২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ০১:৪৪

অবশেষে জয়ের দেখা পেল আরসিবি

অনলাইন ডেস্ক

অবশেষে জয়ের দেখা পেল আরসিবি

সংগৃহীত ছবি

সংযুক্ত আরব আমিরাতে আইপিএলের দ্বিতীয় পর্বে আরসিবির ভাগ্যটা মোটেও ভালো যাচ্ছিল না। রবিবার ৯২৬ সেপ্টেম্বর) রাতে কিন্তু জয়ে ফিরল কোহলির রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুর। ভারতের মাঠে আইপিএলে যে ছন্দে ছিল বিরাটের আরসিবি, সেটাই আরবদেশে ফিরছিল না। 

সংযুক্ত আরব আমিরাতে নিজেদের প্রথম ম্যাচে কেকেআরের কাছে মাত্র ৯২ রানে গুটিয়ে গিয়েছিল আরসিবি। শেষ পর্যন্ত ৯ উইকেটে ম্যাচ জিতেছিল নাইটরা। এরপরের ম্যাচে ধোনির চেন্নাইয়ের বিরুদ্ধে নেমেছিল বিরাটের আরসিবি। ওপেনিং জুটি বড় রানের ভিত গড়ে দিলেও দলগত পারফরম্যান্স ছিল না। সেই ম্যাচেও ১১ বল বাকি থাকতেই জিতে নেয় সিএসকে। পর পর দুই ম্যাচে হারের পর ঘুরে দাঁড়ালেন বিরাটরা। রোহিতদের বিরুদ্ধে ৫৪ রানে জিতলেন ম্যাক্সওয়েলরা। ব্যাটাররা ১৫-২০ রান কম করলেও বোলিং বিভাগে হার্ষাল-চাহাল ছিলেন সুপারহিট।

আরসিবির ওপেনার দেবদত্ত পাড়িক্কাল রানের খাতা না খুলেই জাসপ্রীত বুমরার শিকার হয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন। গত ম্যাচে ক্যাপ্টেন কোহলির সঙ্গে এই পাড়িক্কালই ১১১ রানের পার্টনারশিপ গড়েছিলেন। তবে এবার পারলেন না। তিন নম্বরে নামা শ্রীকর ভরত জুটি বাঁধেন কোহলির সঙ্গে। ২৪ বলে ৩২ রান করে রাহুল চাহারের বলে আউট হন তিনি। ৭৫ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারায় আরসিবি। চার নম্বরে নামে গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। এই ম্যাচে শুরু থেকেই নিজের ছন্দে ছিলেন বিরাট। 

গ্লেন ম্যাক্সওয়েল মাঠে আসার পর তার সঙ্গে জুটি বেঁধে ৫০ রানের পার্টনারশিপও গড়েন কোহলি। কিন্তু তারপরই অঘটন। ৪২ বলে ৫১ রান করে অ্যাডাম মিলনের বলে আউট হন কোহলি। তবে ম্যাচের শুরু থেকেই ছন্দে দেখা গিয়েছিল আরসিবি ক্যাপ্টেনকে। পাশাপাশি এই ম্যাচে তিনি টি-২০ ক্রিকেট ক্যারিয়ারের ১০ হাজার রানও পূর্ণ করে ফেললেন। ক্যাপ্টেন কোহলি ফেরার পর ম্যাক্সির উইকেট হারায় আরসিবি। ৫৬ রানের দুরন্ত ইনিংস সাজিয়েছিলেন ৬টি চার ও ৩টি ছয় দিয়ে। এরপর এবিডিকে নিজের জালে ফাঁসান বুমরা। শেষ দিকে ট্রেন্ট বোল্টও নিজের ছাপ রেখে যান শাহবাজ আহমেদের উইকেট তুলে নিয়ে। কোহলি-ম্যাক্সি-শ্রীকর দলকে এগিয়ে নিয়ে গেলেও বুমরা-বোল্টদের দাপটে ১৬৫ রানে আটকে যায় আরসিবি।

রান তাড়া করতে নেমে কোনও তাড়াহুড়ো করেনি মুম্বাই। ওপেনিং জুটিতে ৫৭ রান তুলে ফেলে মুম্বাই। উইকেটের খোঁজ করতে থাকা আরসিবিকে প্রথম সাফল্য এনে দেন যুজবেন্দ্র চাহাল। ওপেনার ডি কককে ২৪ রানে থামিয়ে দেন যুজি। তবে ১০ ওভারের মধ্যে বোলিংয়ে পরিবর্তন এনে মুম্বাই অধিনায়কের উইকেট তুলে নেন বিরাট। ৪৩ রান করে ম্যাক্সওয়েলের ফাঁদে পা দেন হিটম্যান। তবে শুরু থেকেই বাউন্ডারির ফুলঝুরি ছিল রোহিতের ব্যাটে। তিনি ৪৩ রানের দুরন্ত ইনিংস সাজিয়েছিলেন ৫টি চার ও ১টি ছয় দিয়ে। ব্যাট হাতে নজর কাড়তে ব্যর্থ ঈশান কিষাণ, ক্রুণাল পান্ডিয়া ও সূর্যকুমার যাদব। মাত্র ৯ রান করে প্যাভিলিয়নে ফেরেন ঈশান। ফের বোলিংয়ে বদল করে ম্যাক্সিকে দিয়ে বিরাট তুলে নেন ক্রুণাল পান্ডিয়ার (৫) উইকেট। ব্যাটে-বলে গ্লেন ম্যাক্সওয়েল দলের জয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখলেন। সূর্যকুমারের (৮) উইকেট পেয়েছেন মোহম্মদ সিরাজ। 

শুরুর দিকে বেগুনি টুপিধারী (সবথেকে বেশি উইকেটের মালিক) হার্ষাল প্যাটেলকে ব্যবহার না করে শেষের দিকের জন্য তুলে রেখেছিলেন কোহলি। যার মর্যাদা দিলেন হার্ষাল। হার্দিক পান্ডিয়াকে দিয়ে শুরু করে কায়রন পোলার্ডের মতো গুরুত্বপূর্ণ উইকেট তুলে নেওয়ার পাশাপাশি হ্যাটট্রিক পূর্ণ করে ফেলেন হার্ষাল। অ্যাডাম মিলনের শেষ উইকেটটিও তুলে নেন হার্ষাল। চাহাল-হার্ষালের দাপটে ১৮.১ ওভারেই অলআউট টিম মুম্বাই।


বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ আল সিফাত

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর