২২ জুন, ২০২১ ১৩:১৪

কোহলির ওপর থেকে নিজের স্ত্রীর নজর কিছুতেই ফেরাতে পারছেন না পাকিস্তানি ক্রিকেটার!

অনলাইন ডেস্ক

কোহলির ওপর থেকে নিজের স্ত্রীর নজর কিছুতেই ফেরাতে পারছেন না পাকিস্তানি ক্রিকেটার!

সামিয়া আলি

যে গতিতে মাঠে বল করেন, সেই গতিতে স্ত্রীর ‘মন ঘোরাতে’ পারছেন না! গত ২ বছর ধরেও বিরাট কোহলির ওপর থেকে স্ত্রীর নজর কিছুতেই নিজের দিকে ঘুরিয়ে আনতে পারছেন না পাকিস্তানি পেসার হাসান আলি!

খোদ পাকিস্তানের পেসারের স্ত্রীর প্রিয় ক্রিকেটার কি না বিরাট! এক সাক্ষাৎকারে এমনটাই জানিয়েছেন হাসান-পত্নী।

হাসান-পত্নী, পাকিস্তানের এই ‘বৌমা’ আসলে মনেপ্রাণে ভারতীয়। তার নাম সামিয়া আলি। হরিয়ানার মধ্যবিত্ত পরিবারে জন্ম সামিয়ার। তার বাবা লিয়াকত আলি ছিলেন হরিয়ানা সরকারের অধীনস্ত সমষ্টি উন্নয়ন কর্মকর্তা।

তবে হরিয়ানায় জন্ম হলেও গত ১৫ বছর সপরিবারে তারা ফরিদাবাদে থাকেন। ফরিদাবাদেই সামিয়ারা ৬ ভাইবোন একসঙ্গে বড় হয়েছেন।

স্কুলের গণ্ডি পেরনোর পর সামিয়া ফরিদাবাদের একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অ্যারোনটিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে পড়াশোনা করেন।

তারপর একটি বিমান সংস্থার ইঞ্জিনিয়ার হয়ে দুবাই চলে যান। সামিয়া কর্মসূত্রে দুবাইয়েই থাকতেন।

২৬ বছরের হাসান তখন পাকিস্তান আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের উঠতি তারকা। ৩ বছরের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে তেমন সুযোগও পাননি। তার ওপর পাকিস্তানি।

দুবাইয়ে একটি টুর্নামেন্ট খেলতে গিয়েছিলেন হাসান। তখনই এক বন্ধুর মারফতে তাদের পরিচয়। ২০১৯ সালে দুবাইয়েই একটি ছোট অনুষ্ঠান করে বিয়ে করেন তারা। বিয়ের আগে ১ বছরের বন্ধুত্ব এবং প্রেম।

প্রথম দেখাতেই সামিয়াকে ভাল লেগে গিয়েছিল তার। কিন্তু সামিয়া ক্রিকেট নিয়ে কোনও দিন কৌতূহলী ছিলেন না। তাই হাসানকেও তিনি চিনতেন না।

সামিয়ার নিরীহ মন ছুঁয়ে গিয়েছিল হাসানকে। তাদের প্রথম দিন থেকেই বন্ধুত্ব হয়ে যায়। ক্রমে মিশুকে এবং যত্নশীল হাসানকে ভাল লেগে যায় সামিয়ার।

১ বছরের বন্ধুত্ব এবং প্রেমের পরই তারা নিজেদের পরিবারকে এই সম্পর্কের কথা জানান। যদিও সীমান্তের দু’পাড়ের দুই পরিবার কীভাবে বিষয়টি নেবে তা নিয়ে যথেষ্ট চিন্তায় ছিলেন দু’জনেই।

হয়েছিল উল্টোটা। হাসানকে নিয়ে যেমন সামিয়ার পরিবারের কোনও আপত্তি ছিল না, তেমন সামিয়ার কথা জানা মাত্রই তাকে স্বাগত জানান হাসানের পরিবারও।

সীমান্তের দুই পাড়ের রাজনীতির সঙ্গে এই সম্পর্ক কখনও মিশিয়ে ফেলে না তাদের পরিবার। সামিয়ার পরিবার পাকিস্তানকে আলাদা দেশ বলে মনেও করেন না।

সে দেশে আজও তার পরিবারের কিছু লোক থাকে এবং তাদের সঙ্গে নিত্য যোগাযোগও রাখেন সামিয়ার বাবা। দেশ ভাগের সময়ই তারা পাকিস্তানে চলে গিয়েছিলেন।

২০১৯-এর ২০ আগস্ট তাদের বিয়ে হয়। বিয়েতে অনেক ভারতীয় ক্রিকেটারও নিমন্ত্রিত ছিলেন। ওই বছরই একটি বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন হাসান। ভারতের ক্রিকেট ভক্তরা কড়া সমালোচনা করেছিলেন তার।

হাসান আসলে পাকিস্তানে অনুষ্ঠিত এক র‌্যাম্প শো-এ মডেলিং করার সময় ওয়াঘা সীমান্তে পাকিস্তানি ‘বিটিং রিট্রিট’-এর মতো অঙ্গভঙ্গি করেছিলেন। তখন নতুন জামাইয়ের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন শ্বশুর (সামিয়ার বাবা)। হাসানের মনে ভারতীয় ক্রিকেটার এবং সর্বোপরি ভারতের প্রতি কতটা সম্মান রয়েছে তা জানিয়েছিলেন তিনি।

২০২১ সালের ৬ এপ্রিল মহামারীর মধ্যেই তাদের প্রথম সন্তানের জন্ম হয়। তার নাম রেখেছেন হেলেনা। সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা

বিডি প্রতিদিন/কালাম

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর