আশিস নেহরার বিদায়ী ম্যাচেই বিতর্কে জড়িয়েছিলেন আধিনায়ক কোহলি। ডাগ আউটে বসেছিলেন ভারত অধিনায়ক। হাতে ওয়াকি-টকি। কথা বলছেন কারও সঙ্গে। সেই থেকেই বিতর্কের সূত্রপাত। কেউ কেউ বলেছিলেন, আইসিস'র নিয়ম ভঙ্গ করেছেন বিরাট। যদিও শেষমেশ বিতর্কে জল ঢেলে তাকে ক্লিনচিট দিল সর্বভারতীয় ক্রিকেট নিয়ামক সংস্থা।
সাধারণ ওয়াকি-টকি ব্যবহার করেন সাপোর্ট স্টাফরা। ড্রেসিংরুমে খেলোয়াড়দের ফোন ব্যবহার নিষিদ্ধ। এই পরিস্থিতিতেই কোহলির হাতে ওয়াকি-টকি দেখে নিয়ম ভঙ্গের প্রসঙ্গ উঠেছিল। কী কারণে ও কাজ করতে বাধ্য হয়েছিলেন বিরাট? দেখা গেছে, যে সময় বিরাট ওয়াকি-টকিতে কথা বলছেন সে সময় ধারে কাছে কোথাও ছিলেন না হার্দিক।
ভারতীয় ইনিংসের তখন ১৫তম ওভার চলছে। তার পরের ওভারেই অবশ্য অধিনায়কের পাশে এসে বসেন তিনি। ঠিক তারপরেই হার্দিককে ব্যার্টিং অর্ডারে আগে তুলে নামানো হয়। অর্থাৎ এটাই ছিল অধিনায়কের পরিকল্পনা। কিন্তু হার্দিককে কাছাকাছি কোথাও দেখতে না পেয়েই ওয়াকি-টকির ব্যবহার। আর তা হাতে তুলে নেওয়ার আগে আইসিসি'র অনুমতিও নিয়েছিলেন অধিনায়ক। সুতরাং এ নিয়ে বাড়তি বিতর্কের আর কোনও অবকাশ নেই। যদিও বিসিসিআই এ ব্যাপারে এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া জানায়নি।
বিতর্কটুকু বাদ দিলে অবশ্য নেহরাজির বিদায়ী ম্যাচ বর্ণময়ই হয়ে থাকল কোহলির কাছে। তখন তার বছর ১৩ বয়স। সে সময় এই নেহরার থেকেই পুরস্কার নিয়েছিলেন তিনি। আর তার নেতৃত্বে খেলেই সব ফরম্যাটের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানালেন নেহেরা। দিনভর সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘোরাঘুরি করছিল সেই পুরনো ছবিটি।
ম্যাচের শেষে সে কথা মনে করে খানিকটা নস্ট্যালজিয়া খেলে গেল কোহলির চোখে। অবশ্য ম্যাচ শুরুর আগে নেহেরার হাতে স্মারক তুলে দেন অধিনায়ক। দেশের জার্সি গায়ে শেষবার মাঠ প্রদক্ষিণের সময় নেহরাকে কাঁধে তুলে নেন তিনিই। সঙ্গী হন শিখর ধাওয়ান। ফটোগ্রাফাররা সানন্দে বন্দি করে রাখেন সে মুহূর্ত। মাঠের মধ্যেও অবশ্য নেহরার ফুটবল স্কিল মাতিয়ে রেখেছিল কোহলিকে। সে ভিডিও ক্রিকেটপ্রেমীদের আনন্দের স্বাদ দিচ্ছে।
বিডি প্রতিদিন/০৩ নভেম্বর ২০১৭/আরাফাত