১৫৭ রানের মাঝারি টার্গেটেও জয় পায়নি বাংলাদেশ, ফলে মিলেছে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজ হারের লজ্জা। এতে থমথমে পরিবেশ বাংলাদেশ ক্রিকেট দলে। হারের বিমর্ষভাব নিয়ে ওয়ানডে সিরিজে প্রস্তুতি নিচ্ছে টাইগাররা।
বুধবার সেই অনুশীলন থেকে টি-টোয়েন্টি সিরিজ হারার বিষয়ে নিজের মত দিলেন বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজন। তিনি বলেন, ‘আমি খুব হতাশ। আমরা বারবার বলি নিজেদের ভুল থেকে শিক্ষা নিতে। কিন্তু আমরা কবে সে শিক্ষাটা নেব। আমি পুরোপুরি ক্রিকেটারদের দোষ দেব। তাদের প্রয়োগ সম্পূর্ণ ভুল ছিল।’
ভুল থেকে শিখতে না পারার গল্পটা বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের বেশ পুরনো। বিশেষ করে টি-টোয়েন্টি আর টেস্টে মুখ থুবড়ে পড়াটাই যেন এখন নিয়তি। সিনিয়র কিংবা জুনিয়র কেউই যেন এই দুই ফরম্যাটে ধারাবাহিকভাবে ভালো করতে পারছেন না। ফলে কালেভদ্রে জয় পেলেও টি-টোয়েন্টির বিশ্বমঞ্চে এখনও আনাড়ি টিম বাংলাদেশ। ব্যাটিংয়ে আসছে না সেই কাঙ্ক্ষিত গতি।
ইঙ্গিতে খেলোয়াড়দের ব্যক্তি স্বার্থ সচেতন বলেই দাবি করেছেন সুজন, তার মতে অনেকেই দলের নিজের জায়গাটা ধরে রাখতে চান ধীরলয়ে রান করে। তিনি বলেন, ‘এখানে আমাদের জেতাটাই স্বাভাবিক ছিল। হারটা ছিল অস্বাভাবিক। আমরা জানি যে ওভারে আমাদের ১০-১২ করে লাগবে। কেউ দেখলাম যে একটা ছয় মারার চেষ্টা করছে। সবাই ২-১ করে নিচ্ছে। আমি একটা স্কোর করে নিজের জায়গাটা ঠিক রাখলাম, এটা কি ওই ধরনের কিছু কি না, আমি ঠিক জানি না। আপনি যদি ১০০ স্ট্রাইক রেটে খেলেন, তাহলে এখানে রান তাড়া করে জিততে পারবেন না। একজন-দুজনকে তো শট খেলতে হবে। ওদের দুজন ব্যাটসম্যানের স্ট্রাইক রেট দেখুন। এখানে ভিন্ন কিছু করার প্রয়োজন ছিল না। শর্ট বলকে যদি পুল করে ছক্কা মারার আত্মবিশ্বাস না থাকে, তাহলে তো মুশকিল।’
এই অবস্থায় করণীয় কী সেই ডিরেকশন (নির্দেশনা) দিতেও হিমশিম খাচ্ছেন টিম ডিরেক্টর সুজন, তাই সবটা ছেড়ে দিয়েছেন ক্রিকেটারদের ওপর। তিনি বলেন, ‘করণীয়টা কী এটা ক্রিকেটাররাই বলতে পারবে। এমন না যে ছেলেরা এখন দলে আসছে আর যাচ্ছে। তারা একটা সময়ের জন্য সুযোগ পাচ্ছে। তারা জানে যে তাদের জায়গা নিয়ে এত কাড়াকাড়ি নেই। তাদের ঠিকঠাক সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। এমন অবস্থায় তো মন খুলে খেলা উচিত। আমি ওই মন খুলে খেলাটা দেখতে পাচ্ছি না।’
বিডি প্রতিদিন/নাজমুল