ম্যারাডোনার সেই অবিশ্বাস্য গোলের কারণে লাইন্সম্যানের দায়িত্বে থাকা ডশেভকে বাকিটা জীবন কাটাতে হয়েছিলো খলনায়ক হিসেবে। যার ফলে লাইন্সম্যান বগডন ডশেভ মারা যাওয়ার আগ পর্যন্ত দিয়েগো ম্যারাডোনার জন্য মানসিক কষ্টে ছিলেন!
১৯৮৬’তে ম্যারাডোনার ‘হ্যান্ড অফ গড’র সেই অবিস্মরণীয় গোলের কারণে ইংল্যান্ড সমর্থকরা সারাজীবনই দোষারোপ করে যাবে ডশেভকে। কিন্তু প্রশ্ন ম্যারাডোনার সেই অবিশ্বাস্য গোলের পর মাঠে লাইন্সম্যানের দায়িত্বে থাকা ডশেভ সঠিক সময়ে কেন পতাকা তোলেননি? তিনি নাকি বুঝেছিলেন ওটা হ্যান্ডবল!
কিন্তু বুঝেও কেন পতাকা তোলেননি ডশেভ? কোনো কি ষড়যন্ত্র ছিল? বুলগেরিয়ার এই রেফারি কি তবে আর্জেন্টিনার সঙ্গে হাত মিলিয়েছিলেন?
ডশেভের মৃত্যুরও এক বছর পর তার স্ত্রী এমিলি জানালেন, হ্যান্ড অফ গডের এক সপ্তাহ পর, ডশেভ এতই ক্ষিপ্ত ছিলেন যে, ’৮৬–র বিশ্বকাপজয়ী নায়কের ছবির পেছনে লিখেছিলেন, ‘ম্যারাডোনা, আমার কবর খুঁড়েছে’!
এমিলি আরও বলেন, ‘ওই ম্যাচে যিনি মূল রেফারি ছিলেন, তিনি আমার স্বামীকে স্পষ্টভাবে নির্দেশ দিয়েছিলেন, ‘তোমায় কিছু করতে হবে না। মাঠে যা সিদ্ধান্ত নেওয়ার, আমিই নেব’। ওই রেফারিকে আমি কোনো দিন ক্ষমা করব না। ম্যারাডোনাকেও না।’
ঐ ম্যাচের পর ডশেভ ও তার পরিবারের জীবন অতিষ্ট হয়ে গিয়েছিল, ‘বন্ধুদের থেকে বগডন নিজেকে গুটিয়ে নিয়েছিল। আর বন্ধুরা? কোনো দিন আর আমাকে হ্যালো বলেনি! ওটা হ্যান্ড অফ গড ছিল না। ওটা ছিল, মুখে সজোরে লাথি।’-যোগ করেন এমিলি।
বিডি-প্রতিদিন/ সালাহ উদ্দীন