ম্যাচের শুরুতেই রুতুরাজ গায়কোয়াড়কে ফিরিয়ে উদযাপন শুরু করলেন গুজরাট টাইটান্সের ক্রিকেটাররা। কিন্তু তাদের সেই আনন্দ স্থায়ী হলো না। বেজে উঠল সাইরেন, ‘নো’ বল! জীবন পেয়ে গায়কোয়াড় করলেন ফিফটি, সঙ্গে ডেভন কনওয়ের কার্যকর ইনিংসে লড়ার মতো পুঁজি গড়ল চেন্নাই সুপার কিংস। পরে বোলারদের নৈপুণ্যে শিরোপাধারীদের হারিয়ে আরও একবার আইপিএলের ফাইনালে জায়গা করে নিল মহেন্দ্র সিং ধোনির দল।
ঘরের মাঠ চিদাম্বরাম স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার (২৩ মে) প্রথম কোয়ালিফায়ারে ১৫ রানে জিতেছে চেন্নাই। ১৭২ রানের পুঁজি নিয়ে গুজরাটকে তারা থামিয়ে দিয়েছে ১৫৭ রানে। আইপিএলের ১৬ আসরের মধ্যে ১০ বারই ফাইনালে জায়গা করে নিল চেন্নাই। টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় সফলতম দল তারা, শিরোপা ঘরে তুলেছে ৪ বার। ফাইনাল খেলার সুযোগ অবশ্য এখনও আছে গুজরাটের। লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টস ও মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের মধ্যকার এলিমিনেটর ম্যাচের জয়ী দলের সঙ্গে তারা খেলবে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার।
চেন্নাইয়ের জয়ে বড় অবদান রাখা গায়কোয়াড় ২ রানে জীবন পেয়ে ১ ছক্কা ও ৭ চারে খেলেন ৬০ রানের ইনিংস। আরেক ওপেনার কনওয়ে করেন ৪টি চারে ৪০ রান। টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে দ্বিতীয় ওভারেই ফিরতে পারতেন গায়কোয়াড়। কিন্তু দারশান নালকান্ডে ‘নো’ বল করায় মিডউইকেটে সহজ ক্যাচ দিয়েও বেঁচে যান তিনি। জীবন পেয়ে পরের দুই বলে ছক্কা ও চার মারেন ডানহাতি ব্যাটসম্যান।গায়কোয়াড়ের ব্যাটে বাড়তে থাকে চেন্নাইয়ের রান। আরেক প্রান্তে তাকে সঙ্গ দিয়ে যান নিউ জিল্যান্ডের কনওয়ে। একাদশ ওভারে ভাঙে তাদের ৮৭ রানের উদ্বোধনী জুটি, ৩৬ বলে ফিফটি করা গায়কোয়াড়ের বিদায়ে। শিভাব দুবেকে দ্রুত ফেরান আফগানিস্তানের রিস্ট স্পিনার নুর আহমেদ। পরপর দুই ওভারে অজিঙ্কা রাহানে ও কনওয়ে বিদায় নেওয়ার পর চেন্নাইয়ের রান দেড়শ পার হয় রবীন্দ্র জাদেজার (২ চারে ২২) ব্যাটে।
ঋদ্ধিমান সাহাকে ফিরিয়ে বোলিংয়ে চেন্নাইকে দ্রুত সাফল্য এনে দেন দিপক চাহার। এই পেসার টিকতে দেননি প্রতিপক্ষ অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়াকেও। পরপর দুই ওভারে দাসুন শানাকা ও ডেভিড মিলারকে ড্রেসিং রুমে পাঠান জাদেজা। সতীর্থদের আসা-যাওয়ার মাঝে এক প্রান্তে লড়াই চালান আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান শুবমান গিল। কিন্তু তিনিও এবার খেলতে পারেননি বড় ইনিংস, ফেরেন ১ ছক্কা ও ৪টি চারে ইনিংসে সর্বোচ্চ ৪২ রানে।
গিলের বিদায়ের পর জয়ের সম্ভাবনা প্রায় শেষ হয়ে যায় গুজরাটের। রশিদ খানের ২ ছক্কা ও ৩ চারে ৩০ রানের ক্যামিও ইনিংসে কেবল কমে ব্যবধান। দুর্দান্ত বোলিংয়ে মাত্র ১৮ রানে ২ উইকেট নেন জাদেজা। দুটি করে প্রাপ্তি মাহিশ থিকশানা, দিপক চাহার ও মাথিশা পাথিরানারও।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
চেন্নাই সুপার কিংস: ২০ ওভারে ১২৭/৭ (গায়কোয়াড় ৬০, কনওয়ে ৪০, দুবে ১, রাহানে ১৭, রায়ডু ১৭, জাদেজা ২২, ধোনি ১, মইন ৯*; শামি ৪-০-২৮-২, নালকান্ডে ৪-০-৪৪-১, রশিদ ৪-০-৩৭-১, নুর ৪-০-২৯-১, মোহিত ৪-০-৩১-২)
গুজরাট টাইটান্স: ২০ ওভারে ১৫৭ (ঋদ্ধিমান ১২, গিল ৪২, পান্ডিয়া ৮, শানাকা ১৭, মিলার ৪, বিজয় ১৪, তেওয়াতিয়া ৩, রশিদ ৩০, নালকান্ডে ০, নুর ৭*, শামি ৫; চাহার ৪-০-২৯-২, দেশপান্ডে ৪-০-৪৩-১, থিকশানা ৪-০-২৮-২, জাদেজা ৪-০-১৮-২, পাথিরানা ৪-০-৩৭-২)
ফল: চেন্নাই সুপার কিংস ১৫ রানে জয়ী
ম্যান অব দা ম্যাচ: রুতুরাজ গায়কোয়াড়
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ