সেই ১৯৯৩ সাল। আর্জেন্টিনা তাদের ১৪ নম্বর কোপা আমেরিকা জিতে মেক্সিকােকে ২-১ গোলে হারায়। ম্যারাডোনাকে ছাড়াই সেবার দিয়েগো সিমিওনে, গ্যাব্রিয়েল বাতিস্তুতা আর লিওনার্দো রদ্রিগেজরা ঘরে তুলেছিল কোপা আমেরিকার শিরোপা। এরপর কেটে গেছে বহু বছর। দীর্ঘ ২৩ বছর পর এখন দিয়েগো সিমিওনেরা মধ্যবয়সী কোচের দায়িত্ব পালন করছেন পৃথিবীর নানান স্থানে। আর তাদের উত্তরসূরিরা একের পর এক ব্যর্থতায় ভক্তদের হৃদয় ভাঙছেন প্রতিনিয়ত। এই তো গেল বিশ্বকাপ ফাইনালে এমনকি লিওনেল মেসির ম্যাজিকেল ফুটবলও আর্জেন্টিনাকে চ্যাম্পিয়নের খেতাব উপহার দিতে পারল না। এই ধারায় এবার ছেদ টানতে চান লিওনেল মেসি। আর্জেন্টাইন অধিনায়ক কোপা আমেরিকা শুরুর আগেই বলেছিলেন, বিশ্বকাপ ব্যর্থতা ভুলতে হলে জিততে হবে চিলিতে। আজ গভীর রাতে প্যারাগুয়ের বিপক্ষে ম্যাচের মধ্য দিয়ে যাত্রা করছে আর্জেন্টিনা। আলবেসিলেস্তরা গ্রুপ পর্বেই মুখোমুখি হচ্ছে উরুগুয়ের! গতবার কোপা আমেরিকার কোয়ার্টার ফাইনালে এই উরুগুয়ের কাছেই হেরেছিল আর্জেন্টিনা!
এদিকে গতকাল সকালে জয় দিয়েই শুরু করেছে স্বাগতিক চিলি। তারা ইকুয়েডরকে ২-০ গোলে উড়িয়েই দিয়েছে। দলের প্রধান তারকা আলেক্সিস সানচেজ কোনো গোল না করলেও ইদু ভারগাসকে দিয়ে একটা দারুণ গোল করিয়েছেন ম্যাচের ৮৪ মিনিটে। তবে তার আগেই ৬৭ মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল করে চিলির জুভেন্টাস তারকা ভিডাল স্বাগতিকদের এগিয়ে দেন। ইকুয়েডর তেমন একটা প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারেনি স্বাগতিকদের সামনে। কোপা আমেরিকায় চিলি চারবার ফাইনাল খেলেছে (১৯৫৫, ১৯৫৬, ১৯৭৯ ও ১৯৮৭)। এর মধ্যে ১৯৫৬ ও ১৯৮৭ সালে উরুগুয়ের কাছে এবং ১৯৫৫ সালে আর্জেন্টিনা ও ১৯৭৯ সালে প্যারাগুয়ের কাছে ফাইনালে হেরে কোপা আমেরিকার শিরোপাবঞ্চিত থাকতে হয়েছে চিলিকে। তবে এবারের দলটা অসাধারণ। বার্সেলোনার গোলরক্ষক ক্লাউডিও ব্রাভো গোলবারের সামনে অতন্দ্র প্রহরীর দায়িত্ব পালন করছেন। তা ছাড়া সানচেজ-ভিডাল-পিনিয়ারাও দারুণ করছেন আক্রমণ ভাগে।