লো স্কোরিং ম্যাচ পরিণত হলো দারুণ এক থ্রিলারে। মামুলি রান তুলেও ভারুন চক্রবর্তীর স্পিন জাদুতে জয়ের সুবাস পাচ্ছিল ভারত। তবে, ত্রিস্টান স্টাবস ও জেরাল্ড কোয়েটজির ক্লিনিক্যাল ফিনিশিংয়ে শেষ হাসি হাসে দক্ষিণ আফ্রিকা।
রবিবার গকেবেরহার সেন্ট জর্জস পার্ক মাঠে চার ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে ভারতকে ৩ উইকেটে হারিয়েছে প্রোটিয়ারা।
এ দিন টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ডাক মেরে বসেন আগের ম্যাচে সেঞ্চুরি হাঁকানো সাঞ্জু স্যামসন। প্রথম ওভারেই বিদায় নেন তিনি।
পরের ওভারেই ফিরে যান অভিষেক শর্মা। দলীয় মাত্র ৫ রানে দুই ওপেনারকে হারিয়ে চাপে পড়ে যায় ভারত। স্কোরবোডে ১০ রান যোগ হতেই অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদবও ফিরে গেলে চাপ আরও বেড়ে যায়। পাওয়ার প্লেতে ৬ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ৩৪ রান তোলে ভারত।
তিলক ভার্মা ও অক্ষর প্যাটেলের জুটিতে পরিস্থিতি কিছুটা সামাল দিতে সক্ষম হয় ভারত। চতুর্থ উইকেটে ৩০ রান যোগ করেন অক্ষর ও তিলক। ২০ বলে ২০ রানের ইনিংস খেলে বিদায় নেন তিলক।
এরপর হার্দিক পান্ডিয়ার সঙ্গে জুটি গড়ে রান এগিয়েছেন অক্ষর। দলীয় ৭০ রানে সাজঘরে ফেরার আগে ২১ বলে ২৭ রান করেন তিনি। তবে, এক প্রান্ত আগলে রেখে খেলতে থাকেন হার্দিক পান্ডিয়া।
কিছুটা ধীর গতিতে আগালেও দলের চাহিদা অনুযায়ী খেলেছেন হার্দিক। আরেক প্রান্তে তেমন কেউ সঙ্গ দিতে পারেননি। নির্ধারিত ২০ ওভারের খেলা শেষে ৬ উইকেট হারিয়ে ১২৪ রানের পুঁজি দাঁড় করায় ভারত। শেষ পর্যন্ত টিকে থেকে ৪৫ বলে ৩৯ রানের ইনিংস খেলেন হার্দিক।
দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে ১টি করে উইকেট শিকার করেন মার্কো ইয়ানসেন, জেরাল্ড কোয়েটজি, আন্দিলা সিমিল্যান, এইডেন মারক্রাম ও এনকাবায়োমজি পিটার।
জবাবে উদ্বোধনী জুটিতে ২২ রান তোলে দক্ষিণ আফ্রিকা। ১১ বলে ১৩ রানের ইনিংস খেলে ফিরে যান রায়ান রিকেলটন। তিনে নেমে দ্রুত ফিরেছেন অধিনায়ক এইডেন মারক্রামও। পাওয়ার প্লের ৬ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে ৩৪ রান তোলে দক্ষিণ আফ্রিকা।
ওপেনার রেজা হেনড্রিক্স ভালোই খেলছিলেন। দলের ৪৪ রানের মাথায় আউট হয়ে সাজঘরে ফেরার আগে ২১ বলে ২৪ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। ক্রিজে থিতু হয়ে যান চারে নামা ত্রিস্টান স্টাবস। আরেক প্রান্তে অবশ্য ব্যাটারদের আসা-যাওয়ার মিছিল চলতে থাকে। একের পর এক উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা।
তবে প্রোটিয়াদের ম্যাচ থেকে ছিটকে যেতে দেননি স্টাবস। পরিস্থিতি সামাল দিয়ে ধীরে ধীরে এগিয়েছেন স্টাবস। বুদ্ধিদীপ্ত ব্যাটিংয়ে কার্যকরী ঝুঁকিতে রান তুলেছেন তিনি। শেষ দিকে ক্রিজে নেমে ঝড় তোলেন জেরাল্ড কোয়েটজি। সুযোগ বুঝে ব্যাট চালিয়েছেন স্টাবসও। দুজনের জুটিতে ভর করে জয়ের খুব কাছে চলে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা। এক ওভার হাতে রেখে ৩ উইকেটের জয় তুলে নেয় প্রোটিয়ারা। ৯ বলে ১৯ রানের ইনিংস খেলে অপরাজিত ছিলেন কোয়েটজি। আর ৪১ বলে ৪৭ রান করে অপরাজিত ছিলেন স্টাবস।
ভারতের হয়ে ৫ উইকেট শিকার করেছেন বরুণ চক্রবর্তী। এছাড়া ১টি করে উইকেট নেন আরশদীপ সিং এবং রবি বিষ্ণই।
এ জয়ের চার ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে ১-১ সমতা ফেরালো দক্ষিণ আফ্রিকা।
বিডি প্রতিদিন/ইই