গতকাল নয় বছরে পা দিয়েছে জনপ্রিয় মাইক্রো ব্লগিং সাইট ট্যুইটার। জন্মদিনটা ব্যবহারকারীদের সঙ্গে ভাগ করেই কাটাতে চায় ট্যুইটার। ট্যুইটিং-হ্যাশট্যাগকে বিখ্যাত করার জন্য সমস্ত ব্যবহারকারীকে ব্লগের মাধ্যমে শুভেচ্ছা জানিয়েছে ট্যুইটার। শুধু সেলেবদের ‘ফলো’ করাই নয়, সাংস্কৃতিক আদানপ্রদানের মাধ্যম হয়ে উঠেছে ট্যুইটার, যার কৃতিত্ব ইউজারদেরই দিচ্ছেন সংস্থার চিফ কমিউনিকেশন অফিসার গ্যাব্রিয়েল স্ট্রাইকার। শুধু তাই নয়, ট্যুইটার সম্পর্কে অনেকেই জানেন না এমন বেশ কিছু তথ্যও ফাঁস করেছেন গ্যাব্রিয়েল।
ট্যুইটারের সদর দফতর যুক্তরাষ্ট্রের সান ফ্রান্সিস্কোয়। এছাড়া টেক্সাসের সান অ্যান্টোনিও এবং ম্যাসাচুসেটসের বোস্টনে ট্যুইটারের সার্ভার ও দফতর রয়েছে। ২০০৬ সালের মার্চ মাসে ট্যুইটারের যাত্রা শুরু হয়। তবে ২০০৬ এর জুলাই মাসে জ্যাক ডরসে আনুষ্ঠানিকভাবে এর উদ্বোধন করেন। ট্যুইটারকে ইন্টারনেটের এসএমএস বলে ‘উইকিপিডিয়া’।
প্রথম ট্যুইটটি করেছিলেন সংস্থার সহ প্রতিষ্ঠাতা জ্যাক ডরসে। তার হ্যান্ডেল নেম ছিল ‘জ্যাক’। লিখেছিলেন ‘জাস্ট সেটিং আপ ট্যুইটার’। মজার ব্যাপার হলো, সেই সময় Twitter নামটাই ছিল না। মাইক্রো ব্লগিং সাইটটির নাম ছিল twttr। প্রথম হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করেছিলেন ক্রিস মেসিনা।
মঙ্গলে বরফ খুঁজে পাওয়ার প্রথম খবরটি ব্রেক হয়েছিল ট্যুইটারে। করেছিল নাসার মার্স ফোনেক্স। পাকিস্তানে ওসামার লুকোনো ঘাঁটিতে মার্কিন সেনার হানার খবরটিও প্রথম ট্যুইটারেই ফাঁস হয়। বাড়ির মাথার উপর সেনার হেলিকপ্টার দেখে ট্যুইটটি করেন পাকিস্কান ক্রিকেটার শোয়েব আখতার। দ্বিতীয়বারের জন্য প্রেসিডেন্ট পদে নির্বাচিত হওয়ায় বারাক ওবামার প্রথম ট্যুইটটি সে বছরের সবচেয়ে জনপ্রিয় ট্যুইট হয়েছিল। অস্কারের মঞ্চে এলিন ডিজেনার্সের সেলফির ট্যুইটটি ট্যুইটারের জনপ্রিয়তম সেলফি। চার্লি হেবডোয় জঙ্গি হানার খবরটিও প্রথম ট্যুইটারে ব্রেক হয়। এরকম আরো বহু ঘটনার সাক্ষী ট্যুইটার।
বিডি-প্রতিদিন/২২ মার্চ ২০১৫/শরীফ