কথায় বলে বুদ্ধি থাকলে নাকি মাথার তেল বিক্রি করেও খাওয়া যায়। টাকার পেছনে ছুটতে ছুটতে জীবন শেষ করে দিয়েও অনেকে একখণ্ড জমির মালিক হতে পারে না। পারে না একটি গাড়ির মালিক হতে। সেখানে মাত্র আট বছরের এক মেয়ে শিশু ইউটিউব দিয়েই আয় করছে কোটি টাকা। শিশুটির মাসিক আয় এখন ১ লক্ষ ৬৬ হাজার মার্কিন ডলার, বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ১ কোটি ২৯ লক্ষ টাকা। বাংলাদেশে তো অনেক মেগাস্টার বা শিল্পপতির আয়ও এত হয় না।
ইন্টারনেটের যুগে ব্যাপক জনপ্রিয় ইউটিউব। বহু মানুষের বিনোদনের একটা অন্যতম মাধ্যম এই ইউটিউব। সেই ইউটিউব-কে হাতিয়ার করেই ধনকুবের হয়ে উঠেছে ৮ বছর বয়সী অস্ট্রেলীয় শিশু। একটি আন্তর্জাতিক বিজ্ঞাপনী সংস্থার সাম্প্রতিক তথ্য বলছে, ইউটিউবে সব থেকে বেশি দেখা হয়েছে অস্ট্রেলিয়ার বালিকা চার্লির ভিডিও। জনপ্রিয়তার কারনে শিশুটি এই বয়সেই ইউটিউবে একটি চ্যানেল খুলে ফেলেছে। নাম Queenslander Charli’s চ্যানেল। এই চ্যানেলটির গড় আয় প্রতি মাসে ১ লক্ষ ২৭ হাজার ৭৭৭ মার্কিন ডলার। মাসে গড় দর্শক সংখ্যা ২ কোটি ৯০ লক্ষ। মার্চে প্রায় ৩ কোটি ছুঁয়েছে।
ভাবছেন কীভাবে? সমীক্ষায় দেখা গেছে, ইউটিউবে সবচেয়ে বেশি দেখা হয় বিউটি, স্টাইল ও রান্নার ভিডিও। ৮ বছরের চার্লি ইউটিউবে শেখায়, খাবার কত রকম ভাবে বেক করা যায়। এমনকি, বেক করা বিভিন্ন রান্নাও শেখায় ছোট্ট চার্লি। অল্প দিনেই চার্লির ভক্তকূল বাড়তে শুরু করে। এখন চার্লি ইউটিউবের সবচেয়ে ধনী তারকা। চার্লির বয়স যখন মাত্র ৬, তখন তার দিদির সঙ্গে মিলে বেক করার নানা ভিডিও আপলোড করা শুরু করে। ক্রমেই আয় বাড়তে থাকে। এখন তো সে রীতিমতো ধনকুবের।
বিডি-প্রতিদিন/১৯ এপ্রিল ২০১৫/ এস আহমেদ