিরিজ চলাকালীন সে দেশের বোর্ডের চেয়ারম্যান বাংলাদেশ সফর করে গেছেন। দুই দেশের বোর্ডের আলাপ আলোচনায় পাকিস্তান সফর ও পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের ঢাকায় খেলার বিষয়টি চূড়ান্ত হয়। ফলে পাকিস্তানি ক্রিকেটাররা আগামী মৌসুমে ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলতে পারবে। খেলতে পারবে বিপিএলেও।
আগামী মাসে ভারত আসছে তিন ওয়ানডে ও একটি টেস্ট খেলতে। এরপর আসবে দক্ষিণ আফ্রিকা। এরপরই চার জাতির টুর্নামেন্ট! যদিও বিসিবির কোনো পরিচালক কিংবা কর্মকর্তা বিষয়টি নিশ্চিত করেননি। কিন্তু জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট বোর্ডের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের বক্তব্যের পর বিষয়টি প্রায় নিশ্চিত। জিম্বাবুয়ে গত ডিসেম্বরে তিন টেস্ট ও পাঁচ ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজ খেলে গেছে এবং প্রথমবারের মতো বিধ্বস্ত হয়েছে পুরো সিরিজে। টেস্ট ও ওয়ানডে সিরিজে বিধ্বস্ত করেছে জিম্বাবুয়েকে। ওয়েস্ট ইন্ডিজ সর্বশেষ খেলে গেছে ২০১১ সালের অক্টোবরে। সেবার ওয়ানডে সিরিজে টাইগাররা হেরেছিল ১-২ ব্যবধানে।
২০১৯ সালের বিশ্বকাপে সরাসরি খেলতে র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষ আটে থাকতে হবে বাংলাদেশকে। পাকিস্তানকে হোয়াইটওয়াশ করে বর্তমানে টাইগারদের র্যাঙ্কিং ৮ এবং পাকিস্তানের ৯। সমান পয়েন্ট নিয়েও এগিয়ে আছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তবে ক্যারিবীয়দের টপকে যাওয়ার উজ্জ্বল সম্ভাবনা রয়েছে বাংলাদেশের। এজন্য হারাতে হবে ভারত, দক্ষিণ আফ্রিকাকে। কঠিন কাজ। তারপরও দুর্দান্ত খেলতে থাকা বাংলাদেশের পক্ষে অসম্ভব নয়।