তামিম উইকেট এলেন, দেখলেন এবং জয় করলেন। রাজকীয় ফেরার পর করলেন দারুণ এক শতক। তামিমের ফেরার দিনে পিছিয়ে ছিলেন না সৌম্য। তুললেন শতক, জেতালেন দলকে।
বৃহস্পতিবার আলোর স্বল্পতার কারণে ১৮ রান বাকি থাকতে ৪১ ওভারের শেষে ম্যাচ শেষ করে দেন দুই আম্পায়ার। তাতে ডার্ক ওয়ার্থ লুইস পদ্ধতিতে ৫১ রানের জয় পায় বিসিবি একাদশ।
এর আগে বিকেএসপির তিন নম্বর মাঠে প্রস্তুতি ম্যাচে রুবেল অবশ্য টস জিততে পারেননি তবে ক্যারিবীয় অধিনায়ক রোভম্যান পাওয়েল টস জিতে সিদ্ধান্ত নেন ব্যাটিং করার।
ব্যাটিংয়ে নেমে শুরু থেকেই ক্যারিবীয় ব্যাটসম্যানরা রান তুলতে থাকেন দ্রুত গতিতে। উদ্বোধনী জুটি ভাঙতে অপেক্ষা করতে হয় ১০১ রান পর্যন্ত।
৪৯ বলে ৪৩ রান করা ওপেনার কিরণ পাওয়েলকে ফেরান নাজমুল ইসলাম অপু। হঠাৎ দলে ফেরানো ড্যারেন ব্রাভো এদিন ব্যাট করতে নামেন ওয়ানডাউনে।
৩৩ বলে ২৪ রানের মাথায় ব্রাভোকে ফেরান মেহেদী হাসান রানা। তখনও থামেননি আরেক ওপেনার শাই হোপ। ৮৪ বলে ৮১ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে ক্যাচ তুলে দেন অপুর বলেই।
এরপর শিমরণ হেটমেয়ারের ৩৩, রোস্টন চেজের ৬৫ আর ফাবিয়ান এলেনের ৪৮ রানে ভর করে ক্যারিবীয়রা সংগ্রহ করে ৮ উইকেটে ৩৩১ রান!
বিসিবি একাদশের হয়ে রুবেল হোসেন মেহেদী রানা ও নাজমুল অপু নেন ২টি করে উইকেট। ১টি করে উইকেট নেন মাশরাফি মুর্তজা ও শামীম পাটওয়ারি।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে তামিম-ইমরুল মিলে দ্রুত রান তুলতে থাকেন। কিন্তু ইমরুল টিকতে পারেননি বেশিক্ষণ। ২৭ রান করে ফিরতে হয় সাজঘরে।
তামিম জুটি গড়লেন সৌম্যকে নিয়ে। চোট কাটিয়ে ফেরার ম্যাচে তামিম খেলেছেন দুর্দান্ত এক ইনিংস। ১৩ চার আর ৪টি ছয়ে ১০৭ রান করেন ৭২ বলে।
শত রানের ইনিংস খেলে তামিম বিদায় নিলেও সৌম্য ছিলেন দুর্বার। গত জিম্বাবুয়ে সিরিজের আগে এ মাঠেই প্রস্তুতি ম্যাচে খেলেছিলেন শত রানের ইনিংস। তাতে সুযোগও মিলেছিল মুল সিরিজে। আজও তেমন কিছুই করে দেখালেন এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। ৭ চার আর ৬টি চারে ৭৫ বলে করেন শতক।
শেষদিকে মাশরাফি মুর্তজা খেলেন ২২ রানের ইনিংস। সৌম্য করেন অপরাজিত ১০৩ রান। যদিও শেষদিকে আলোর স্বল্পতার কারণে ১৮ রান বাকি থাকতে ৪১ ওভারের শেষে ম্যাচ শেষ করে দেন দুই আম্পায়ার। তাতে ডার্ক ওয়ার্থ লুইস পদ্ধতিতে ৫১ রানের জয় পায় বিসিবি একাদশ। ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে রোস্টন চেজ আর দেবেন্দ্র বিষু নেন দুটি করে উইকেট।
বিডি প্রতিদিন/০৬ ডিসেম্বর ২০১৮/আরাফাত