আপনার স্মার্টফোনে ধীর ইন্টারনেট সংযোগ একটি বড় অসুবিধার কারণ হতে পারে। বিশেষত কেউ যখন ভিডিও স্ট্রিম, সামাজিক মাধ্যমে ব্রাউজিং অথবা চলার পথে কাজ করতে গিয়ে এই সমস্যা বিরক্তের কারণ হতে পারে। ইন্টারনেটের এই ধীর গতি পুরোনো সফটওয়্যার থেকে শুরু করে ব্যাকগ্রাউন্ডে চলমান অ্যাপ্লিকেশন পর্যন্ত অনেক কারণই হতে পারে। কিন্তু কিছু কৌশল মেনে চললে ইন্টারনেটের গতি বাড়ানো সম্ভব।
ফোনে ইন্টারনেট ধীর গতির জন্য বেশ কিছু কারণ রয়েছে। যেগুলো ব্যবহারকারীরা প্রথমে বুঝতে পারে না। ফলে ফোন পরিবর্তন, ডাটা বা ব্রডব্যান্ড পরিবর্তনও করে থাকে। কিন্তু কিছু কৌশল গ্রহণ করলে সহজেই ইন্টারনেটের গতি বাড়ানো সম্ভব। আসুন জেনে নেওয়া যাক কীভাবে খুব সহজে ফোনে নেটের গতি তাৎক্ষণিক বাড়াতে পারবেন-
১। এয়ারপ্লেন মোড অন করে অফ করুন। আইফোন হোক বা অ্যান্ড্রয়েড- দুই ফোনেই এটাই সবচেয়ে সহজ ও কার্যকরী টোটকা দুর্বল নেটওয়ার্ককে ঠিক করার। অন্তত ১৫ সেকেন্ডের জন্য এয়ারপ্লেন মোড অন করে রাখবেন। তারপর আবার অফ করলেই আপনার মোবাইল টাওয়ার খোঁজার জন্য কাজ শুরু করে দেবে। এভাবে কিছুটা হলেও নেটওয়ার্ক ইস্যু মিটবে।
২। ফোনের নেটওয়ার্ক সেটিংস রিস্টার্ট করতে হবে একান্তই যদি ফোনে এক বা দুই দাগের সিগন্যাল আসে, চেষ্টা করুন একবার গোটা নেটওয়ার্ক সেটিংস খুলে সেটি রিস্টার্ট করার। তবে মনে রাখবেন এটা করলে কিন্তু আপনার সেভ থাকা ওয়াই-ফাই পাসওয়ার্ড, আপনার পার্সোনালাইজড সেটিংস-সবই ডিলিট হয়ে যাবে। কিন্তু ফোনের টাওয়ার খোঁজার চেষ্টা আবার নতুন করে শুরু হলে সেটা আপনার আশেপাশে নেটওয়ার্কের ক্ষমতাকে বাড়াবে।
৩। মোবাইল কেরিয়ারের সেটিংস বদলাতে হতে পারে। অনেক জায়গায় এখনও ৫জি পরিষেবা ভালভাবে চালু নেই। কিন্তু ফোনের যে কেরিয়ার রয়েছে, মানে জিও বা ভিআই বা যাই হোক না কেন, তার সেটিংস হয়তো ৫জি অন রয়েছে। এসব ক্ষেত্রে ৫জি টাওয়ার খুঁজতে ফোন নিরন্তর চেষ্টা করে চলে আর এতে তার ব্যাটারি ও ফোনের স্বাস্থ্য- দুই-ই কমতে থাকে। সবসময় কেরিয়ার সেটিংসকে বেস্ট কম্প্যাটেবল রাখবেন। খেয়াল রাখবেন, আপনার ফোনের কেরিয়ার সংস্থা অনেক সময় আপনাকে মেসেজের মাধ্যমে আপনার জন্য সেরা সেটিংসটি পাঠায়। সেটা অ্যাকসেপ্ট করে অন রেখে দেওয়াটাই সবচেয়ে বুদ্ধিমানের কাজ। সফটওয়্যার আপডেটের মাধ্যমে ফোনকে আপডেটেড রাখুন।
৪। এয়ারপ্লেন মোড অন-অফ করেও লাভ না হলে ফোনকেই রিস্টার্ট করুন। ফোন রিস্টার্ট হলে অনেকসময় টাওয়ার-জনিত সমস্যা প্রাথমিকভাবে কেটে যায়। সিগন্যাল স্ট্রেন্থ বাড়ে। ফোনের অনেক বেসিক সমস্যা রিস্টার্ট করলে মিটে যায়। অনেকসময় ফোন স্লো হয়ে গেলে বা হ্যাং হয়ে গেলেও ফোনকে কিছুক্ষণ অফ রেখে আবার অন করা উচিত। এতে ফোনের নিজস্ব সফটওয়্যার নিজে থেকেই রিবুট হয় ও ইন্টারনাল সমস্যাকে ধরে ফেলে রিপোর্ট পাঠায় প্রস্তুতকারক সংস্থার কাছে।
৫। আপনার ফোন যদি বেশ অনেকদিনের পুরোনো হয় তাহলে সিম ট্রে খুলে সিম কার্ড বার করে একটু নরম কাপড়ে মুছে আবার ফোনে ঢোকান। পুরোনো সিম একটানা ব্যবহার করা উচিত নয়। একদম লেটেস্ট ফাইভ জি সিম ব্যবহার করবেন। পুরোনো সিম কার্ডের ক্ষমতা কম। নতুন আধুনিক সিম কার্ড অনেক বেশি টাওয়ার স্ট্রেন্থ বহন করতে পারে।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ