দ্বিতীয়ার্ধে মাঠে নেমেই একের পর এক জোরাল আক্রমণ করতে থাকে ব্রাজিল। যার সুবাদে ম্যাচের ৫২ মিনিটেই পেয়ে যায় গোলের দুর্দান্ত সুযোগ। ডি-বক্সের মধ্য থেকে সেটি কাজেও লাগিয়েছিলেন রিচার্লিসন। কিন্তু আক্রমণের শুরুতে তিনি অফসাইডে থাকায় বাতিল করা হয় গোল। ফলে ম্যাচের ৫৩ মিনিট শেষেও ১-০ গোলে এগিয়ে আর্জেন্টিনা।
৫৪ মিনিটের মাথায় পারেদেসকে তুলে নিয়ে রডরিগেজকে মাঠে নামায় আর্জেন্টিনা। ৫৫ মিনিটের মাথায় রিচার্লিসনের আক্রমণ প্রতিহত করেন আর্জেন্টিনা গোলকিপার মার্টিনেজ। ৬৩ মিনিটে লো সেলসোকে তুলে নিয়ে ট্যাগলিয়াফিকোকে মাঠে নামায় আর্জেন্টিনা। ৬৩ মিনিটে এভার্টনকে তুলে নিয়ে ভিনিসিয়াস জুনিয়রকে মাঠে নামায় ব্রাজিল। ৬৮ মিনিটের মাথায় হলুদ কার্ড দেখেন আর্জেন্তিনার ডি'পল।
এর আগে কোপা আমেরিকার ফাইনালে ডি মারিয়ার একমাত্র গোলের সুবাদে প্রথমার্ধের খেলা শেষে এগিয়ে থাকার স্বস্তি নিয়ে মাঠ ছাড়ে আর্জেন্টিনা।
আজ রবিবার বাংলাদেশ সময় ভোর ৬টায় রিও দে জেনেরিওর বিখ্যাত মারাকানা স্টেডিয়ামে কোপা আমেরিকার ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছে ফুটবল বিশ্বের অন্যতম চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দেশ দুটি।
ব্রাজিল সেমিফাইনালের অপরিবর্তিত প্রথম একাদশ নিয়েই ফাইনালে মাঠে নিয়েছে। এমনকি তাদের বদলি ফুটবলারের তালিকাও অপরিবর্তিত। তবে আর্জেন্টিনা প্রথম একাদশে একসঙ্গে পাঁচটি রদবদল করেছে। রিজার্ভ বেঞ্চে পাঠানো হয়েছে জেল্লা, গঞ্জালেস, মলিনা, তাগলিয়াফিকো ও রদ্রিগেসকে। প্রথম একাদশে ঢুকেছেন আকুনা, রোমেরো, মন্তিয়েল, পারেদেস ও ডি মারিয়া।
আর্জেন্টিনা একাদশ : দামিয়ান মার্টিনেজ, ওটামেন্দি, আকুনা, মন্টিল, রোমেরো, দি পল, পেরেসিস, লো সেলসো, মেসি, দি মারিয়া, লাউতারো মার্টিনেজ।
ব্রাজিল একাদশ : এডারসন, থিয়াগো সিলভা, ড্যানিলো, মারকুইনহোস, রেনান লোদি, ক্যাসেমিরো, ফ্রেড, এভারটন, লুকাস পাকুয়েতা, রিচার্লিসন, নেইমার।
বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ