সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটনের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে বিতর্ক জন্মানো হোয়াইট হাউজের সাবেক ইন্টার্ন মনিকা লিউনস্কি নিজেকে সাইবার হয়রানির প্রথম শিকার দাবি করেছেন। এমন দাবি করে তিনি এই হয়রানি বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন। কানাডার ভ্যানকুভারে টেড সম্মেলনে দেওয়া এক বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান। খবর বিবিসির
২০০৫ সালের পর এই নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো জনসমক্ষে এলেন মনিকা। এর আগে গত বছর অক্টোবর মাসে ফোর্বস ম্যাগাজিনের 'আন্ডার থার্টি' সম্মেলনে বক্তব্য দিয়েছিলেন তিনি। ১৯৯৮ সালে বিল ক্লিনটনের সাথে যৌন কেলেঙ্কারির ঘটনায় আলোচিত মনিকা লিউনস্কি প্রযুক্তি, বিনোদন ও নকশাবিষয়ক 'টেড' সম্মেলনে যোগ দিয়ে ইন্টারনেট ব্যবহারের ক্ষেত্রে সহানুভূতিশীল আচরণ করার আহ্বান জানান।
অনলাইন হয়রানির কথা উল্লেখ করে সম্মেলনে মনিকা লিউনস্কি বলেন, 'অনলাইনে অন্যদের লজ্জার বিষয় প্রচার করে একদল ইন্টারনেট ব্যবহারকারী মজা পাওয়ার সংস্কৃতি গড়ে তুলেছে।' টেড সম্মেলনে দেওয়া বক্তব্যের শুরুতেই নিজেকে নিয়ে রসিকতা করে তিনি বলেন, 'আমিই সম্ভবত একমাত্র চল্লিশের কোঠায় থাকা মহিলা, যে আর কখনোই তার বাইশ বছর বয়সে ফিরে যেতে চায় না।”
তিনি আরো বলেন, '২২ বছর বয়সেই আমি আমার বসের প্রেমে পড়ি। আর ২৪ বছর বয়সেই এর ভয়ানক ফলাফল পেয়ে যাই। আর ইন্টারনেট সেই ব্যক্তিগত অবমাননাকে আরো খারাপ পর্যায়ে নিয়ে যায়।'
মনিকা লিউনস্কি বলেন, 'রাতারাতি ভার্চুয়াল প্রস্তর-নিক্ষেপকারীরা আমার বিরুদ্ধে অনলাইনে দাঙ্গা ঘোষণা করে। আমি পতিতা হিসেবে চিহ্নিত হই। আমি আমার খ্যাতি, মর্যাদা সবই হারায়। এমনকি আমার প্রাণনাশের উপক্রম হয়।' তিনি বলেন, '১৭ বছর আগে আমার সঙ্গে যে ঘটনা ঘটেছিল, তখন তার কোনো নাম ছিল না। কিন্তু এখন আমরা জানি এটাকে সাইবার বুলিং বা অনলাইন হয়রানি বলা হয়।'
১৯৯৮ সালে আজকের মতো কোনো সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ছিল না ইন্টারনেটে। কিন্তু ক্লিনটন-মনিকা কেলেঙ্কারির খবর ইন্টারনেটেই প্রথম ছড়িয়েছিল এবং রাতারাতি দুনিয়াজুড়ে তা ছড়িয়ে পড়ে।
বিডি-প্রতিদিন/২৩ মার্চ ২০১৫/শরীফ