সম্প্রতি ইংল্যান্ড সাদা পোশাকে খারাপ সময়ের ভেতরে যাচ্ছে। অস্ট্রেলিয়ার কাছে অ্যাশেজ হেরেছে ৪-০ ব্যবধানে। ওয়েস্ট ইন্ডিজে সিরিজ হেরেছে ২-০ ব্যবধানে। দলের এমন ব্যর্থতার দায় নিয়ে গত এপ্রিলে দায়িত্ব ছাড়েন জো রুট। তার জায়গায় বসেছেন স্টোকস। ইংল্যান্ডের ৮১তম টেস্ট অধিনায়ক হয়েছেন বেন স্টোকস।
অধিনায়কত্ব পেয়ে মঙ্গলবার (৩ মে) প্রথম গণমাধ্যমের মুখোমুখি হন তিনি। চেস্টার লি স্ট্রিটে নিজের প্রথম সংবাদ সম্মেলনেই তিনি জানান, তার দলে খেলতে হলে নিঃস্বার্থ ক্রিকেটার হতে হবে।
জুনে লর্ডসে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে যাত্রা শুরু হবে স্টোকসের। শেষ ১৭ ম্যাচে মাত্র ১টি জয় পাওয়া ইংল্যান্ডের দায়িত্ব পাওয়া এই ব্যাটিং অলরাউন্ডার সামনের পথটা বেশ কঠিন তা সতীর্থদের মনে করিয়ে দিয়েছেন তিনি। তবে নিজেদের সেরা সুযোগগুলোকে কাজে লাগাতে পারলে যে কোনো প্রতিপক্ষকে হারানো যাবে বিশ্বাস ইংলিশ অধিনায়কের। তিনি বলেন, টেস্ট ক্রিকেট আমার কাছে এক নম্বরে। বলার অপেক্ষা রাখে না, সামনে আমার জন্য কঠিন চ্যালেঞ্জ এবং রোমাঞ্চকর মুহূর্ত অপেক্ষা করছে। বিশেষ করে শেষ কয়েক বছর যেভাবে গিয়েছে সেই বিবেচনায়। তবে আমার কাছে অতীত খুব একটা বড় বিষয় নয়। আমি কীভাবে দলকে নিয়ে সামনে এগিয়ে যাব, বিশেষ করে শুরুটা কিভাবে করব সেদিকেই পূর্ণ মনোযোগ।
সতীর্থদের কাছে কী প্রত্যাশা করছেন তা সহজেই বলে দিয়েছেন। তিনি জানান, শুধু মাঠেই নয়, মাঠের বাইরে অনেক কিছুর পরিবর্তন করতে হবে। তবে মাঠের ভেতরে যেটা হতে পারে… আমার কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নিঃস্বার্থ ক্রিকেট খেলা। তাদের নিঃস্বার্থ মনোভাব আমাদেরকে ম্যাচ জেতাতে বড় প্রভাবক হিসেবে কাজ করবে। কারণ দিন শেষে আপনি সব সময় ম্যাচ জয়ের হিসেবকেই বিবেচনায় আনবেন। এজন্য এটা আমার কাছে অতি গুরুত্বপূর্ণ। আমি যে সিদ্ধান্ত নেব সেটা অবশ্যই আমাদের জয়ের সুযোগ বাড়িয়ে দেবে। আমি আমার সঙ্গে আরো ১০ জন ক্রিকেটারকে একই মানসিকতায় দেখতে চাই।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ