অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে হারলেও ওয়ানডে সিরিজ নিশ্চিত করলো পাকিস্তান। প্রথম ওয়ানডেতে সহজে হারার পর পরের দুটি ম্যাচে দারুণ পারফরম্যান্সে তিন ম্যাচে ওয়ানডে সিরিজ ২-১ ব্যবধানে জিতে নিয়েছে স্বাগতিকরা। আজ সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে অধিনায়ক বাবর আজমের সেঞ্চুরিতে পাকিস্তান ৯ উইকেটে হারিয়েছে অস্ট্রেলিয়াকে।
এদিন লাহোরে টস জিতে প্রথমে বোলিং করতে নামে পাকিস্তান। ইনিংসের প্রথম বলেই অস্ট্রেলিয়ার ট্রাভিস হেডকে বোল্ড করেন পাকিস্তানের পেসার শাহিন শাহ আফ্রিদি। পরের ওভারে আরেক ওপেনার অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চকে খালি হাতে বিদায় দেন পেসার হারিস রউফ। স্কোর বোর্ড সচলের আগেই দুই ওপেনারকে হারায় অসিরা।
দলীয় ৬ রানে প্যাভিলিয়নে ফিরেন মার্নাস লাবুশেন। রউফের দ্বিতীয় শিকার হয়ে ৪ রানে থামেন তিনি। টপ-অর্ডারের ব্যর্থতা মুছতে পারলেও, বড় ইনিংস খেলতে পারেননি অস্ট্রেলিয়ার মিডল-অর্ডার ব্যাটাররা। ফলে ৪১ দশমিক ৫ ওভারে ২১০ রানে শেষ হয় অসিদের ইনিংস। হাফ-সেঞ্চুরি তুলে ৫৬ রানে থামেন উইকেটরক্ষক অ্যালেক্স ক্যারি। ৪০ বলে ৪৯ রান করেন অলরাউন্ডার সিন অ্যাবট। এছাড়া ক্যামেরুন গ্রিন ৩৪ ও বেন ম্যাকডারমট ৩৬ রান করেন। পাকিস্তানের রউফ ও মোহাম্মদ ওয়াসিম ৩টি করে উইকেট নেন।
সিরিজ জিততে ২১১ রানের টার্গেট স্পর্শ করতে মোটেও বেগ পেতে হয়নি পাকিস্তানকে। চতুর্থ ওভারে ওপেনার ফখর জামানকে হারালেও, দ্বিতীয় উইকেটে ২০৫ বলে অবিচ্ছিন্ন ১৯০ রানের জুটি গড়েন আরেক ওপেনার ইমাম উল হক ও অধিনায়ক বাবর আজম। এতে ৭৩ বল বাকী থাকতেই জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে পাকিস্তান।
৮৬ ম্যাচের ওয়ানডে ক্যারিয়ারে ১৬তম সেঞ্চুরির স্বাদ পান বাবর। আগের ম্যাচে সেঞ্চুরি করা বাবর আজ ১০৫ রানে অপরাজিত থাকেন। ১১৫ বল খেলে ১২টি চার মারেন তিনি। প্রথম দুই ওয়ানডেতে সেঞ্চুরি করা ইমাম, ৮৯ রানে অপরাজিত থাকেন। ১০০ বল খেলে ৬টি চার ও ১টি ছক্কা মারেন তিনি।
আগামী ৫ এপ্রিল সিরিজের একমাত্র টি-টোয়েন্টিতে মুখোমুখি হবে পাকিস্তান ও অস্ট্রেলিয়া। ওয়ানডের আগে তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজ ১-০ ব্যবধানে জিতেছিলো অসিরা। উল্লেখ্য, সিরিজ জয়ে বিশ্বকাপ সুপার লিগে ১১ ম্যাচে ৫ জয় ও ৬ হারে ৫০ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের নবম স্থানে পাকিস্তান। আর ১১ ম্যাচে ৭ জয় ও ৪ হারে ৭০ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের চতুর্থস্থানে অস্ট্রেলিয়া। ১৮ ম্যাচে ১২ জয় ও ৬ হারে ১২০ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষে বাংলাদেশ। -বাসস।
বিডি-প্রতিদিন/শফিক