বিতর্ক যেন পিছু ছাড়ছে না স্যামসাংয়ের। গ্যালাক্সি এস সেভেনের পর এবার গ্যালাক্সি এস ৮ নিয়েও শুরু হয়েছে বিতর্কের। দক্ষিণ কোরিয়া ভিত্তিক টেক জায়ান্ট স্যামসাংয়ের এর সর্বশেষ সংস্করণ গ্যালাক্সি এস ৮ এবং ৮ প্লাস। সদ্যই এর উন্মোচন হয়েছে। আগামী ২১ এপ্রিল থেকে বাজারে পাওয়া যাবে এই দুটি মডেল। কিন্তু বাজারে আসার আগেই বিতর্কের মুখে স্যামসাং গ্যালাক্সি এস ৮ তার নতুন ফিচার।
স্যামসাং-এ যে সব ফিচার রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম হল অত্যাধুনিক প্রযুক্তির সিকিউরিটি। এই দুটি মডেলেই মিলবে আইরিশ সিকিউরিটি (চোখের মণি স্ক্যান), ফিঙ্গার স্ক্যান, পিন, প্যাটার্ন এবং ফেস রিকগনাইজেশন (মুখ স্ক্যান)। আইরিশ সিকিউরিটি স্যামসাংয়ের আগের মডেলে দেখা গেলেও ফেস রিকগনাইজেশন একেবারে নতুন। তাই এ নিয়ে বাড়তি উৎসাহও রয়েছে মোবাইল প্রেমীদের।
তবে, নিরাপত্তার ক্ষেত্রে স্যামসাংয়ের ‘ফেস-সিকিউরিটি’ ততটা নির্ভরশীল নয় বলে মনে করছে স্প্যানিশ ব্লগার মার্সিয়ানো ফোন। স্যামসাং-এর ফেস সিকিউরিটি বিষয়ে একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে তারা। ইউটিউবে সেই ভিডিও পোস্ট করে তারা দাবি করেছে. অন্য ফোন থেকে তোলা সাধারণ একটি ছবিকে গ্যালাক্সি এস ৮ মডেলের সামনে রাখলেই নাকি খুলে যাচ্ছে ওই ফোনের লক। কিন্তু স্যামসাং-এর ফিচার-তথ্য অনুযায়ী, গ্যালাক্সি এস ৮ ফোনের সেলফির মোডে তোলা মুখকে স্ক্যান করলে, তবেই খুলবে ওই ফোনের লক।
এই ভিডিও প্রকাশ হতেই রীতিমতো ভাইরাল হয়ে ওঠে। মাত্র এক দিনেই এক লাখের বেশি মানুষ ভিডিওটি দেখেছেন। তবে, স্যামসাংয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ফেস রিকগনাইজেশন শুধু মাত্র ফোন আনলক করার একটি ফিচার মাত্র, বায়োমেট্রিক ফিচার হিসাবে আইরিশ এবং ফিঙ্গার স্ক্যানই সর্বোচ্চ নিরাপত্তার গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।