চলতি ভারত-অস্ট্রেলিয়া টেস্ট সিরিজ থেকে ইতিমধ্যেই ছিটকে গেছেন ডেভিড ওয়ার্নার। হাতে চিড় নিয়ে দল থেকে বাদ পড়ে দেশে ফিরে যান তিনি। দেশে ফেরার পরই তিনি অবসর নিতে পারেন বলে শুরু হয়েছে জল্পনা। আর এই জল্পনা উসকে দিয়েছেন ওয়ার্নার স্বয়ং। শুধু তাই নয়, অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেট বোর্ডকেও নিশানা করেছেন এই বাঁহাতি ব্যাটার।
টুর্নামেন্টের মাঝে চোট পেয়ে দেশে ফিরে যাওয়ার ঘটনায় বেশ কিছু প্রশ্ন জন্ম নিয়েছিল ওয়ার্নারকে ঘিরে। তিনি অবসর নেবেন কি না, অথবা আবার টেস্ট ক্রিকেট খেলবেন কি না, এইসব নিয়েও প্রশ্ন উঠেছিল। তবে অস্ট্রেলিয়ার বিশ্বকাপ জয়ী অধিনায়ক রিকি পন্টিং মনে করছেন, দীর্ঘ পরিসরের ক্রিকেট থেকে অবসর নেওয়ার সেরা সময় হাতছাড়া করেছেন তারকা এই ওপেনার।
২০২২ সাল থেকে টেস্টে বাজে সময় চলছে ওয়ার্নারের। গত বছরের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত ১৪ টেস্ট খেলে ২৬.৩৯ গড়ে স্রেফ ৬০৭ রান করেন তিনি। যেখানে ছিল কেবল দুটি ফিফটি ও একটি ডাবল সেঞ্চুরি। দ্বিশতকটি করেন ওয়ার্নার গত ডিসেম্বরে। মেলবোর্নে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে খেলেন ২০০ রানের ইনিংস। ম্যাচটি ছিল তার ক্যারিয়ারের শততম টেস্ট। পরের ম্যাচটি ছিল সিডনিতে, যেটা বাঁহাতি ওপেনারের ঘরের মাঠ।
আইসিসি রিভিউতে পন্টিং বলেন, ওই ম্যাচেই টেস্ট ক্রিকেটকে বিদায় বলে দেওয়া উচিত ছিল ওয়ার্নারের। আমার মনে হয়েছে, ডেভির অবসর নেওয়ার সবচেয়ে ভালো সময় ছিল, যদি সে এই বিষয়ে চিন্তা করে থাকে, অস্ট্রেলিয়ায় সিডনি টেস্ট ম্যাচের পর।
তিনি আরও বোলেণ, সে কেবলই মেলবোর্নে শততম টেস্ট খেলেছিল এবং প্রথম ইনিংসে ডাবল সেঞ্চুরি করেছিল। ঘরের মাঠের দর্শকদের সামনে বিদায় নেওয়া, সব খেলোয়াড়ই তাদের ক্যারিয়ারের এভাবে ইতি টানতে চায়। কে জানে, ওই সুযোগটি ডেভির জন্য আবার নাও আসতে পারে।
চলমান ভারত সফরেও গিয়েছিলেন ওয়ার্নার। বোর্ডার-গাভাস্কার সিরিজে হেরে যাওয়া প্রথম দুই টেস্টে তিন ইনিংসে ব্যাটিং করে তার রান ছিল ১, ১০ ও ১৫। দিল্লি টেস্টে ব্যাটিংয়ের সময় কনুইয়ে চোট পেয়ে পুরো সিরিজ থেকেই ছিটকে যান তিনি।
দেশে ফিরে নির্বাচকদের বিরুদ্ধে তোপ দেগে ওয়ার্নার বলেন, ‘আমি বরাবর বলে এসেছি যে ২০২৪ সাল পর্যন্ত টেস্ট খেলতে চাই। তবে নির্বাচকদের আমাকে যদি যোগ্য মনে না হয় তাহলে সেটা আমাকে জানিয়ে দিলে আমি শুধু সাদা বলের ক্রিকেটেই মন দিতে পারি।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ