মাত্র ২৬ মিনিটে টি-২০ ম্যাচ জিতে নিল 'ইসরো'। একসঙ্গে ২০টি কৃত্রিম উপগ্রহ উৎক্ষেপণ করে নিজেদেরই পুরনো রেকর্ড ভেঙে দিল ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা। ২০০৮ সালে তারা একসঙ্গে ১০টি উপগ্রহ উৎক্ষেপণ করেছিল।
বুধবার সকাল ৯টা ২৬ মিনিট নাগাদ শ্রীহরিকোটায় সতীশ ধবন উৎক্ষেপণ কেন্দ্র থেকে 'পিএসএলভি-সি থ্রি ফোর' রকেটে উপগ্রহগুলির সফল উৎক্ষেপণ করা হয়। ২৬ মিনিটের মধ্যে এক হাজার ২৮৮ কিলোগ্রাম ওজনের ২০টি উপগ্রহকে পৌঁছে দেওয়া হয় নির্দিষ্ট কক্ষপথে।
এর আগে একসঙ্গে এতগুলি কৃত্রিম উপগ্রহের সফল উৎক্ষেপণ করতে পেরেছে রাশিয়া এবং আমেরিকা। ২০১৪ সালে রাশিয়া একসঙ্গে ৩৭টি এবং ২০১৩ সালে আমেরিকা একসঙ্গে ২৯টি কৃত্রিম উপগ্রহ উৎক্ষেপণ করেছিল।
‘পিএসএলভি’ রকেটের ২০টি উপগ্রহের মধ্যে ‘ইসরো’র ‘কার্টোস্যাট-টু’ সিরিজের একটি উপগ্রহ ছাড়াও আমেরিকার ১৩টি, কানাডার দু’টি, জার্মানি এবং ইন্দোনেশিয়ার একটি করে কৃত্রিম উপগ্রহ রয়েছে। উৎক্ষেপণ করা হয়েছে চেন্নাইয়ের সত্যভামা বিশ্ববিদ্যালয় এবং পুণের ‘কলেজ অফ ইঞ্জিনিয়ারিং’য়ের তৈরি দু'টি উপগ্রহও।
‘ইসরো’র তরফে জানানো হয়েছে, ‘কার্টোস্যাট-টু’ সিরিজের উপগ্রহের মাধ্যমে উপকূলীয় ভূমিভাগের ব্যবহার, রাস্তাঘাট তৈরির উপরে নজর রাখা যাবে। ওইসমস্ত জায়গার ছবিও তুলবে ‘কার্টোস্যাট-টু’। ‘ইসরো’র চেয়ারম্যান এ এস কিরণ কুমার জানিয়েছেন, ভবিষ্যতে তারা প্রতি বছরে ১২ থেকে ১৮টি কৃত্রিম উপগ্রহ উৎক্ষেপণের পরিকল্পনা করছেন। তবে আগামী ১২ জুলাই ‘জিস্যাট-১৮’ উপগ্রহের উৎক্ষেপণ পিছিয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন তিনি। আগামী সেপ্টেম্বরে সেটির উৎক্ষেপণ করা হবে।
প্রসঙ্গত, এখনও পর্যন্ত ২০টি দেশের ৫৭টি কৃত্রিম উপগ্রহ উৎক্ষেপণ করেছে ‘ইসরো’। যা থেকে ‘ইসরো’র আয় হয়েছে আনুমানিক ১০ কোটি ডলার। উপগ্রহের বাণিজ্যিক উৎক্ষেপণে ইতিমধ্যেই ‘স্পেসএক্স’ এবং ‘ব্লু অরিজিনস’ সংস্থার আধিপত্য রয়েছে। তাদের সঙ্গে পাল্লা দেওয়ার ক্ষেত্রে গতকালের সাফল্য ‘ইসরো’কে কিছুটা এগিয়ে দেবে।
‘ইসরো’র সাফল্যে একাধিক টুইট করে অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
বিডি-প্রতিদিন/এস আহমেদ