আশা জাগিয়েও পারল না টাইগাররা। শুরুতেই ৪ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়লেও শেষ ৪ উইকেটের জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছে পাকিস্তান।
বাজে ব্যাটিংয়ের পর বোলিংয়ের শুরুটা ছিল দুর্দান্ত। কিন্তু শেষ অবধি সেটা টেনে নিতে পারলেন না কেউ। সঙ্গে টাইগার অধিনায়কত্বের ভুলভাল তো ছিলই।
পাকিস্তানের ব্যাটিংয়ে দ্রুতই সফরকারীদের বেশ কয়েকটি উইকেট তুলে নিলেও শেষদিকে খেই হারিয়ে ফেলে টাইগার বোলাররা। বিশেষ করে পাক ব্যাটার শাদাব খান ও মোহাম্মদ নওয়াজের শেষের ঝড়ে জয় বঞ্চিত হয় বাংলাদেশ।
শুক্রবার মিরপুর শের বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সিরিজের প্রথম ম্যাচে মুখোমুখি হয় দুদল। যেখানে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৭ উইকেট হারিয়ে ১২৭ রান করে বাংলাদেশ। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ৬ উইকেট হারিয়ে ও ৪ বল বাকি থাকতে ১৩২ করে জয় নিশ্চিত করে পাকিস্তান। এ জয়ে সিরিজে ১-০তে এগিয়ে গেল বাবর আজমের দল।
১২৮ রানের লক্ষ্যে নামা পাকিস্তানের শুরুটা নড়বড়ে করে দেন মোস্তাফিজ-তাসকিনরা। ইনিংসে প্রথম আঘাত হানেন মোস্তাফিজুর রহমান। সদ্য সমাপ্ত বিশ্বকাপে রানের ফুলঝুরি ছোটানো পাকিস্তানি ওপেনার মোহাম্মদ রিজওয়ানকে (১১) বিদায় করেন বাংলাদেশের কাটার মাস্টার।
এরপর চতুর্থ ওভারে বিশ্বকাপের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক বাবর আজমকে (৩) বোল্ড করে ফেরান তাসকিন আহমেদ। সফরকারীদের ওপর চাপ বাড়িয়ে তিনে নামা হায়দার আলীকে (০) লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলেন স্পিনার মেহেদী হাসান। এরপর বিশ্বকাপে দারুণ ব্যাটিং করা অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার শোয়েব মালিক (০) দারুণভাবে রান-আউট করেন নুরুল হাসান সোহান। পাকিস্তান ২৪ রানে হারায় ৪ উইকেট।
পঞ্চম উইকেট জুটিতে অবশ্য ঘুরে দাঁড়ায় পাকিস্তান। এসময় ফখর জামান ও খুশদিল শাহ মিলে ৫০ বলে ৫৬ রান করেন। অবশেষে এই জুটি ভেঙে বাংলাদেশ শিবিরে স্বস্তি এনে দেন তাসকিন। ৩৬ বলে ৪৩ করা ফখরকে উইকেটরক্ষক নুরুল হাসানের ক্যাচে পরিণত করেন। এই জুটিতে থাকা আরেক ব্যাটার খুশদিলকে ফেরান শরিফুল ইসলাম। ৩৫ বলে ৩৪ রান করে তিনিও নুরুলকে ক্যাচ দেন।
তবে এরপর পাকিস্তানের সপ্তম উইকেট জুটিই মূলত হারিয়ে দেয় বাংলাদেশকে। শাদাব ও নওয়াজ মিলে মাত্র ১৫ বলে ৩৬ রানের ক্যামিও ইনিংস উপহার দিয়ে দলকে জেতান। শাদাব ১০ বলে একটি চার ও ২টি ছক্কায় ২১ করে অপরাজিত থাকেন। আর ৮ বলে একটি চার ও ২টি ছক্কায় ১৮ রানের হার না মানা ইনিংস খেলেন নওয়াজ।
বাংলাদেশ বোলার তাসকিন সর্বোচ্চ ২টি উইকেট লাভ করেন। একটি করে উইকেট পান মেহেদী হাসান, মোস্তাফিজুর রহমান ও শরিফুল।