ভারতের প্রথম ইনিংসে করা ৪৬২ রানের জবাবে বাংলাদেশ অলআউট হয় ২৫৬ রানে। চতুর্থ দিনে আরও অন্তত ৩০ ওভার খেলার সম্ভাবনা থাকায় বাংলাদেশকে বাংলাদেশকে ফলোঅন করায় ভারত। ফলে ম্যাচ বাঁচাতে মাঠে নামেন দুই টাইগার ওপেনার তামিম ইকবাল ও ইমরুল কায়েস। ঠিক তখন ধারাভাষ্য কক্ষে এই ম্যাচে বাংলাদেশের পরাজয় কিংবা ভারতের জয়ের সম্ভাবনা নিয়ে কয়েক দফা বাকযুদ্ধ হয়ে যায় দুই ধারাভাষ্যকার বাংলাদেশের আতহার আলী খান ও ভারতের সঞ্জয় মাঞ্জরেকারের মধ্যে।
আতহার আলীকে উদ্দেশ্যে করে সঞ্জয় মাঞ্জরেকার বলেন, 'আতহার তুমি কি মনে করো যে এর মধ্যে বাংলাদেশ আবার অল আউট হতে পারে?' আতহার বলেন, 'না না না। আসলে এই ১৫-২০ ওভারের মধ্যে এটা হওয়ার তেমন কোনো সম্ভাবনা আমি দেখিনা।'
একথা শুনে সঞ্জয় বলেন, 'আতহার ২০০৪ সালে কিন্তু ভারতের বিপক্ষে চট্টগ্রামে দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশ মাত্র ২৬ ওভারেই অলআউট হয়ে গিয়েছিল।’ আতহার বলিষ্ঠ কন্ঠে বলেন,' কিন্তু এটা ২০১৫!'
এতে কিছুটা মনো:ক্ষুণ্ন হয়েই যেন সঞ্জয় বলেন, ‘তুমি মনে হয় এই ভারতীয় দলকে পাত্তাই দিতে চাচ্ছো না।’ জবাবে আতহার বলেন, 'বাংলাদেশকে ২০ ওভারের মাঝে অল আউট করে দেওয়া সম্ভব না, অন্তত এই পিচে না।'
এরপরই আতাহার আরও বলেন, ‘ভারতীয় দলের প্রতি আমার যথেষ্ঠই সম্মান আছে, অশ্বিন, হরভজনরা বিশ্বমানের বোলার। কিন্তু আজ এটা সম্ভব না।’ এরপরই মৃদু হেসে সঞ্জয় জানান, ‘এখন তুমি বেশ কূটনৈতিকভাবে উত্তরটা দিলে!’
এমন বাগবিতন্ডার কিছুক্ষণ পরেই আতহার সঞ্জয়কে মনে করিয়ে দেন, 'অল্প কিছুদিন আগেই পাকিস্তানের বিপক্ষে খুলনা টেস্টে ক্রিজে অবস্থান করা এই দুজনই(তামিম ও ইমরুল) ৩১২ রানের একটি রেকর্ড ভাঙ্গা জুটি গড়েছিলেন।' এ কথা শুনে সঞ্জয় বলেন, 'ঠিক এই কারণেই আমি ধারাভাষ্য কক্ষে আতহার আলী খানকে পছন্দ করি। অন্ধকার যতো গভীরই হোক, আতহার কোন না কোন আশার আলো খুঁজে বের করে!'
ম্যাচ শেষে অবশ্য দু'জনের কথার লড়াইয়ে আতহার আলীই জয়লাভ করেন। কারণ শেষ অবধি আতহারকে হতাশ করেনি তামিম ইকবাল ও ইমরুল কায়েস। দু্ই ওপেনার অপরাজিত থেকেই ড্র হয়েছে ম্যাচ!
বিডি-প্রতিদিন/১৪ জুন, ২০১৫/মাহবুব