সতীর্থদের আসা-যাওয়ার মিছিলের মাঝে খুনে ব্যাটিংয়ে দলকে টানলেন ডেভিড মিলার। সঙ্গে জর্জ লিন্ডার শেষের ঝড়ে লড়াইয়ের পুঁজি পেল দক্ষিণ আফ্রিকা। বাঁহাতি স্পিনিং অলরাউন্ডার লিন্ডা পরে আলো ছড়ালেন বল হাতেও। এরপর মোহাম্মদ রিজওয়ানের লড়াই থামিয়ে সিরিজে এগিয়ে গেল প্রোটিয়ারা। ২০২১ সালের এপ্রিলের পর প্রথমবার এই সংস্করণে পাকিস্তানকে হারাতে পারল দক্ষিণ আফ্রিকা। মাঝে তিন ম্যাচের সবকটি জিতেছিল পাকিস্তান।
পাকিস্তানের বিপক্ষে তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে দক্ষিণ আফ্রিকার জয় ১১ রানে। ডারবানে মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) পাওয়ার প্লেতে টপ অর্ডারের তিন ব্যাটসম্যানকে হারানোর পরও ২০ ওভারে দক্ষিণ আফ্রিকা করে ১৮৩ রান। রান তাড়ায় ইনিংস শুরু করতে নেমে শেষ ওভার পর্যন্ত পাকিস্তানকে লড়াইয়ে রাখেন অধিনায়ক রিজওয়ান। শেষ ওভারে তার বিদায়ের পর ১৭২ রানে থামে সফরকারীরা।
দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে মিলার ও লিন্ডা ছাড়া উল্লেখ করার মতো কিছু করতে পারেননি তাদের আর কেউ। ৮টি ছক্কা ও ৪টি চারে ৪০ বলে ৮২ রানের ইনিংস খেলেন মিলার। ২৪ বলে ৪ ছক্কা ও ৩ চারে ৪৮ রান করেন লিন্ডা। অন্যদিকে, মন্থর ব্যাটিংয়ে শুরু করা রিজওয়ানের রান ছিল একটা পর্যায়ে ৪৪ বলে ৩৬, পরে গতি বাড়িয়ে ৫ চার ও ৩ ছক্কায় ৬২ বলে ৭৪ রান করেন এই কিপার-ব্যাটসম্যান।
৬ উইকেট হাতে রেখে পাকিস্তানের দরকার যখন ১৮ বলে ৩৬ রান, অষ্টাদশ ওভারে মাত্র ৫ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন লিন্ডা। ক্যারিয়ার সেরা বোলিংয়ে ৪ ওভারে ২১ রানে তার শিকার ৪ উইকেট। তিন বছরের বেশি সময় পর দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে খেলতে নেমে দারুণ অলরাউন্ড পারফরম্যান্সে ম্যাচ-সেরার স্বীকৃতি পান তিনিই। সেঞ্চুরিয়নের সুপারস্পোর্ট পার্কে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচ আগামী শুক্রবার।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
দক্ষিণ আফ্রিকা: ২০ ওভারে ১৮৩/৯ (হেনড্রিকস ৮, ফন ডাসেন ০, ব্রিটস্কি ৮, মিলার ৮২, ক্লসেন ১২, ফেরেইরা ৭, লিন্ডা ৪৮, সিমেলানে ১, পিটার ৩, মাফাকা ১২*; শাহিন আফ্রিদি ৪-০-২২-৩, আবরার ৪-০-৩৭-৩, রউফ ৪-০-৪১-৩, আব্বাস আফ্রিদি ৪-০-৩০-২, মুকিম ৪-০-৫৩-১)
পাকিস্তান: ২০ ওভারে ১৭২/৮ (রিজওয়ান ৭৪, বাবর ০, সাইম ৩১, উসমান ৯, তাহির ১৮, শাহিন আফ্রিদি ৯, ইরফান ১, আব্বাস আফ্রিদি ০, রউফ ২*, মুকিম ৫*; মাফাকা ৪-০-৩৯-২, বার্টম্যান ৪-০-২৬-১, সিমেলানে ৪-০-৪৪-১, পিটার ৪-০-২৯-০, লিন্ডা ৪-০-২১-৪)
ফল: দক্ষিণ আফ্রিকা ১১ রানে জয়ী
সিরিজ: ৩ ম্যাচের সিরিজে প্রথমটির পর ১-০তে এগিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা
ম্যান অব দা ম্যাচ: জর্জ লিন্ডা
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ