ভারতের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টিতে বহুল প্রতীক্ষিত জয় পেল বাংলাদেশ। তাও আবার ভারতের মাটিতে। দলে নেই সাকিব-তামিমের মতো তারকা ক্রিকেটাররা।
তারপরও রোহিত শর্মাদের ১৪৮ রানে বেঁধে বেধে ফেলে ৭ উইকেটে জয় তুলে নেন টাইগাররা। রবিবার রাতে তাদেরকে যেন একেবারে আসমান থেকে মাটিতে নামাল বাংলাদেশ।
ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের এই জয় যেন স্বপ্নীল। অনেক প্রতিক্ষীত। গেল ১০ বছরে ভারতের ৮টি-টোয়েটির একটিতেও জিততে পারেনি বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। অবশেষে ভারত গেরো খুললেন টাইগাররা।
এর আগে ভারতের বিপক্ষে কয়েকটি ম্যাচে জয়ের খুব কাছে গিয়ে অশ্রু জলে ভাসতে হয়েছে টাইগারদের। এবার আর বেদনা নয়। পুরো দেশকে উল্লাসে ভাসালেন মুশফিক-রিয়াদরা।
আর্কাইভে থাকা ছবিগুলো দেখলে হয়তো প্রতিপক্ষ বুঝত কতটা কষ্ট নীরবে লুকিয়ে আছে বাংলাদেশের সর্মথকদের মাঝে। ব্যাঙ্গালুরে শ্বাসরুদ্ধকর জয়ের খুব কাছে গিয়েও, হাত ছোঁয়া দূরত্বে স্বপ্নের বলি দিতে হয়েছিল টাইগারদের।
বছর দেড়েক আগে নিদাহাস ট্রফির ফাইনালেও, জিততে জিততে ফসকে গেছে স্বপ্নীল জয়টি। ২০১৬ সালের এশিয়া কাপের ফাইনালেও একই পরিণতি। হৃদয় ভাঙার এমন অনেক গল্পগুলো শুধু সঙ্গী হয়েছে বাংলাদেশেরই।
এর বিপরীতে বিজয় উৎসব করেছে টিম ইন্ডিয়া। ক্রিকেটে সব দলগুলোর বিপক্ষেই বিজয় আসছিল। কিন্তু এই ভারতের বিপক্ষে কেনো যেন ভাগ্যেদেবী ঈর্ষা করে বসছিল। একবার নয় দুই বার নয় বহুবার। কিন্তু হারের শেকল ভাঙতেই পারছিল না বাংলাদেশ ক্রিকেট দল।
সম্প্রতি দেশের ক্রিকেটে নানা সংকটের সাথে সাকিবের মতো বিশ্ব সেরা অলরাউন্ডারকে হারিয়ে ভারত মিশনের আগে বড় ধাক্কা খায় বাংলাদেশ। ছিল না তামিম ইকবালের মতো ওপেনার। এমন অবস্থায় বোকাও হযতো বাজি ধরবে না বাংলাদেশের পক্ষে।
কিন্তু যে মুশফিক-মাহমুদ উল্লাহরা ব্যাঙ্গলুরে জেতাতে পারেননি বাংলাদেশকে। তারাই এদিন হয়েছে হিরো। শপত করেছিলেন ওই ঋন করবেন শোধ। মুশফিকের বীরত্বের ব্যাটিংয়ে সাথে ঠান্ডার মাথার খুনে ব্যাটিং করেছেন অধিনায়ক মাহমুদ উল্লাহ।
আর তাতেই ক্রিকেট আকাশে উড়তে থাকা ভারতকে সাত আসমান থেকে মাটিতে নামিয়ে দিল টিম বাংলাদেশ। আচমকা আছাড় খেয়ে কোমর ভাঙল রোহিতের। আর সাকিবের হারানোর শোকে পাথর হয়ে থাকা রিয়াদের দল আরও স্পাত কঠিন।
বিডি প্রতিদিন/কালাম