কক্সবাজারের ঐতিহ্যবাহী সাম্পানের সঙ্গে ফটোসেশন হলো আইসিসির চ্যাম্পিয়নস ট্রফির। বিশ্ব ভ্রমণের অংশ হিসেবে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফির প্রদর্শন করা হচ্ছে। বুধবার সকাল ১০ টায় সীমান্ত সম্মেলন কেন্দ্র ঊর্মির সামনে সাম্পান বোটে ফটোসেশন করা হয়।
এরপর সবার জন্য উন্মুক্ত মঞ্চে প্রদর্শন করা হয় ট্রফি। নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। মোতায়েন রয়েছে র্যাব এবং পুলিশ। প্রথম দিকে মানুষের ভিড় না থাকলেও বেলা বাড়ার সাথে সাথে দর্শনার্থীর ভিড় বাড়ছে।
এর আগে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কক্সবাজারে পৌঁছায় চ্যাম্পিয়ন ট্রফি। এই বিষয়ে কক্সবাজার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ইয়ামিন হোসেন বলেন, জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে কোনো আয়োজনের উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। পুরো বিষয়টি বিসিবি দেখছে।
বিসিবির সিনিয়র ম্যানেজার (মিডিয়া অ্যান্ড কমিউনিকেশন) রাবীন ইমাম জানান, আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)-এর তত্ত্বাবধানে আগামী ফেব্রুয়ারি-মার্চ মাসে পাকিস্তানে আইসিসি ম্যানস চ্যাম্পিয়নশিপ শুরু হতে যাচ্ছে। মূল ট্রফিটি ওই টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণকারী দেশসমূহে প্রদর্শনের অংশ হিসেবে ১৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশে থাকবে। কক্সবাজারে সীমান্ত সম্মেলন কেন্দ্র ঊর্মির সম্মুখের সৈকতে ট্রফি প্রদর্শন করা হচ্ছে।
নিরাপত্তায় থাকা র্যাব-১৫ এর কোম্পানি কমান্ডার মেজর সাইফুল ইসলাম বলেন, র্যাবের ৩০ সদস্যদের একটি টিম নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছে। কোনো ধরনের নিরাপত্তা ঝুঁকি নেই। সবাই আনন্দের সঙ্গে দেখছে আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফি।
এদিকে আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফির দিনক্ষণ ঘনিয়ে এলেও এখনো কাটেনি আয়োজন নিয়ে অনিশ্চয়তা। নির্ধারিত আয়োজক দেশ পাকিস্তানে ভারতের খেলতে যেতে না চাওয়া থেকেই মূলত সব সমস্যার শুরু। এখন পর্যন্ত কাটেনি এই জটিলতা।
দুই পক্ষের অনড় অবস্থানের কারণে অচলাবস্থা কবে কাটবে, তা–ও নিশ্চিত নয়। তবে এসবের মধ্যেও থেমে নেই আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফির বিশ্বভ্রমণ।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল